সিঁড়ি দিয়ে ওঠার কারণে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যান কিংবা হাঁপিয়ে পড়েন। এ ছাড়া এতে হৃৎপিণ্ডের ওপরও চাপ পড়ে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে, এটি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? তবে এ প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন- না। এটি স্বাভাবিক মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠার কারণে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যান কিংবা হাঁপিয়ে পড়েন। এ ছাড়া এতে হৃৎপিণ্ডের ওপরও চাপ পড়ে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে, এটি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? তবে এ প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন- না। এটি স্বাভাবিক মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
এ পরিস্থিতিতে রক্তে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ফুসফুস জোরে শ্বাস নেওয়া শুরু করে। এ ছাড়া মাংসপেশিতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনার হৃৎপিণ্ডও জোরে চলা শুরু করে।
তবে ভালো খবর হলো, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার ফলে শরীরের এ প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। আপনি যখন সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।
কিন্তু কোনো উপায়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় আমার এ ক্লান্তি হওয়া দূর করা যায় কী? এ প্রশ্নের উত্তরে কোচ হোলডার জানান, এ জন্য আপনার কিছু শারীরিক অনুশীলন করতে হবে। শরীর যদি কিছুটা সক্ষমতা অর্জন করে তাহলে আপনি সিঁড়ি দিয়ে উঠতেও সহজে ক্লান্তিবোধ করবেন না। এ জন্য তিনটি কাজ করতে হবে। এগুলো হলো :
আরও সিঁড়ি অতিক্রম
অনুশীলনের ফলে বহু কাজই সহজ হয়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা অনুশীলন করেন তাহলে তাতে আপনার অভ্যাস গড়ে উঠবে। আর এ কারণে আপনি সহজেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারবেন।
বিরতি নেওয়া
সিঁড়ি অতিক্রমের সময় কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নিতে পারেন। এটি আপনার দেহকে সিঁড়ি অতিক্রমের বাড়তি অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে কোচ হোলডারের পরামর্শ হলো, প্রথম সিঁড়িটি দ্রুত অতিক্রম করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে সিঁড়ি অতিক্রমের গতি কমিয়ে দিতে হবে।
শরীর শক্তিশালী করা
আপনার শরীর যদি দুর্বল থাকে কিংবা শারীরিক অনুশীলনের অভ্যাস না থাকে তাহলে স্বভাবতই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় আপনার শরীরের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি কয়েকটি শারীরিক অনুশীলন নিয়মিত করেন তাহলে শরীর যেমন সুগঠিত হবে তেমন সিঁড়ি অতিক্রম করতেও কোনো সমস্যা হবে না। এ ক্ষেত্রে যেসব বাড়তি ব্যায়াম করতে পারেন সেগুলো হলো স্টেপ আপস, স্কোয়াটস ও টো ট্যাপস।
সম্পর্কিত খবর
আমাদের দেশে বেশিরভাগ বাড়িতে গরুর দুধ থাকে। আর এই গরুর দুধ খেতে পছন্দ করেন ছোট থেকে বুড়ো প্রায় সবাই। তবে ভোলা-সহ দেশের কিছু কিছু জেলায় মহিষের দুধ পাওয়া যায়। ওইসব এলাকায় মহিষ লালনপালন করা হয় বিধায় মহিষের দুধ পাওয়া যায় সহজেই।
গরু ও মহিষের দুধের মধ্যে পার্থক্য
মহিষের দুধের তুলনায় গরুর দুধ বেশি খাওয়া হয়। কারণ গরুর দুধে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে এবং এর গঠন হালকা। এই কারণে বেশিরভাগ বাড়িতে গরুর দুধ বেশি খাওয়া হয়। কারণ এটি হজম করা সহজ।
কোন দুধে প্রোটিন বেশি
সকল দুধেই প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু মহিষের দুধে গরুর দুধের তুলনায় বেশি প্রোটিন থাকে। গরুর দুধে মহিষের দুধের তুলনায় বেশি পানি থাকে, তাই গরুর দুধ পাতলা হয়। এ ছাড়া গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে বেশি চর্বি পাওয়া যায়।
কার দুধের গুণমান কত
গরু ও মহিষ, উভয়ের দুধেই একই গুণাবলি পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, গরুর দুধে প্রতি ১০০ মিলি দুধে ৩.২ গ্রাম প্রোটিন থাকে এবং মহিষের দুধে ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। একইভাবে, গরুর দুধে ৪.৪ গ্রাম ফ্যাট, ৪.৯ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৪.২৮ গ্রাম ল্যাকটোজ পাওয়া যায়। মহিষের দুধে ৬.৬ গ্রাম ফ্যাট, ৮.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪.১২ ল্যাকটোজ থাকে।
মহিষের দুধে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ল্যাক্টো গ্লোবুলিন ও পটাসিয়াম থাকে। এই কারণে এটি রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে কোলেস্টেরল কম থাকে এবং তাই উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও চর্বি অর্থাৎ স্থূলতার মতো রোগের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়।
গরুর দুধে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য ভালো। এভাবে দেখলে, গরু ও মহিষের দুধ প্রায় উভয়েরই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সূত্র : আজতক বাংলা
মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংসকে আশীর্বাদ বলা হয়। এই মুরগি মাংসকে তারা বিভিন্নভাবে রান্না করে থাকেন। তবে আজকে আপনাদের জানাব মুরগির মাংসের ভিন্ন এক রেসিপি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ
প্রণালি
মুরগির মাংস ছোট টুকরো করে নিন। আদা, রসুন, মরিচ গুঁড়া ও সয়াসস দিয়ে মুরগির মাংস মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। একটি কড়াইয়ে আনারসের রস চিনি দিয়ে জাল দিন, চিনি গলে গেলে লেবুর রস ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
এবার একটি ছড়ানো প্যানে তেল দিয়ে, মাখানো মুরগির মাংস ভাজুন।
আনারস নরম হয়ে এলে আনারস চিনি আর লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে হালকা আঁচে ঢেকে রাখুন।
আর কদিন বাদেই মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিজ বাড়িতে যাত্রা করবেন বহু মানুষ। এই যাত্রায় বাহন যদি হয় প্রিয় মোটরসাইকেল তবে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতার।
ঈদের আগে একা বা সঙ্গী নিয়ে মোটরসাইকেলে যেতে চাইলে কিছু বিষয় আগে থেকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
যাত্রার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ যাত্রার জন্য মোটরসাইকেলটিকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা। ব্রেক, টায়ার, ইঞ্জিন, লাইট, হর্ন, অয়েল লেভেল এবং ইলেকট্রিক সিস্টেম দেখে নিন।
যাত্রাপথে হেলমেট, গ্লাভস, জ্যাকেট এসব সুরক্ষা উপকরণ পরিধান করে মোটরসাইকেল চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানের হেলমেট, গ্লাভস, জ্যাকেট এবং অন্যান্য প্রোটেকটিভ গিয়ার ব্যবহার করুন।
দীর্ঘ পথ চলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য হালকা খাবার সঙ্গে রাখুন। বিশেষত গরম আবহাওয়ায় শরীরের পানিশূন্যতা বা ক্লান্তি এড়াতে মাঝেমধ্যে পানি পান করুন। সময়মতো খাওয়া ও পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মৌসুম বা আবহাওয়া পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আরামদায়ক, শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য পোশাক পরিধান করুন।
ধীরে ধীরে একটি আরামদায়ক গতিতে যাত্রা শুরু করুন, যাতে পুরো রাইডের জন্য শক্তি সংরক্ষিত থাকে। উচ্চ গতিতে চালানো বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত অপরিচিত রাস্তায়। দীর্ঘ যাত্রার সময় একটানা বাইক চালানো শরীরের জন্য হুমকির হতে পারে। তাই সম্ভব হলে প্রতি ৫০ কিলোমিটার পর একটি বিরতি নিন। হাঁটাহাঁটি করুন, শরীরের পেশি শিথিল করুন, পাশাপাশি হালকা খাবার ও পানি পান করুন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস চেক করে বাইকযাত্রা শুরু করুন। বৃষ্টি বা খারাপ আবহাওয়া থেকে পরিত্রাণ পেতে যাত্রার পরিকল্পনা করুন এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিন। যাতে করে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে মোকাবেলা করতে পারেন। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে যাত্রা করুন। চেষ্টা করুন দিনের বেলা যাত্রা করতে কারণ রাতে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের জন্য বাড়তি ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
সঙ্গে সহযাত্রী থাকলে তাকেও ভালো মানের নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করতে দিন। সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যাগপত্র নেবেন না। বাইকের পাশে বড় ব্যাগ-লাগেজ ঝুলিয়ে যাত্রা করলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ কমে যেতে পারে।
আমাদের শরীর সুস্থ-সবল থাকা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরে দুটি অঙ্গের ওপর। সেগুলো হচ্ছে, লিভার ও কিডনি। কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে সারা বছর এই দুই অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করবে। সেগুলি কী কী, দেখে নিন।
কিডনি ও লিভার ভালো রাখা জরুরি কেন
কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতায় বিন্দুমাত্র সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীর ভেতর থেকে আর পরিশ্রুত হতে পারে না। শরীরের মধ্যে টক্সিন ও ফ্লুইড জমতে থাকে। তার ফলে বাড়ে সমস্যা।
অন্যদিকে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একসঙ্গে বিকল হয়ে যেতে পারে, যাকে মাল্টি অর্গান ফেলিওর বলে। এমনিতে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শুরুর দিকে সমস্যা হবে প্রস্রাবের। হাত-পা-মুখ অস্বাভাবিক হারে ফুলে যেতে পারে। কোমরে অসম্ভব যন্ত্রণা হতে পারে। এ ছাড়া লিভার ও কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হলে একাধিক জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীরে।
কিডনি ও লিভার ভালো রাখবেন যেভাবে
কোন কোন অভ্যাস মেনে চললে, কোন কোন বদভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করলে অনেকদিন পর্যন্ত আপনার লিভার ও কিডনি ভালো থাকবে, চলুন, জেনে নিই।
লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। সঠিক পরিমাণে পানি খেলে শরীরে জমা টক্সিন ধুয়ে বেরিয়ে যাবে। কিডনি ও লিভারের ওপর চাপ কম পড়বে।
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন কিডনি ও লিভার ভালো রাখার জন্য। রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম রাতে হওয়া প্রয়োজন। ঘুমের সময় আমাদের বডি ডিটক্সিফিকেশন হয়। বিশেষ করে লিভার সেই সময় কাজ করে।
লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে চাইলে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে অবিলম্বে। লবণ খেলে শরীরে সোডিয়াম বেড়ে যায়। তার ফলে শরীরে জমে ফ্লুইড। কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
লিভার ও কিডনি ভালো রাখার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। এর জন্য ব্লুবেরি খেতে পারেন। এ ছাড়া গ্রিন টি দিনে একবার খাওয়া যেতেই পারে। তবে বেশি খাবেন না।
সারা বছর ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকলে শরীর চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে সারা শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালিত হবে। তার ফলে ভালো থাকবে কিডনি ও লিভার।
সূত্র : এবিপি লাইভ