<p>মুখের ক্যান্সার শারীরিক অন্যান্য স্থানের ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম। এটি সাধারণত ঠোঁট, মাড়ি, জিহ্বা, গালের ভেতরের আবরণ, তালু, লালা গ্রন্থি ও টনসিলে হয়ে থাকে। মুখের ক্যান্সারের হার নারীদের তুলনায় পুরুষের দ্বিগুণ হয়।</p> <p><strong>কারণ</strong></p> <p>মুখের ক্যান্সারের জন্য কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ রয়েছে, সেগুলো হলো—</p> <p>* পান, বিড়ি, সিগারেট, সাদা পাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা</p> <p>* অতিরিক্ত অ্যালকোহলে আসক্তি</p> <p>* ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস</p> <p>* পুষ্টিহীনতা</p> <p>* মুখের ক্যান্সারের পূর্ব ইতিহাস</p> <p>* ঠোঁট অতিরিক্ত সূর্যের সংস্পর্শে আসা</p> <p>* এইচপিভি নামক একটি যৌন সংক্রমিত ভাইরাস</p> <p>* দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জেনেটিক কারণ</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>* মুখের ঘা নিরাময়ে ব্যর্থতা</p> <p>* মুখে রক্তক্ষরণ</p> <p>* মুখে আলগা দাঁত ও মাড়ি বিদ্যমান থাকা</p> <p>* ধারালো দাঁত</p> <p>* জিহ্বা ফোলা, যার ফলে ব্যথা হয়</p> <p>* চিবাতে অসুবিধা বা ব্যথা হওয়া</p> <p>* গিলতে কষ্ট হওয়া</p> <p>* ওজন হ্রাস পাওয়া</p> <p>* মুখে লাল-সাদা দাগ থাকা</p> <p><strong>মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা</strong></p> <p>মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসাপদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা সার্জারি, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে করা হয়।</p> <p><strong>সার্জারি : </strong>এ ক্ষেত্রে ক্যান্সার কোষসহ ভালো কিছু কোষ অপসারণ করা হয়।</p> <p><strong>কেমোথেরাপি : </strong>এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।</p> <p><strong>রেডিওথেরাপি: </strong>ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিয়েশন থেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।</p> <p>এ ক্ষেত্রে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি দ্বারা অকার্যকর কোষ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যান্সারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে কারণগুলো নির্ভর করে লক্ষণ বুঝে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।</p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong><br /> ডা. অনুপম পোদ্দার<br /> অধ্যক্ষ<br /> খুলনা ডেন্টাল কলেজ</p>