ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

লোড শেডিংয়ে কাজ ও আয় কমছে ফ্রিল্যান্সারদের

হাবিব তারেক
হাবিব তারেক
শেয়ার
লোড শেডিংয়ে কাজ ও আয় কমছে ফ্রিল্যান্সারদের

রাতের বেলায় লোড শেডিংয়ের কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় প্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সার এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্ভোগ বাড়ছে। তাদের কাজ ও আয় দুটিতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অভ্যন্তরীণ প্রবাস আয় বা ইন্টারনাল রেমিট্যান্সে।

ডলার ও প্রবাস আয়ের সংকটের এই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খাতকে কাজে লাগাতে পারলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসতে পারত। কিন্তু চিরাচরিত ধীরগতির ইন্টারনেটের সঙ্গে লোড শেডিং যুক্ত হয়ে সেই সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।    

গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আয় হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে যা ছিল ২০৪ কোটি ডলার। 

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং থেকে বছরে আয় করে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার।

টাকার অঙ্কে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। মাসে গড়ে ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অর্থ অভ্যন্তরীণ প্রবাস আয় হিসেবে গণ্য হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতের আয় দু-তিন গুণ বাড়াতে চায় সরকার।

ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওকলার গত জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। ইন্টারনেটের গতি পর্যালোচনাকারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান কেবলডটকো ডট ইউকের তথ্য মতে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে ২২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৫তম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা সাড়ে ছয় লক্ষাধিক। তাঁদের বেশির ভাগই কাজ করেন ফ্রিল্যান্সিং সাইট আপওয়ার্ক ও ফাইভারে। এর বাইরে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়মিত কাজ করছেন আরো লাখখানেক কর্মী।

ফ্রিল্যান্সারদের অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের পাশাপাশি ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে তাঁরা সময়মতো কাজ প্রস্তুত ও বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন না।

বিশ্বের ‘টপ রেটেড’ (কাজের সংখ্যা, আয় ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে) ফ্রিল্যান্সারের ৬৪ শতাংশই বাংলাদেশি। এই ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই গ্রামে বাড়িতে থেকেও কাজ করছেন। এত দিন তাঁদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ধীরগতির ইন্টারনেট। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিং। দফায় দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিদেশি বায়ারদের পাঠানো বার্তার উত্তর সময়মতো দেওয়া সম্ভব হয় না অনেক ক্ষেত্রে। ফলে বায়াররা কাজ অন্য কোথাও দিয়ে দিচ্ছেন।

বগুড়ার ফ্রিল্যান্সার রাব্বি রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ মোটামুটি থাকত, এখন কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ বিদেশের বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগের মূল সময়টা রাত। কাজ পাওয়া, শেষ করা এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজ জমা দেওয়ার জন্য দিনেও লম্বা সময় ধরে নেটওয়ার্কে থাকতে হয়। তাই আমাদের জন্য রাতদিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকাটা জরুরি। ’

রাব্বি রহমান জানান, আগে মাসে তিনি দু-তিন হাজার ডলার (দু-তিন লাখ টাকা) অনায়াসেই আয় করতে পারতেন, দুই মাস ধরে তা অর্ধেকে নেমেছে।  

রাঙামাটির ফ্রিল্যান্সার আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে সময়মতো কাজ জমা দিতে না পারায় আমার প্রফাইলে নেতিবাচক রিভিউ দিয়েছে একাধিক ক্লায়েন্ট। এর ফলে নতুন কাজ পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নেতিবাচক রিভিউ থাকলে নতুন ক্লায়েন্টরা কাজ দিতে ভয় পায়। অথচ দক্ষ কাজের প্রমাণ দিয়ে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় প্রফাইলটাকে ভালো একটা অবস্থায় নিয়েছিলাম। ’ তিনি আরো বলেন, গত মাস থেকে শোড শেডিং বেড়ে যাওয়ায় আয়ও অনেকটা কমে গেছে।

ঢাকার ফ্রিল্যান্সার শহিদুল ইসলামের অভিজ্ঞতাও প্রায় একই রকম। তিনি বলেন, ‘কাজ বেড়ে যাওয়ায় ভালো গতির নেট পেতে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছি। এখন এখানেও যন্ত্রণা বিদ্যুৎ নিয়ে। ’ তাঁরও আয়ে প্রভাব পড়েছে বলে জানালেন তিনি।  

ঢাকাসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডরের (আইএসপি) ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের (ওয়াই-ফাই) গতিও সন্তোষজনক নয়। তা ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প উপায়ে ওয়াই-ফাই চালু রাখার ব্যবস্থাও নেই অনেক আইএসপির। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চয় ও সরবরাহের ডিভাইস আইপিএস (ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই) ব্যবহার করে রাউটার চালু রেখেও লাভ হচ্ছে না গ্রাহকদের।  

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ফ্রিল্যান্সার রাকিবুল ইসলাম জানান, অনেকেই এখন বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ ও সোলার নির্ভর আইপিএস ব্যবহার করছে। লোড শেডিংয়ের সময় ইন্টারনেট সমস্যা হলেও অন্তত হাতে জমা কাজগুলো সারা যাচ্ছে এই বিকল্প উপায়ে।   

তিন বছর আগে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা দিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬২ এলাকার ১২৬টি স্থানে ব্রডব্যান্ড রাউটার স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় ব্যবহারকারীরা। তাদের আক্ষেপ, নেটওয়ার্ক সুবিধা আশানুরূপ নয়। ফলে এই সুবিধাকেও কাজে লাগাতে পারছেন না স্থানীয় আউটসোর্সিংকর্মীরা।

শীর্ষস্থানীয় দুই মোবাইল ফোন অপারেটরকে নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান জেটটিইর প্রযুক্তি প্রকৌশলী মুনতাসির অমিত জানান, দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা খরচ কমাতে গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ডাটার স্পিড বা সরবরাহ সীমা সাধারণত কমিয়ে রাখে। কারণ শহরের তুলনায় গ্রামে ডাটা ব্যবহারকারী কম। তিনি জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থায় (ব্যাটারি বা জেনারেটরে) নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কথা বলার উপযোগী নেটওয়ার্ক ও ডাটা সরবরাহ ব্যবস্থা সচল থাকে। তবে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে ফোরজি সেবা সচল রাখা সম্ভব হয় না। গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোনের টাওয়ারের বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থার সরঞ্জাম প্রায়ই চুরি হয়, এসব কারণেও সেবা ব্যাহত হয়।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের মোবাইল ফোন অপারেটরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদ্যুতের কারণে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে।

গুগল-ফেসবুক থেকে আয়েও ভাটা

বিপত্তি শুধু ফ্রিল্যান্সিংয়েই নয়, যাঁরা ফেসবুক-ইউটিউবে ভ্লগিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করছেন, লোড শেডিংয়ের কারণে তাঁদেরও কাজের পরিধি কমেছে। ফলে গুগল-ফেসবুক থেকে তাঁদের আয়ও কমছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি তানজিবা রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের একটা বড় অংশ রাতে হয় তাই এ সময় লোড শেডিং আর্থিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। কাজ ও আয়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

রাজধানীতে গড়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বেশির ভাগ জেলাশহর ও গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে। জানতে চাইলে ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাওসার আমীর আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডেসকোর আওতায় রুটিন অনুযায়ী তিন ঘণ্টা করে লোড শেডিং করার কথা থাকলেও তা মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় রুটিনের বাইরেও লোড শেডিং দিতে হচ্ছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এআই প্রশিক্ষণে বই ব্যবহার ‘করেছে’ মেটা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এআই প্রশিক্ষণে বই ব্যবহার ‘করেছে’ মেটা
ছবি : এএফপি

বেশ কয়েকজন লেখকের বই প্রযুক্তি জায়ান্ট ‘মেটা’ তাদের সর্বশেষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই লেখকদের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক দল শিন ফেইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেরি অ্যাডামসও রয়েছেন। তার অভিযোগ, বইয়ের তথ্য তার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করেছে মেটা।

এটি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন জেরি অ্যাডামস।

তিনি বলেছেন, বিষয়টি এখন তার আইনজীবী দেখছেন।

মেটার জেনারেটিভ এআই সিস্টেম লামা’র প্রশিক্ষণের জন্য ‘লিবজেন’ নামের লাইব্রেরি জেনেসিসের মাধ্যমে লাখ লাখ পাইরেটেড বই ও বিভিন্ন গবেষণাপত্রে প্রবেশ করেছে মেটা। এমনটাই উঠে এসেছে আটলান্টিক ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানে।

বেশ কয়েকটি বইয়ের তালিকা দিয়ে অ্যাডামস অভিযোগ করেছেন, এসব বই এআইকে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করেছে প্রযুক্তি মেটা।

যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি মেটা।

এ বিষয়ে মেটার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা তৃতীয় পক্ষের মেধাস্বত্ব অধিকারকে সম্মান করি ও বিশ্বাস করি এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে আমাদের তথ্যের ব্যবহার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এ নিয়ে সম্প্রতি লন্ডনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিও হয়ে গেছে। ‘সোসাইটি অব এডিটর্স’ নামে একটি প্ল্যাটফরম এ আয়োজন করেছি।

তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন এআই সিস্টেমকে বিকাশের জন্য লাখ লাখ কপিরাইটওয়ালা বই ব্যবহার করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটি।

সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

মন্তব্য

ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

কিছু কিছু অ্যাপ প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায় না। সে জন্য দ্বারস্থ হতে হয় থার্ড পার্টি অ্যাপে। আপনিও যদি ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করেন, তবে সাবধান হোন। অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের এই ভাষাতেই সতর্ক করল গুগল।

টেক জায়ান্ট সংস্থাটি জানিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে ম্যালাওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার ভয়ও রয়েছে, এমনকি আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ব্লগে বলা হয়েছে, প্লে স্টোরের বাইরে থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপে ৫০ গুণ বেশি ম্যালাওয়্যারথাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ২০২৩ সালে গুগল প্রায় ২.৩ মিলিয়ন সন্দেহজনক অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেয়।

তবে গুগল যতই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করুক না কেন, মাঝে মধ্যেই কিছু বিপজ্জনক অ্যাপ প্লে স্টোরে চলে আসে। তবে সেগুলো শনাক্তও করা হয়। তারপর সরিয়ে দেওয়া হয় প্লে স্টোর থেকে।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

গুগল ইতোমধ্যেই ৩০০-এর বেশি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা সিস্টেম এড়িয়ে যাচ্ছিল এই সব অ্যাপ। কিন্তু এসব অ্যাপ ৬০ মিলিয়ন বার ডাউনলোডও হয়েছে। ভুয়া বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার অভিযোগ রয়েছে এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে।

প্লে স্টোরে যাতে ভুয়া অ্যাপ ঢুকতে না পারে সে জন্য গুগল এখন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার জন্য প্লে প্রোটেক্ট লাইভ থ্রেট ডিটেকশনকে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।

হ্যাকারদের জন্য প্লে স্টোরে ভুয়া অ্যাপ তৈরি করা এখন আরো কঠিন। তবে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

ফোন সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

শুধু গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত : অজানা বা থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে ফোনে ম্যালাওয়্যারপ্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সবসময় গুগল প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত।

অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে রিভিউ ও রেটিং চেক : কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে তার রিভিউ ও রেটিং দেখে নিতে হবে। ইউজাররা যদি কোনো সমস্যার কথা উল্লেখ করেন, তাহলে সেই অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভালো।

ফোনে সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল : ফোনের সিকিউরিটি আপডেট নিয়মিত ইনস্টল করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটাই ফোনকে সুরক্ষা যোগায় এবং নতুন ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

অজানা লিংকে ভুলেও ক্লিক নয় : পরিচিত না হলে কোনো অজানা লিংকে ক্লিক না করা সবচেয়ে ভালো। এসব লিংক থেকেই ম্যালাওয়্যারবা ফিশিং আক্রমণ হতে পারে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

স্টারলিংকের সেবা পেতে খরচ কত পড়বে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্টারলিংকের সেবা পেতে খরচ কত পড়বে?
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন কেবলনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। যা পুরো বিশ্বকেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে।

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক এর সেবা। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা এই সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। গেল ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্টারলিংকের বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়।

এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারে। অবশ্য সেই সময়ের আগেই চালু হলো স্টারলিংক।

আরো পড়ুন
সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এতে স্টারলিংকের পরিসেবা চালুর কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়।

এরপর গত মাসেও ঢাকায় বেশ কয়েকবার পরীক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে তাদের পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হলো। কারণ স্পেসএক্স এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী এটি চালু হলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে এবং কমবে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য।

আরো পড়ুন
নিবন্ধন পেল নতুন রাজনৈতিক দল, প্রতীক রকেট

নিবন্ধন পেল নতুন রাজনৈতিক দল, প্রতীক রকেট

 

স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বলা আছে, বাসাবাড়িতে তাদের সেবা নিতে কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে।

সেখানে থাকে একটি রিসিভার বা অ্যানটেনা, কিকস্ট্যান্ড, রাউটার, তার ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা বা পাওয়ার সাপ্লাই। এটাকে স্টারলিংক কিট বলা হয়, যার মূল্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত (৪৩ থেকে ৭৪ হাজার টাকা)।

আবাসিক গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংকের মাসিক সর্বনিম্ন ফি ১২০ ডলার (প্রায় ১৫ হাজার টাকা)। তবে করপোরেট গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংক কিটের দাম ও মাসিক ফি দ্বিগুণের বেশি। তবে দেশ ভেদে দামে ভিন্নতা রয়েছে।

মন্তব্য

দেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাক্সের স্পেস এক্সের সহযোগী স্যাটালাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। 

আজ বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক এই ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারছেন।

এ ছাড়া সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করেই সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সম্মেলনের কার্যক্রম।

গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, স্টারলিংক বিডার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।

গত ২৯ মার্চ বিডা থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ নিবন্ধন পায়। তবে দেশব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স নিতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ