এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা। সিঁথির গাওয়া বেশ কিছু গান মন জয় করেছে শ্রোতা-সমালোচকদের। তিনি যে গানগুলোতে কণ্ঠ দেন সেগুলোর কথা ও সুর হয় ব্যতিক্রম। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মা হওয়ার পর গানে কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন এ গায়িকা।
এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা। সিঁথির গাওয়া বেশ কিছু গান মন জয় করেছে শ্রোতা-সমালোচকদের। তিনি যে গানগুলোতে কণ্ঠ দেন সেগুলোর কথা ও সুর হয় ব্যতিক্রম। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মা হওয়ার পর গানে কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন এ গায়িকা।
আড়াই মাস পর দেশে
সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন। মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণ। সময়টা দারুণ কেটেছে, জানালেন সিঁথি। বলেন, ‘একটা সময় আমি নিউজিল্যান্ডে থাকতাম।
একা ঘর আমার
গানটি বেশ আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল। সিঁথির ইচ্ছা ছিল এ বছরই গানটি প্রকাশ করার। কিন্তু জুলাই বিপ্লব, সরকার পতন, নতুন সরকার গঠন—সব মিলিয়ে মুক্তির পথ খুঁজে পাননি। দেশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করছেন সিঁথি। আর তাই নতুন বছরের ৬ জানুয়ারি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘একা ঘর আমার’।
সিঁথি বলেন, ‘মানুষের গান শোনার মতো মানসিকতা তো থাকতে হবে। গত কয়েকটা মাস আন্দোলন, প্রতিবাদ নিয়েই কেটে গেছে। ওই সময় গান কে শুনবে! এত সুন্দর একটা গান অস্থির সময়ে প্রকাশ করে নষ্ট করতে চাইনি। আমার মনে হয় এখনই গানটা প্রকাশ করার সঠিক সময়।’
এক্সক্লুসিভ গান
সিঁথির গাওয়া বেশ কিছু গান মন জয় করেছে শ্রোতা-সমালোচকদের। তিনি যে গানগুলোতে কণ্ঠ দেন সেগুলোর কথা ও সুর হয় ব্যতিক্রম। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ‘এক্সক্লুসিভ’ গান তিনি তৈরি করেছেন। কানাডিয়ান-বাঙালি মাস্টার ডি, পাকিস্তানের শাফকাত আমানত আলী ও ভারতের সেলিম মার্চেন্টের মতো শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর গাওয়া গান আছে প্রকাশের অপেক্ষায়। সিঁথি বলেন, ‘প্রতিদিন গাইতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সেটাই গাইব যেটা নিজের কাছে ভালো লাগবে। নতুন বছরটাকে আমি লক্ষ্মী বছর হিসেবে দেখতে চাই। আমার ভক্ত শ্রোতাদের এমন কিছু গান উপহার দেব যেগুলো শুনে তারা আপ্লুত হবেন।’
কনসার্ট শুরু
আড়াই মাস দেশে ছিলেন না। ফলে অনেক কনসার্টের প্রস্তাব থাকলেও করতে পারেননি। তবে দেশে ফেরার পর আবার আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি কনসার্ট চূড়ান্তও হয়েছে। সিঁথি বলেন, ‘শীতের সময়টা শিল্পীদের জন্য খুব ব্যস্ততার। সারা দেশেই শো থাকে। তবে সিজন এখনো শেষ হয়নি। যে কদিন সময় আছে, শোগুলো করব। এর মধ্যে ঢাকা ও কক্সবাজারের দুটি শো চূড়ান্ত হয়েছে।’
নতুন বছরে অভিনয়ে
গায়িকা পরিচয়ে পরিচিতি পেলেও সিঁথি একসময় অভিনয়ও করেছেন। অভিনয় করেছেন হুমায়ূন আহমেদের নাটকেও। নতুন বছরে ফের অভিনয়ে ফিরবেন। সিঁথি বলেন, ‘অভিনয়ের প্রস্তাব পাই নিয়মিতই। এত দিন করিনি। এখন তো অভিনয়ের অনেক ধরনের প্ল্যাটফরম। প্রচুর কাজ হচ্ছে। আশা করছি, নতুন বছরে দর্শক আমাকে ওয়েব ছবি বা সিরিজে দেখতে পাবেন।’
মাতৃত্ব
একমাত্র কন্যা জয়ীর বয়স এক বছর পেরোলো। এ সময়টা দারুণ উপভোগ করছেন তিনি। প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে তাঁকে চমকে দিচ্ছে জয়ী। সিঁথির মতে, ‘ম্যাজিক্যাল মোমেন্ট চলছে এখন।’ ‘জয়ী সব সময় আমাকে সারপ্রাইজ দিচ্ছে। ওর আধো আধো বোল আমাকে খুব আনন্দ দেয়। মনে হয় যেন গাইছে। সুরে সুরে ওর ডাক আমাকে পাগল করে দেয়। মাতৃত্বটাকে দারুণ উপভোগ করছি আমি।’
সম্পর্কিত খবর
প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে একটি দেশের গান নিয়ে আসছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার সঙ্গে আরো আছেন শিল্পী সাঈদা শম্পা। গানটির শিরোনাম, ‘দেখেছি সে তোমাকে’। গোলাম মোর্শেদের কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “যখন শুনেছি গানটি লাকী আখন্দের সুরে তখন আর না করতে পারিনি। পরে গানটির কথা ও সুর শুনে দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর এমন একটি দেশের গান করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকেই হয়তো জানে না আমার কালজয়ী গান ‘আগে যদি জানতাম, মন ফিরে চাইতাম’ গানটিও লাকী আখন্দের সুরের গান।
গীতিকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আমল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সময় পর্যন্ত বাঙারি সত্তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কেবলমাত্র বাংলাকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যারা, তাদের নিয়ে এই গান।
শম্পা বলেন, ‘এমন খ্যাতিমান ভারী ভারী মানুষদের সম্মিলনে তৈরি গানটিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি নিজে অনেক সম্মানিত বোধ করছি, শুধু সেটা নয়, স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবে আছি সেটা পরখ করতে নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে দেখার মতো অবস্থা হয়েছিল। আনন্দের মাত্রা ছিল ঠিক তেমনি, আমার জন্য।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ ‘গান জানালা’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত হবে।
অপরিচিত দুটি ছেলে-মেয়ের এক হঠাৎ জার্নি আর সেই জার্নিতে ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। সেই ঘটনাগুলো কী বলতে চায়—এমন গল্পের আভাসেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
এর মধ্যে ফিল্মটির টিজার, ট্রেলার এবং একটি গান উন্মুক্ত হয়েছে, যা দর্শকরা লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে ‘হাউ সুইট’, এমনটাই জানালেন এর পরিচালক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ওয়েব ফিল্মে রোমান্স, অ্যাকশন, কমেডি, নাচ-গান সব কিছুই রয়েছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘হাউ সুইট’ একটা গুড ফিল, অর্থাৎ মন ভালো করার মতো কনটেন্ট, একটা হ্যাভ ফান কনটেন্ট যেখানে একটু রোমান্স, একটু কমেডি, একটু অ্যাকশন থাকবে। দর্শকরা ঘরে বসে যেন একটু সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারে সে জন্যই ওটিটিতে কনটেন্টটি করেছি।
তিনি আরো বলেন, দর্শক এই ঈদে তাদের ওয়াচলিস্টে ‘হাউ সুইট’কে এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের ব্যাপ্তি অনেক সময় বেশি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
‘হাউ সুইট’-এর ব্যাপ্তি ৮৬ মিনিট, এন্ড টাইটেল মিলিয়ে ৯০ মিনিট। দর্শকের এক সেকেন্ডও বিরক্ত লাগবে না, বরং তারা বলবে আরো ১০ মিনিট বেশি হলে ভালো হতো।
বঙ্গ প্রযোজিত ‘হাউ সুইট’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল প্রমুখ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, ‘প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তী!’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে টলিপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
এর পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, খবরটি ভুয়া।
এর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকাল যে কোনো কিছু লিখে দিয়ে ভিউ বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। মানসিকভাবে অত্যন্ত আহত হয়েছি এমন খবরে।
এর পর পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগে গত ১৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে তার স্ত্রী রাজশ্রী চক্রবর্তী মারা যান।
বললেন, সেই খবর অনেকেই জানতে পেরেছিলেন।
প্রসঙ্গত, হরনাথ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অঞ্জন চৌধুরীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হল মঙ্গলদ্বীপ (১৯৮৯)। তার পরিচালিত সাথী (২০০২) বাংলার তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০টি একক নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা এস আই সোহেল। নাটকগুলো প্রযোজনা করেছেন পিএফএফ এন্টারটেইনমেন্ট, কেএসআর মাল্টিমিডিয়া, ফখরুল ইসলাম ও থ্রি স্টার ড্রামা।
নাটকগুলো হলো পিতার মতো শ্বশুর, ৫ টাকার কয়েন, সাইকো ম্যান, চাটগাইয়া বউয়ের ঠেলা, লতিফের সুন্দরী বউ, প্রবাসীর লাশ, আইল ঠেলা মুসুল্লি, শ্বশুরবাড়ি বরিশাল, শ্বশুরের খেদমত, প্রাক্তনের প্যারা। গল্পগুলো রচনা করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক ও সজিবুর রহমান পিন্টু।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শেলী আহসান, তন্ময় সোহেল, সাব্বির আহমেদ, একে আজাদ, মীম চৌধুরী, সামান্তা পপি, নেহা মনি, নওশীন নাহার, ফারজানা উর্মি, শিশির আহমেদ, নাবিলা চৌধুরী, রেশমি আহাম্মেদ, আনোয়ার শাহী, এম কে এইচ পামির, শিবা শানু, জিনিয়া যিনি, নাবিলা চৌধুরী, শিশির আহমেদ, ইমরান আজান, টি.এ. তুহিন খান, একে আলামিন, ইভা রহমান, টিটু বাঙ্গালী, লিটন, মাইমুনা মম, সাবিনা রনি, নাহার নৌরিন আরও অনেকে।
এর বাইরে এসআইসোহেল ‘রঙিন ফিলিংস’ নামে একটি বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল এবং শাহরিয়ার রাফাত। গানটির গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ।