ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর এম কিলোমিটার পানিপথ দখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নদী থেকে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কাড়ালকান্দি গ্রাম নদীর ৩টি স্থানে এক কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করেন সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন। উক্ত অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, সদরপুর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অতিষ্ঠ হয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তারা ইউএনওকে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে ইউএনওর নিদের্শনায় বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন।
কাড়ালকন্দি গ্রামের কৃষক এস্কেন্দার আলী বলেন, ‘৬ মাস আগে নদীতে বাঁধ দিয়ে কয়েকজন মিলে মাছ ধরা শুরু করেন। এতে আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীতে শতাধিক মৎস্যজীবীর মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায়।
এমনকি তিনি খালে নৌকা চলাচলও এখান দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এখান দিয়ে কেউ মাছ ধরা, শাপলা ও ঘাস কাটতে যেতে পারত না। কেউ গেলেই হুমকি ধামকি দেওয়া হতো। আমাদের অনেক জায়গা ঘুরে পণ্য পরিবহন করতে হত।’
আরো পড়ুন
সফর অবস্থায় রোজা ভাঙার বিধান
তিনি আরো বলেন, ‘এতে শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দুর্ভোগের শেষ ছিল না। এ ছাড়া উৎপাদিত কৃষি পণ্য, বিলের ঘাস এবং শাপলা নৌকায় করে খাল দিয়ে পরিবহন করতে পারত না সাধারণ চরের মানুষ।’
কাড়ালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘নদীর বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। এখন আমরা এখান থেকে মাছ ধরে, শাপলা তুলে ও ঘাস কেটে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব।
সহজেই সব পণ্য পরিবহন করতে পারব।’ এ জন্য ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান এই বাসিন্দা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন বলেন, ‘সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর এক কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।’