ছোট পর্দার এ সময়ের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই সামিরা খান মাহির। মুহূর্তে দর্শক বন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন নজর কাড়ছেন স্টাইলিশ অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি।
সংখ্যার চেয়ে মানে ভালো নাটক করতে চাই : মাহি
- এখন পর্যন্ত ১২০টি নাটকে দেখা গেছে মাহিকে
- সংখ্যার চেয়ে এখন মানের দিকেই নজর দিচ্ছেন
বিনোদন প্রতিবেদক

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া নাটকগুলো থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এরই মধ্যে যে নাটকগুলো মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো বেশ আগেই শুটিং করা ছিল। ‘ফার্ম গেট’, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ নাটকগুলো হয়তো নির্মাতারা আগে মুক্তি দিতে চেয়ে পারেননি। তাই বিশেষ এই দিনকে বেছে নিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে নিলয় আলমগীরের সঙ্গে ‘কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী’ নাটকটি মুক্তি পেয়েছে।
এই নাটকটায় দারুণ সাড়া পেয়েছি। নতুন নাটকের মধ্যে শুধু ‘প্রশ্ন করো না’ মুক্তি পেয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। এটি পরিচালনা করেছেন সাইদুর রহমান। আমার সঙ্গে জুটি হয়েছেন আরশ খান। সাধারণত আগে যে ধরনের নাটকে দর্শক আমাকে নিয়মিত দেখেছেন এ নাটকটি সেই ধরনের নয়।
আরো নতুন নাটক আসবে তো...
আসবে তো। ‘যদি তোমারে না পাই’, ‘সত্য মিথ্যার প্রেম’, ‘হিটার’ মুক্তি পাবে একে একে। তিনটিতেই আমার সঙ্গে আছেন খায়রুল বাসার। এখন তাঁর সঙ্গেই কাজ হচ্ছে বেশি। আগামী দিনেও আরো কয়েকটি নাটকের শুটিং শুরু করব আমরা।
হঠাৎ বাসারের সঙ্গে কাজ বাড়ার কারণ কী?
একটা সময় ট্রেন্ডি গল্পে কাজ বেশি করতাম। এখন পর্যন্ত আমার অভিনীত ১২০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছে, যার ৯০ শতাংশই ট্রেন্ডি। তবে এখন সিদ্ধান্ত বদলেছি। রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্পে কাজ করতে চাই। খায়রুল বাসারও এই ধরনের কাজ করেন বেশি। তা ছাড়া বাসারের সঙ্গে কয়েকটি কাজ করে মনে হয়েছে, দারুণ সিংক হচ্ছে আমাদের। নির্মাতারাও সেটা লক্ষ্য করেছেন। ফলে তাঁরাও ডাকছেন।
গত দুই বছর আপনি টানা অভিনয় করেছেন। মনে হচ্ছে, এখন একটু বিরতি নিয়েছেন?
শুরুতে আমাকে শেখানোর কেউ ছিল না। নিজেও নতুন ছিলাম। যখন যে নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি বুঝে না বুঝে হ্যাঁ বলেছি। এতে শুধু সংখ্যাটাই বেড়েছে। এখন সংখ্যার চেয়ে মানে ভালো নাটক করতে চাই। মনের মতো পাণ্ডুলিপি যখন পাচ্ছি তখনই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি। না পেলে অপেক্ষা করছি। ফলে বিরতি পড়ছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
নাটকের শুটিংয়ের সেটে ধারণ করা ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন আপনি। প্রযোজক-পরিচালক কিছু বলেন না?
আমি তো নাটকের দৃশ্যের কোনো ক্লিপ প্রকাশ করি না। সহশিল্পীদের সঙ্গে ফানি মোমেন্ট ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করি। নিলয় আলমগীর মাঝখানে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাঁর ইউনিটে কেউ ভিডিও ক্লিপ ছাড়তে পারবে না। অথচ আমি কিন্তু ‘কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী’ নাটকে তাঁর সঙ্গেই করা চার-পাঁচটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছি। তিনি কিছুই বলেননি। এখন আপনি যদি নাটকের চরিত্র দর্শককে জানিয়ে দেন, গল্প ফাঁস করে দেন তাহলে কে মেনে নেবে?
আপনার ভ্লগগুলো সব সিলেটি ভাষায়ই। বিশেষ কোনো কারণ আছে নাকি?
আমি সিলেটের মেয়ে। এই অঞ্চলের ভাষার প্রতি আলাদা টান রয়েছে। যদিও ক্যারিয়ারে মাত্র পাঁচটি নাটক করার সুযোগ হয়েছে সিলেটি ভাষায়। এই অঞ্চলের ভক্তদের জন্যই আমার ভ্লগগুলো সিলেটি ভাষায় করি। বিশ্বাস করবেন না, শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, অন্য অঞ্চলের মানুষও এসব ভ্লগ পছন্দ করে। মন্তব্যের ঘরে গেলেও সেটা বুঝতে পারবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমিককে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন। দুজনের হাতে একটি টেডি বিয়ারও ছিল। বিশেষ কোনো ইঙ্গিত নাকি?
আরে না! কী যে বলেন (হা হা হা)। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুটিং ছিল না। তাই ভাবলাম, কিছু শপিং করি। দুজনে বের হলাম। যে দোকান থেকে কেনাকাটা করলাম তারা এই টেডি বিয়ারটা গিফট করেছিল। এখন কী করব! ওটা তো আর রেখে আসতে পারি না। হাতে করে ঘুরে বেড়ালাম। জানি এখন প্রশ্ন করবেন, বিয়ে কবে করছেন? আগেই বলে দিই, গুনে গুনে পাঁচ বছর পর। মানে ২০৩০ সালে। এর আগে আমাদের নিয়মিত দেখা হবে, কিন্তু বিয়ে হবে না।
সম্পর্কিত খবর

হঠাৎ ঢাকায় শাবনূর, ছিলেন মাত্র ৮ ঘণ্টা—কী হয়েছিল?
বিনোদন প্রতিবেদক

চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন আবার কিছুদিন থেকে চলে যান। গত এক দশকে এভাবেই চলছে ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকার জীবন।
এর মধ্যে হঠাৎ করে অনেকটা চুপিসারে ঢাকায় এসেছেন শাবনূর।
জানা গেছে, শাবনূরের এই তাড়াহুড়া ও হঠাৎ বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত তার মায়ের অসুস্থতার কারণে।
সিডনির সময় গত ২৮ মার্চ তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চড়ে তিনি একাই ঢাকায় আসেন।
শাবনূর গণমাধ্যমে বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে তিনি দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন না।
এরপর আমি টিকিট খোঁজা শুরু করলাম। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। লাগেজ নিইনি, তাই কোনো কাপড়চোপড় নিইনি। বলা যায়, এক কাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাগপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়—কিভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।’
শাবনূর বললেন, ‘ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বললেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। আম্মারও কষ্ট হচ্ছিল। এসেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাড়াহুড়া করে আম্মার লাগেজ গুছিয়ে আবার উড়াল দিলাম।’
সিডনি যাওয়ার পরপরই তার মাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানান শাবনূর। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।
শাবনূরের মা, ভাই ও বোন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। তবে সবাই কোনো না কোনো সময় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। এবার তার মা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় ছিলেন। এর মধ্যে এক মাস ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের শেষ কিস্তি নিয়ে উন্মাদনা
বিনোদন ডেস্ক

‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা বরাবরই। এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেইসঙ্গে এটি হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা। এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজের আট নাম্বার সিনেমা দেখার জন্য।
সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রিকনিং’ নামে এ সিনেমার নতুন ট্রেলার। যেখানে টম ক্রুজ একটি ফাইটার জেট থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং পরবর্তী সময়ে তাকে একটি উলটেপড়া বিমান থেকে ঝুলতে দেখা যায়।
জানা গেছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ দেখা হতে পারে। কারণ আটটি সিনেমার পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন অভিনেতা।
‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এ ভক্তরা যে ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন আশা করেছেন, টম ক্রুজ সেটা ইতোমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন। এ কিস্তিতে রয়েছে একটি ডুবোজাহাজের মধ্যে ভয়ংকর মারামারির দৃশ্য।
এ দৃশ্যটির শুটিং কতটা মারাত্মক ও ভয়ংকর ছিল তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে টম বলেন, ‘যখন আপনার মুখটি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছোটা কোনো যানের (বিমানের) অভিমুখে থাকে, তখন বুঝবেন সময়টা আপনার জন্য কতটা কঠিন। কারণ, তখন আপনি অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাই এ দৃশ্যটির শুটিংয়ের জন্য আমাকে শ্বাস নেওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমি শারীরিকভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতাম; আমি ককপিটে ফিরে যেতে পারতাম না।
প্রসঙ্গত, ব্রুস গেলারের টেলিভিশন সিরিজ মিশন: ইম্পসিবলের উপর ভিত্তি করে, এটি মিশন: ইম্পসিবল - ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান (২০২৩) এর সরাসরি সিক্যুয়াল এবং সিরিজটির অষ্টম এবং শেষ কিস্তি।
সিনেমাটির চিত্রনাট্যের পাশাপাশি এটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি প্রযোজনা করেছেন টম ক্রুজ এবং পরিচালক নিজেই।

‘আমি গাড়িতেই ছিলাম’, পথচারী নিহতের ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী
বিনোদন ডেস্ক

মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওপার বাংলার ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। বেশকয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয় সিদ্ধান্ত দাসের গাড়ি।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে ডিএইচ রোডে সিদ্ধান্তের গাড়ি বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। সেই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ। কিন্তু দুর্ঘটনার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে অভিনেত্রী ঋ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই গাড়িতেই ছিলাম, যখন ওই দুর্ঘটনা হয়। তবে আমি কোনওরকম নেশা করিনি, কখনও করিও না। আমার গাড়ি ছিল না। গাড়ি চালাতেও পারি না।
কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম (বেহালা) রাহুল দে জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজারের মধ্যে ঢুকে যায় একটি গাড়ি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সিদ্ধান্ত। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় সিদ্ধান্তকে।
শনিবার রাতে একটি পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত, বেসরকারি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। তাঁরা প্রত্যেকে সান বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘ভিডিও বৌদি’-এর সঙ্গে যুক্ত। সেই ধারাবাহিকের ভাল রেটিং সেলিব্রেট করতেই জমায়েত হন তাঁরা। সেখান থেকে জোকায় একজনের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে একটি গাড়িতে সিদ্ধান্ত, ঋ ও শ্রিয়া বের হন। এরপরই ঠাকুরপুকুরের জনবহুল বাজার এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালাতে থাকে সিদ্ধান্ত। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পরও শ্রিয়া এমনই মাতাল ছিলেন যে, সোজা হয়েও দাঁড়াতে পারছেন না। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করছেন খোদ টলিউড তারকারা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে নিরীহ মানুষ মেরে ফেলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তপ্ত এ দুর্ঘটনা ঘিরে।

‘মানসিক হাসপাতালে যেতে রাজি, তবুও বিগ বসে যাব না’
বিনোদন ডেস্ক

রাজনৈতিক জোকস বলে কিছুদিন আগেই বিতর্কের মুখে পড়েন কুণাল কামরা। বুক মাই শো থেকে তাকে ব্ল্যাকলিস্টেড পর্যন্ত করা হয়েছে। এসব বিতর্কের মাঝেই এবার বিগ বসের প্রস্তাব পেলেন জনপ্রিয় এই স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান।
কুণাল কামরা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে বিগ বসের কাস্টিং এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি কুণাল কামরাকে এবারের সালমানের এই শোতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিজেকে কাস্টিং এজেন্ট বলে দাবি করা সেই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমি এবারের বিগ বসের সিজনের কাস্টিং হ্যান্ডেল করছি। তাই আপনার নাম সেটার জন্য ভাবছি কারণ মানুষের কাছে বিষয়টা আগ্রহের হতে পারে। আমি জানি হতে পারে আপনার র্যাডারে বিষয়টা ছিল না বা নেই হয়তো। কিন্তু এই পাগল করা এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার নিজের ভাইব দেখাতে পারবেন, আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
এই কথপোকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে কুণাল কামরা সেটার জবাবে লেখেন, ‘আমি এটার থেকে মানসিক হাসপাতালে যেতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করব।’এই পোস্টের সঙ্গে তিনি সালমান খানের ছবি রাধে থেকে একটি গান জুড়ে দিয়েছিলেন। তবে বিগ বস সিজন ১৯ নাকি বিগ বস ওটিটির প্রস্তাব গিয়েছিল তার কাছে, সেটা স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন থেকে একনাথ শিন্ডেসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নানা জোকস বলেছেন, মশকরা করে প্যারোডি গেয়েছেন।