নাটকের অভিনেতা এফ এস নাঈম। সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তবে ১৫ বছর আগে। ২০১০ সালে ‘জাগো’ নামে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পায়।
নাটকের অভিনেতা এফ এস নাঈম। সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তবে ১৫ বছর আগে। ২০১০ সালে ‘জাগো’ নামে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পায়।
‘জলে জ্বলে তারা’ ছবিতে কেমন চরিত্রে দেখা যাবে আপনাকে?
এটা বলতে পারি, দর্শক আমাকে এমন চরিত্রে আগে দেখেননি।
ছবিতে জুটি বেঁধেছেন মিথিলার সঙ্গে। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
দুর্দান্ত। মিথিলার সবচেয়ে বড় গুণ, টিমমেট হতে পারে। মুহূর্তের মধ্যেই ইউনিটের সবাইকে আপন করে নিতে পারে সে। এই ছবিতে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য আছে। যেমন একটি দৃশ্যে তাঁকে চরকিতে বেঁধে রাখা হয়। দূর থেকে সেই চরকিতে ছুরি ছুড়তে থাকে একজন। আমরা বলেছিলাম ডামি দিয়ে করতে। কিন্তু মিথিলা নিজেই দৃশ্যটি করেছে। কতটা ডেডিকেশন থাকলে কোনো অভিনেত্রী এমন ঝুঁকি নিতে পারে!
অরুণ চৌধুরী গুণী নির্মাতা। আপনার কাছ থেকে তিনি কতটা আদায় করে নিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন?
অরুণদা তো অসাধারণ। গল্পটি যেদিন শুনিয়েছিলেন, সেদিনই আমি ভেতরে ভেতরে তৈরি হয়েছিলাম। শুটিং স্পটে কোনো দৃশ্যে খুব একটা রিপিট করতে হয়নি। দাদাও দৃশ্য ধারণের আগে নিজের মতো করে বুঝিয়ে দিতেন, কী চান তিনি। তবে এটা বলতে চাই, ‘কারাগার’ বা ‘কালপুরুষ’-এর চরিত্রগুলো থেকে হোসেন মাঝি চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। দাদা সেটা আমার থেকে বের করেও নিয়েছেন।
২০১০ সালে ‘জাগো’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। ১৫ বছর পরে দ্বিতীয় ছবি। এত অপেক্ষা কেন?
আসলে ‘জলে জ্বলে তারা’র মতো একটা ছবির অপেক্ষায় ছিলাম এত দিন। অফার যে পাইনি তা নয়। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, নিজেকে দেখানোর মতো কোনো চরিত্র না পেলে ছবিতে অভিনয় করব না। ১৫ বছর কেন অপেক্ষা করেছি সেটা এই ছবি দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন।
আমাদের দেশে সাধারণত তারকারা লুক বদলাতে চান না। আপনি সেটা নিয়মিতই করেন। দর্শকের সাড়া পান কেমন?
একটা উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। চরিত্রের জন্য ৪৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। পরে সেটা কমাতেও কম কষ্ট হয়নি। তবে এই প্রজন্মের অভিনেতারা যখন আমাকে দেখে ‘মি. জেন্টেলম্যান অ্যাক্টর’ বলে ডাকে, তখন খুব ভালো লাগে। মনে তৃপ্তি পাই। সব সময়ই চেয়েছি আমাকে দেখে আর দশটা নাঈমের জন্ম হোক।
ওটিটিতে নতুন কী করছেন?
এটা তো এখন বলা যাবে না। তবে হ্যাঁ, আরেকটা ধামাকা আসছে সেটা জানিয়ে রাখছি। হয়তো ঈদেই দেখতে পাবেন।
বড় পর্দায় নিয়মিত হবেন এবার?
যদি সুযোগ দেন নির্মাতারা তাহলে নিয়মিত হব। তবে শর্ত আছে, আগে আমার গল্প পছন্দ হতে হবে। আমি তো সব সময় শুটের মধ্যেই আছি। কখনো নাটক, কখনো টেলিছবি আর ওটিটি তো আছেই। এই যে আজকেও কিন্তু আমি শুটিংয়ে। একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের শুট করছি। আমার দর্শক তো নিয়মিতই আমাকে পর্দায় দেখছে, হোক সেটা ছোট পর্দা। শুধু শুধু বড় পর্দায় কাজ করার জন্য যা-তা ছবি করতে পারব না।
আপনি তো গানেরও মানুষ। নতুন গানের খবর কী?
গান তো করছিই। তবে ভালোবাসা দিবসে কোনো গান প্রকাশ করব না। ঈদের অপেক্ষা করছি। ঈদে ‘ভালোবাসার ঘর’ নামে একটি গান প্রকাশ করব। লেখা-সুরও আমার। সঙ্গে আছে আমার ব্যান্ডের পার্টনার রাশা চাকলাদার।
সম্পর্কিত খবর
‘হাতে তিন-চারটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করতে চাই না।’ এভাবেই এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্র নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এরপর আর সিনেমা করাটাও সুন্দর দেখায় না।
জানা যায়, ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার।
বর্ষা বলেন, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। তত দিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তা-ও সে এ কথা বলছে।’
এরপর বর্ষা বলেন, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অনন্ত জলিলের অভিনয় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে এলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’
তিনি বলিউড খিলাড়ি। নিজের সোনালি সময়ে ভক্ত অনুরাগীদের কাছে যেমন ছিলেন প্রত্যাশিত, তেমনি নায়িকাদের হৃদয়েও ঝড় তুলেছেন বারবার। সহ-অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের হিট নায়িকা শিল্পা শেঠিদের হৃদয়ের পুরুষ ছিলেন। তবে সেই অক্ষয় কুমার কিনা মাঝরাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে যান আরেক নায়িকার বাড়িতে।
নব্বইয়ের দশকে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমা করেছেন অক্ষয় কুমার ও আয়েশা জুলকা। মিষ্টি নায়িকা আয়েশা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রযোজকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন। ঋষি কাপুর, অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, আমির খান- বলিউডের তাবড় তাবড় নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধুই তাই নয়, নীতিশ ভরদ্বাজ, বিবেক মুসরান, কামাল সাদানার মতো নতুন হিরোদের সঙ্গে জুটি বেঁধেও একের পর এক হিট দিয়েছেন আয়েশা।
শোনা যায়, আয়েশাকে নাকি দারুণ পছন্দ ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। গুঞ্জন রটেছিল ‘দালাল’ সিনেমার পর আয়েশাও নাকি মিঠুনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ঠিক এই সময়ই এন্ট্রি নেন অক্ষয়। ‘খিলাড়ি’ সিনেমায় আয়েশার সঙ্গে জুটি বাধার পরই শুটিংয়ের বাইরে অক্ষয়ের প্রেম শুরু!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টিভি নাইন বাংলা’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবর নিয়ে বলিউডে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
জানা গেছে, আয়েশার ঘরে ঢুকে নাকি প্রেমের প্রস্তাব দেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তবে তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাবকে নাকচ করেন আয়েশা। কেননা, অক্ষয়ের স্বভাবের কথা তিনি জানতেন।
অক্ষয় ও আয়েশা বেশ কিছু হিট সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘খিলাড়ি’, ‘ওয়াখত হামারা হ্যায়’, ‘জয় কিষান’, ‘বারুদ’-এর মতো সিনেমা। বর্তমানে অক্ষয় বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়ক হলেও আয়েশা রয়েছেন বলিউড থেকে অনেকটাই আড়ালে।
বিশ্ব এখন প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষের দিন শুরু হয় প্রযুক্তি দিয়ে। জীবনযাপনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই প্রযুক্তির ছোঁয়া। তবে প্রযুক্তিময় পৃথিবীতে ব্যতিক্রমী কিছু মানুষও রয়েছেন যারা নিজেদের রেখেছেন এই যান্ত্রিকতার বাইরে।
সালমা হায়েক বলেন, তিনি যতটা সম্ভব প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।
ম্যারি ক্লেয়ার ম্যাগাজিনকে সালমা হায়েক বলেন, ‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মানুষের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দেয়, কারণ এতে মস্তিষ্ক অলস হয়ে পড়ে। আমি সবকিছু হাতে লিখি।
সালমা হায়েকের আরো কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হায়েক আরও জানান, তিনি বেশ কয়েকটি লাভজনক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, এবং তার স্বামী তার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেন। তবে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন যে, প্রচুর অর্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি অর্থ নিয়ে আলোচনা পছন্দ করেন না, বিশেষ করে অন্য ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে।
ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেত্রী গাল গ্যাডট জায়গা পেয়েছেন হলিউডের সম্মানসূচক ‘ওয়াক অব ফেম’-এ। বিশ্বের কিংবদন্তি সব হলিউড তারকাদের সঙ্গে নাম জুড়ল অভিনেত্রীর। হলিউডের অন্যতম মর্যাদাসূচক এ সম্মাননায় উচ্ছ্বসিত ‘ওয়ান্ডারওম্যান’ অভিনেত্রী।
তবে এই অর্জনকে কেন্দ্র করেই ঘটল বিশৃঙ্খলা।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাল গ্যাডট কেবল ইসরায়েলি অভিনেত্রীই নন, দেশটির সামরিক বাহিনীতেও বছর দুয়েক ছিলেন। নিজের দেশের পক্ষে তিনি সব সময় সরব।
প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়াক অব ফেমের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর সমর্থনে হাজির হয়েছিলেন ইসরায়েলপন্থীরা। অন্যদিকে ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ শুরু হতেই লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। যদিও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু লোককে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি গাল গ্যাডট।