নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মংলা (বাগেরহাট) থেকে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ রিপা। এর পর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘মুক্তি’ নামে আরেক ছবির লিড রোল করেন। সেই ছবি মুক্তির আগে রাজ রিপার ‘ময়না’ নামে আরেক ছবি মুক্তি পাচ্ছে।
নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মংলা (বাগেরহাট) থেকে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ রিপা। এর পর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘মুক্তি’ নামে আরেক ছবির লিড রোল করেন। সেই ছবি মুক্তির আগে রাজ রিপার ‘ময়না’ নামে আরেক ছবি মুক্তি পাচ্ছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নায়িকা রিপার অভিষেক হতে চলল।
এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। দীর্ঘ সাত বছর পর আবার দর্শক আমাকে বড় পর্দায় দেখবেন। এই সাত বছর আমি অনেক যুদ্ধ করেছি, অনেকবার হেরে গিয়েছি, কেঁদেছি, আবার শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছি। এখন সফলতার মুখ দেখার অপেক্ষায়।
ভালোবাসা দিবসের মতো একটি বিশেষ দিনে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। নিজেও নিশ্চয়ই প্রেম করেন?
হ্যাঁ। প্রেমের মধ্যে থাকতেই ভালো লাগে। তবে এখন যে প্রেমটি করছি, সেটা তিন বছর ধরে চলছে। আশা করছি, এই প্রেমিকের বুকেই বাকি জীবন পার করতে পারব।
রায়হান রাফীর ‘দহন’ ছবিতে আপনার উপস্থিতি ছিল। ওটাকে ভুলে গিয়ে কি ‘ময়না’কে প্রথম চলচ্চিত্র বলতে চান?
একদমই না। ‘দহন’-এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া, ‘ময়না’রও প্রযোজক তারা। ‘দহন’-এ আমার চরিত্রের নাম ছিল ‘ফুলবানু’। সে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসে। একটা সময় নায়িকাও হয়, তবে বোমা হামলায় নিহত হয়। ‘ময়না’তে ফুলবানুর নায়িকা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রযোজক। ফলে আমি ‘দহন’কে কখনোই আমার ক্যারিয়ার থেকে মুছতে পারব না।
‘ময়না’র আগেই ‘মুক্তি’ শুরু করেছিলেন। সেটার কী খবর?
তিন বছর ধরে দর্শক ছবিটির প্রতীক্ষায় রয়েছেন। এখনো তাঁরা আশাহত হননি। ফলে আমিও আশাবাদী, ‘মুক্তি’ যখনই হলে আসবে দর্শক গ্রহণ করবে। এর মধ্যে একটি গান বাদে সব শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগিরই এফডিসিতে সেট ফেলে গানটির শুটিং হবে বলে পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী জানিয়েছেন। কোনো একটা উৎসবে ছবিটি মুক্তি দিতে চান তিনি। আমার বিশ্বাস, এ বছরই ছবিটি দর্শকের সামনে আসবে।
আপনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ট্রল হয়েছে। বিশেষ করে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে আপনার বলা ‘আমার চার দেয়নি’ নিয়ে...
বরাবরই মানুষের প্রশংসা পেয়ে অভ্যস্ত। ফলে ট্রল হলে কেমন লাগে বুঝতাম না। চার মেরে সেটা বুঝেছি। ‘ওরা সত্যিই আমাকে চার দেয়নি’। ট্রলের প্রথম কয়েক দিন খুব কেঁদেছিলাম। পরে যখন বুঝলাম মানুষের হাসির কারণ হয়েছি আমি, তখন স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলাম।
ব্যাডমিন্টনে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। খেলা থেকে সরে এলেন কেন?
খুলনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। আমার বাবা চাইতেন খেলাটাই আমার ধ্যান-জ্ঞান হোক। অন্যদিকে ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল, নায়িকা হব। একদিন বাবাকে বললাম, ঢাকায় যাব পড়তে। সেখানে মডেলিংটাও শুরু করব। বাবা বললেন, খুলনা ছেড়ে কোথায় যাওয়া যাবে না। অমনি আমিও জেদ ধরলাম, বাবার স্বপ্নের খেলাটাও ছেড়ে দেব। শেষ পর্যন্ত আমিই জয়ী হলাম, বাবা অনুমতি দিলেন। অবশ্য খেলাটা আজও খুব মিস করি।
বিজ্ঞাপনচিত্রে আপনাকে সাকিব আল হাসানের মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গেও দেখা গেছে। অথচ এখন বিজ্ঞাপন করছেন না কেন?
করোনা টিকার সাইড ইফেক্টে পড়েছিলাম দুই বছর আগে। আট মাস ছিলাম অসুস্থ। তখন অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েও ছেড়ে দিতে হয়েছে। গত বছর সুস্থ হলাম। পরে যেসব প্রস্তাব পেলাম সেগুলো আমার আগের বিজ্ঞাপনচিত্রগুলোর মানের চেয়েও খারাপ। তাই আর করিনি।
মাঝখানে আপনার বিরুদ্ধে একজন প্রযোজককে মারপিটের অভিযোগ উঠেছিল। ব্যাপারটা কতটুকু সত্যি?
সম্পূর্ণ মিথ্যে। আর যাকে ঘিরে এমন খবর রটেছিল তিনি কখনো প্রযোজক ছিলেন না। একটা নাটক বা সিনেমাও তিনি নির্মাণ করেননি। শুধু শুধু ক্রোধের বশে কেউ এমন খবর রটিয়েছে।
নতুন কী করছেন?
নতুন একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। মার্চে শুটিং। একটা প্রসাধনী ব্রান্ডে শেয়ার আছে আমার। ‘স্যাভি বিউটি’ নামের ব্রান্ডটির প্রমোশনেও কাজ করছি।
সম্পর্কিত খবর
প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে একটি দেশের গান নিয়ে আসছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার সঙ্গে আরো আছেন শিল্পী সাঈদা শম্পা। গানটির শিরোনাম, ‘দেখেছি সে তোমাকে’। গোলাম মোর্শেদের কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “যখন শুনেছি গানটি লাকী আখন্দের সুরে তখন আর না করতে পারিনি। পরে গানটির কথা ও সুর শুনে দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর এমন একটি দেশের গান করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকেই হয়তো জানে না আমার কালজয়ী গান ‘আগে যদি জানতাম, মন ফিরে চাইতাম’ গানটিও লাকী আখন্দের সুরের গান।
গীতিকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আমল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সময় পর্যন্ত বাঙারি সত্তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কেবলমাত্র বাংলাকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যারা, তাদের নিয়ে এই গান।
শম্পা বলেন, ‘এমন খ্যাতিমান ভারী ভারী মানুষদের সম্মিলনে তৈরি গানটিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি নিজে অনেক সম্মানিত বোধ করছি, শুধু সেটা নয়, স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবে আছি সেটা পরখ করতে নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে দেখার মতো অবস্থা হয়েছিল। আনন্দের মাত্রা ছিল ঠিক তেমনি, আমার জন্য।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ ‘গান জানালা’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত হবে।
অপরিচিত দুটি ছেলে-মেয়ের এক হঠাৎ জার্নি আর সেই জার্নিতে ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। সেই ঘটনাগুলো কী বলতে চায়—এমন গল্পের আভাসেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
এর মধ্যে ফিল্মটির টিজার, ট্রেলার এবং একটি গান উন্মুক্ত হয়েছে, যা দর্শকরা লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে ‘হাউ সুইট’, এমনটাই জানালেন এর পরিচালক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ওয়েব ফিল্মে রোমান্স, অ্যাকশন, কমেডি, নাচ-গান সব কিছুই রয়েছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘হাউ সুইট’ একটা গুড ফিল, অর্থাৎ মন ভালো করার মতো কনটেন্ট, একটা হ্যাভ ফান কনটেন্ট যেখানে একটু রোমান্স, একটু কমেডি, একটু অ্যাকশন থাকবে। দর্শকরা ঘরে বসে যেন একটু সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারে সে জন্যই ওটিটিতে কনটেন্টটি করেছি।
তিনি আরো বলেন, দর্শক এই ঈদে তাদের ওয়াচলিস্টে ‘হাউ সুইট’কে এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের ব্যাপ্তি অনেক সময় বেশি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
‘হাউ সুইট’-এর ব্যাপ্তি ৮৬ মিনিট, এন্ড টাইটেল মিলিয়ে ৯০ মিনিট। দর্শকের এক সেকেন্ডও বিরক্ত লাগবে না, বরং তারা বলবে আরো ১০ মিনিট বেশি হলে ভালো হতো।
বঙ্গ প্রযোজিত ‘হাউ সুইট’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল প্রমুখ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, ‘প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তী!’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে টলিপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
এর পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, খবরটি ভুয়া।
এর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকাল যে কোনো কিছু লিখে দিয়ে ভিউ বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। মানসিকভাবে অত্যন্ত আহত হয়েছি এমন খবরে।
এর পর পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগে গত ১৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে তার স্ত্রী রাজশ্রী চক্রবর্তী মারা যান।
বললেন, সেই খবর অনেকেই জানতে পেরেছিলেন।
প্রসঙ্গত, হরনাথ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অঞ্জন চৌধুরীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হল মঙ্গলদ্বীপ (১৯৮৯)। তার পরিচালিত সাথী (২০০২) বাংলার তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০টি একক নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা এস আই সোহেল। নাটকগুলো প্রযোজনা করেছেন পিএফএফ এন্টারটেইনমেন্ট, কেএসআর মাল্টিমিডিয়া, ফখরুল ইসলাম ও থ্রি স্টার ড্রামা।
নাটকগুলো হলো পিতার মতো শ্বশুর, ৫ টাকার কয়েন, সাইকো ম্যান, চাটগাইয়া বউয়ের ঠেলা, লতিফের সুন্দরী বউ, প্রবাসীর লাশ, আইল ঠেলা মুসুল্লি, শ্বশুরবাড়ি বরিশাল, শ্বশুরের খেদমত, প্রাক্তনের প্যারা। গল্পগুলো রচনা করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক ও সজিবুর রহমান পিন্টু।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শেলী আহসান, তন্ময় সোহেল, সাব্বির আহমেদ, একে আজাদ, মীম চৌধুরী, সামান্তা পপি, নেহা মনি, নওশীন নাহার, ফারজানা উর্মি, শিশির আহমেদ, নাবিলা চৌধুরী, রেশমি আহাম্মেদ, আনোয়ার শাহী, এম কে এইচ পামির, শিবা শানু, জিনিয়া যিনি, নাবিলা চৌধুরী, শিশির আহমেদ, ইমরান আজান, টি.এ. তুহিন খান, একে আলামিন, ইভা রহমান, টিটু বাঙ্গালী, লিটন, মাইমুনা মম, সাবিনা রনি, নাহার নৌরিন আরও অনেকে।
এর বাইরে এসআইসোহেল ‘রঙিন ফিলিংস’ নামে একটি বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল এবং শাহরিয়ার রাফাত। গানটির গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ।