মাহবুবা চৌধুরী

সেই যে শুরু, আর থামিনি

  • সংবাদ পাঠ ও উপস্থাপনায় স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব তিনি
  • একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, প্রকাশক এবং একজন শিশুসাহিত্যিক
বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
সেই যে শুরু, আর থামিনি
মাহবুবা চৌধুরী

সংবাদ পাঠ, উপস্থাপনা তো করেনই, একাধারে তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং একজন শিশুসাহিত্যিক। আসছে রমজানে বাংলাভিশনে তাঁকে দেখা যাবে রন্ধনবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়। মাহবুবা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

কেমন আছেন?

ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটছে। তার পরও একটু অবসর পেলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হই। এই তো।

এবারের রমজানের অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

চার বছর ধরে রোজার মাসে ‘রুহ আফজা মজাদার ইফতার’ অনুষ্ঠানটা করি বাংলা ভিশনের। এরই মধ্যে এবারের ৩০ পর্বের শুটিং সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি পর্বে একজন সেলিব্রিটি বা রন্ধন বিশারদ থাকবেন আমার সঙ্গে। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।

কথায় কথায় নামে চ্যানেল আইতে একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন...

২০০২ সালে অনুষ্ঠানটি শুরু করেছিলাম। ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ২০০টি পর্ব প্রচারিত হয়েছিল। পর্দার আড়ালের গুণীজনদের অতিথি করতাম অনুষ্ঠানটিতে। সুলতানা জামান আপা এক সময়ের দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন। দীর্ঘ ২২ বছর পর তাঁকে পর্দার সামনে এনেছিলাম এই অনুষ্ঠানে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা এহতেশামকেও একটি পর্বে অতিথি করার সুযোগ হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি ধারণ করার চার দিন পরই তিনি না-ফেরার দেশে পাড়ি দেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের কাছে তাঁর কোনো ফুটেজ ছিল না। আমাকে তারা অনুরোধ করেছিল চ্যানেল আইকে বলে কিছু ফুটেজ দেওয়ার জন্য। এ রকম অনেক অনেক স্মৃতি আছে অনুষ্ঠানটি ঘিরে। ২০১২ সালে আমার ছেলে দেশের বাইরে পড়তে গিয়েছিল। সঙ্গে আমাকে যেতে হয়েছিল বলে আর অনুষ্ঠানটা করা হয়নি।

আশির দশকের শুরুতে সংবাদ পাঠে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। সেই সময়ে এই পেশায় যোগ দেওয়া খুব সহজ ছিল কি?

আমরা খুব কঠিন সময় পাড়ি দিয়েছিলাম। মনে আছে, চারটি ধাপ পার করার পর আমি সংবাদ পাঠে সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন দেশে একটামাত্র টিভি চ্যানেল, বিটিভি। প্রথম ধাপে ছিলাম ৫০ জনের বেশি। শুরুতে রিডিং পড়ার প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এর পরের ধাপে স্ক্রিন টেস্ট হয়েছিল। তারপর আরো দুটি ধাপ পার হয়ে আমরা মাত্র পাঁচজন সুযোগ পেয়েছিলাম। শুরুতে লোকাল নিউজগুলো পড়তাম আমরা। দুই বছর পর ৫ মিনিটের নিউজ এবং দশ বছর পর প্রধান নিউজ পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এখন তো অনেকে এক বছরের মধ্যেই প্রধান নিউজ পড়ার সুযোগ পায়। তা ছাড়া দেশে টেলিভিশন চ্যানেলও অনেক।

আপনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এত বড় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখিসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। সময় করে ওঠেন কিভাবে?

সময়কে কখনো অবহেলা করি না। মনে করেন, টেবিলে বসে আছি, হঠাৎ মুড এলো, একটা ছড়া লিখে ফেললাম। তা ছাড়া প্রতি বুধবার কিন্তু এখনো আমি বাংলাদেশ বেতারে রাত সাড়ে ৮টার সংবাদ পড়ি। নিয়মিত অফিস করি, পরিবারকেও সময় দিই। আমার মনে হয়, সময়ের সঠিক ব্যবহার করলে এক দিনে অনেক কিছুই করা যায়।

আপনি সব সময় পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান তালে এগিয়ে চলার কথা বলেন। বর্তমান সমাজে নারীরা কতটুকু এগিয়েছে বলে মনে করেন?

অনেকটাই এগিয়েছে। আমার কথাই যদি বলি, ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেলাম। খুব ইচ্ছা, সাংবাদিকতায় পড়ব। মনে করতাম, সাংবাদিকতায় না পড়লে সাংবাদিক হওয়া যায় না। ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানালাম। আম্মু-আব্বু  রাজি হলেন না। আব্বু বললেন, ‘এখনো তো তোমাকে কোথাও যেতে হলে ভাই অথবা আমাকে নিয়ে যেতে হয়। তুমি কিভাবে সাংবাদিকতা করবে? তা ছাড়া সাংবাদিকদের রাতবিরাতে বাসায় ফিরতে হয়। সমাজ কী বলবে?’ ইচ্ছাটা আর পূরণ হলো না। বাধ্য হয়ে ফিন্যান্সে অনার্স-মাস্টার্স করলাম। অথচ এখন দেখেন, হাজার হাজার মেয়ে সাংবাদিকতায় পড়ছে, সাংবাদিকতা করছে। আমাদের সময়ে কোনো মেয়ে পাইলট হবে ভাবাই যেত না। আর এখন কত মেয়ে পাইলট! আমরা অনেক এগিয়েছি। তবে আরো এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের বুকে উদাহরণ তৈরি করতে হবে।

শিশু সাহিত্যে আপনার বিশেষ দখল রয়েছে। এটা কি সহজাতভাবে এসেছে?

ছোটবেলায় দেখেছি, পরিবারের সবাই নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ত। বাসায় তখন অবজারভার ও আজাদ পত্রিকা রাখা হতো। বাবার কঠোর নির্দেশ ছিল, পত্রিকা পড়তেই হবে। আমিও পড়তাম। তবে শিশু সাহিত্যের পাতাটা খুব টানত। সেখানেই ছোটদের ছড়া, গল্প পড়ে মনে হতো আমার নামটা যদি সেখানে থাকত! এই শুরু—ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়ে কথা বলতে শুরু করলাম। বাসায় সবাই নাম দিলেন কবি মেয়ে। ১৯৬৮ সালে আমার প্রথম কবিতা ছাপা হয়েছিল ‘পাকিস্তান খবর’ পত্রিকায়। কিছু দিন পরে ডাকযোগে ১০ টাকা সম্মানিও পেয়েছিলাম। সেই যে শুরু, আর থামিনি।

গত ৫৭ বছরে মোট কতটি বই প্রকাশিত হয়েছে আপনার?

৪৪টি। প্রথম বই ‘রেলগাড়ি’ প্রকাশ করেছিলেন আমার স্বামী মতিউর রহমান চৌধুরী। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৩০টি ছড়ার বই ও ১০টি ছোটদের গল্পের বইসহ সংখ্যাটা ৪৪-এ পৌঁছেছে। পাঠক ও প্রকাশকদের অপার ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।

এবারের বইমেলায় কী এসেছে?

এবারও দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি ‘দোতনা ও ছোটমামা’ সিরিজের ও অন্যটি ‘সঙ্গী যখন ছড়া’। আমি বিদেশে ঘুরতে খুব পছন্দ করি। বিদেশে ঘোরার অভিজ্ঞতা ‘দোতনা ও ছোটমামা’ সিরিজে তুলে ধরি। এবার ম্যানিলার অভিজ্ঞতা লিখেছি। বাচ্চারা এই সিরিজ দারুণ পছন্দ করে।

লেখক হিসেবে আপনার অর্জন নিয়ে যদি বলতেন...

অনেক পুরস্কারই তো পেয়েছি। তবে দুজন মানুষের দুুটি বাক্য আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। বিখ্যাত কবি শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ বলেছিলেন বাক্য দুটি। আমার ‘কথায় কথায়’ বইটির প্রকাশনা উৎসবে অতিথি হয়েছিলেন শামসুর রাহমান। স্টেজে তিনি বইটি পড়েছিলেন। এরপর যখন বইটি নিয়ে তাঁকে কথা বলার অনুরোধ করা হলো, তিনি মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে বললেন, ‘আমি ওর (আমার) ছন্দ মিলের বাহাদুরি দেখে স্তম্ভিত হয়েছি।’ আরেকবার বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে কবি আল মাহমুদের সামনে দুটি ছড়া আবৃত্তি করে শুনিয়েছিলাম। শুনে আল মাহমুদ বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে টিভির সামনে যারা কবিতা দুটি শুনলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ঈর্ষান্বিত হয়েছেন, এ মেয়েটা এত সুন্দর ছড়া কিভাবে লেখে!’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অভিনেত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চাকরি হারালেন সেই কর্মী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অভিনেত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চাকরি হারালেন সেই কর্মী
সংগৃহীত ছবি

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাকিবুল হাসান নামের এক ব্যক্তি। পরে ওই ব্যক্তির মন্তব্যের স্ক্রিনশটসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অভিনেত্রী। 

এর পরদিনই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। রাকিবুল ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী।

আজ সন্ধ্যায় দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া জানিয়েছেন, রাকিবুল হাসানকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  

আরো পড়ুন
শবনম ফারিয়াকে আপত্তিকর মন্তব্য, সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান

শবনম ফারিয়াকে আপত্তিকর মন্তব্য, সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান

 

ফেসবুকে শবনম ফারিয়া জানিয়েছেন, রাকিবুলের চাকরিচ্যুতির কথা তাকে ই-মেইলের মধ্যে জানিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। নিজের ফেসবুক পোস্টে ই-মেইলটিও শেয়ার করেছেন তিনি।

শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ, বিষয়টিকে তারা সিরিয়াসলি নিয়েছেন।

কিভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে, প্রতিষ্ঠানটি সেই উদাহরণ তৈরি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সহিংসতা কেবল শারীরিক নয়, এটা হতে পারে অনলাইন বা রাস্তায় হয়রানি বা অন্য যেকোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন। কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয়।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ট্রেন্ডিংয়ে ‘কন্যা’, সজলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দর্শক

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
ট্রেন্ডিংয়ে ‘কন্যা’, সজলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দর্শক
সংগৃহীত ছবি

ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে একাধিক সিনেমা, তার মধ্যে একটি আব্দুন নূর সজল অভিনীত ‘জ্বীন-৩’। সিনেমার মুক্তি ঘিরে চলছে জোর প্রচারণা। তার অংশ হিসেবে কিছুদিন আগেই অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে সিনেমাটির প্রথম গান ‘কন্যা’, যা ইতোমধ্যে দর্শকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গানটিতে উৎসবের আমেজ পেয়েছেন শ্রোতাদর্শকরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গানটি শেয়ার করে এমন মন্তব্যই করছেন তারা। গানের পাশাপাশি ভিডিওতে সজল ও ফারিয়া জুটির পারফরম্যান্স এবং তাদের রসায়নেও মুগ্ধ নেটিজেনরা। শুধু তাই নয়, টানা দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধু ‘কন্যা’-তেই সয়লাব ছিল। সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের প্রায় সব তারকা গানটি নিজেদের হ্যান্ডেলে শেয়ার করে নিজেদের ভাল লাগা শেয়ার করেছেন।
এক সঙ্গে এত এত তারকা শিল্পীকে এর আগে কখনো কোনো গান কিংবা কনটেন্ট শেয়ার দিতে দেখা যায়নি। সেই তালিকায় কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা থেকে শুরু করে গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী কেউই বাদ ছিলেন না সেই তালিকায়!

নতুন খবর হলো, ইতিমধ্যে আলোচিত এই গানটি চলে এসেছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের সংগীত বিভাগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘কন্যা’। এই বিভাগের প্রথম স্থানে রয়েছে শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার ‘দ্বিধা’ গান।

 

May be an image of 3 people and beard

এদিকে গানটি নিয়ে এত আলোচনা ও প্রশংসায় আপ্লুত একইসঙ্গে উচ্ছ্বসিত এর নায়ক আব্দুন নূর সজল। তিনি বলেন, ‘গানটি এত দ্রুত সবার কাছে পৌঁছেছে যা সত্যি দারুণ। সবাই গানটির প্রশংসা করছেন পাশাপাশি আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগছে, অনুপ্রাণিত বোধ করছি। মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক।

’ 

তিনি আরো বলেন, ‘বাগেরহাট ও খুলনায় ৫ দিন গানটির শুটিং করেছি। ওই সময়টায় বেশ অসুস্থ ছিলাম। প্রতিদিন ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিল। ডাক্তার একদম কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন, এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু শিডিউল যেহেতু আগে থেকে দেওয়া ছিল, তাই কাজটি শেষ করা ছাড়া কোনো অপশন ছিল না। ওই অবস্থাতেই শুটিংয়ে যাই এবং জ্বর নিয়েই গানে পারফর্ম করি। পুরো টিম অনেক বেশি সাপোর্ট করেছিল।’

মন্তব্য

আড়াই বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
আড়াই বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন
সামিয়া আফরিন

প্রায় আড়াই বছর ধরে মারণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক-অভিনেত্রী সামিয়া আফরিন। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি নিজে। 

সামিয়া আফরিন বলেন, ‘২০২২-এর ঠিক এপ্রিলে আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চতুর্থ স্টেজে গিয়ে এটি ধরা পড়ে।

আমার পরিবারের লোকজনের জন্য এটা খুবই ভীতিকর ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে যে, এটা একটা অসুখ; এ জন্য আমাকে লড়াই করতে হবে অথবা নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ভয় না পেয়ে কিভাবে নিরাময় হতে পারে, আমি সেসব খুঁজে বের করি। মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, বরং তখন আমি আমার পরিবারের জন্য সহায়ক হয়েছিলাম।
কারো কাছ থেকে সহানুভূতিশীল কোনো কথা বা নিজেকে সেই দৃষ্টিতে দেখতে চাইনি। আমি সব সময় দৃঢ়চেতা হতে চেয়েছিলাম। তাতে হয় কী, এটা একজন রোগীকে আরো বেশি শক্তি জোগায় তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য।’ 

বর্তমান নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি এটার সঙ্গে লড়াই করছি।

আলহামদুলিল্লাহ, এখন ভালো আছি।’

No photo description available.

ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে রোগীর মনোবল ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি নিয়ে সামিয়ার ভাষ্য, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। মনে হয়—আমার জীবন শেষ হয়ে গেল, এরপর আর বুঝি কিছু নেই। এটা নিছক ভুল কথা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি এবং সাথে সাথে লাইফ স্টাইলেও অনেক পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

যদিও তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। লাইফ স্টাইল যদি ঠিক থাকে, তাহলে পরবর্তীতে এটা আর হওয়ার সুযোগ থাকে না বলে আমার মনে হয়।’

সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে তারকাদের পোশাক নিয়ে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখান থেকে প্রাপ্ত পোশাক বিক্রির টাকা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হবে।

No photo description available.

গতকাল ২২ মার্চ উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সামিয়া আফরিন। 

এই প্রদর্শনীর উদ্যোগ মূলত ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। 

প্রসঙ্গত, একসময় টিভি উপস্থাপনার নিয়মিত মুখ ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন। মাঝেমধ্যে তাকে নাটকেও দেখা গেছে। ইমরাউল রাফাতের ‘পাপপূণ্য’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ধুলোর মানুষ’, ‘মানুষের ঘ্রাণ’ এবং রাজিবুল ইসলামের ‘ব্লাফমাস্টার’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

মন্তব্য

ড্রামা কুইন না হয়ে ডিভা কুইন হও, কাকে খোঁচা দিলেন অপু বিশ্বাস?

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
ড্রামা কুইন না হয়ে ডিভা কুইন হও, কাকে খোঁচা দিলেন অপু বিশ্বাস?
সংগৃহীত ছবি

অভিনয়ে এখন অনেকটাই অনিয়মিত অপু বিশ্বাস। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব এই অভিনেত্রী। ভিন্ন ভিন্ন লুকে প্রায়ই তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দেন তিনি। এবার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিলেন কালো পোশাকে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালো পোশাকে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন অপু। যেখানে তাকে খোলা চুলে মুগ্ধ হয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি শেয়ার করে সেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন অপু বিশ্বাস, ‘ড্রামা কুইন না হয়ে ডিভা কুইন হও।’

May be an image of 1 person

এর পরই ড্রামা কুইন হিসাবে অপু কাকে ইঙ্গিত করেছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।

কেননা এক দিন আগেই শাকিব খান তার দ্বিতীয় ছেলের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আর সেই ছবি পোস্ট করে শবনম বুবলী তার ফেসবুকেম লেখেন, ‘বাবা এবং ছেলের ভালোবাসা কোনো দেয়াল মানে না।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ