মাংকিপক্সের লক্ষণ, যেভাবে বেঁচে থাকবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাংকিপক্সের লক্ষণ, যেভাবে বেঁচে থাকবেন
কঙ্গোর একটি হাসপাতালে আক্রান্ত এক নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি : এএফপি

বিশ্বজুড়ে এখন নতুন আতঙ্কের নাম মাংকিপক্স। যা নিয়ে এখন রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সম্প্রতি অত্যন্ত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ৪৫০ জন মারা গেছে এরই মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) আফ্রিকার কিছু অংশে এমপক্স বা মাংকিপক্স প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

এ রোগ এখন আফ্রিকা ছেড়ে ইউরোপের সুইডেন এবং এশিয়ার পাকিস্তানেও ধরা পড়েছে।

এই নিয়ে দুই বছরে দুইবার মাংকিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও এটি করোনার মতো ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতী নয়। তবু এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে এখনই জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা।

 

মাংকিপক্স অন্য প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায়। এর লক্ষণ ও উপসর্গ অনেকটাই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত স্মলপক্স বা গুটি বসন্তের মতো। কিন্তু গুটি বসন্তের মতো ততটা সংক্রামক বা মারাত্মক নয়। গত ৭ মে প্রথম মাংকিপক্স আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে লন্ডনে।

ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে সেখানে ফিরেছিলেন।

মাংকিপক্সের প্রাকৃতিক বাহক কে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আফ্রিকার ইঁদুরজাতীয় প্রাণী (ইঁদুর, বেজি, কাঠবিড়ালি) এবং বানরসহ তীক্ষ্ণ দাঁতের পশু থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি এবং এসব প্রাণীর কামড়, আঁচড়, মলমূত্র, লালা আর স্পর্শের মাধ্যমে মাংকিপক্স ছড়ায় বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন। সাধারণত মাংকিপক্স মানুষ থেকে মানুষে খুব সহজে বিস্তার লাভ করে না। কিন্তু আক্রান্ত প্রাণী বা ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে থাকা উন্মুক্ত ক্ষত বা ফোসকার সংস্পর্শে এলে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা তথা যৌন মেলামেশা এ রোগ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। তা ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানা, পোশাক, তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা জীবাণুযুক্ত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে এলে মাংকিপক্স ছড়াতে পারে। মাংকিপক্স আক্রান্তের সর্দি-কাশি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত প্রাণীকে স্পর্শ করা অথবা আক্রান্ত বন্য প্রাণীর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে এই রোগ হতে পারে।

মাংকিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণত ৬ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে, ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি গুরুতর নয় এবং লক্ষণগুলো সাধারণত ১৪-২১ দিন স্থায়ী হয়। মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর শুরুতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, অত্যধিক ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ততা, দুর্বলতা প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়।

প্রথমে মুখে এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি বা গুটি বসন্তের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। গুটি বসন্তের সঙ্গে মাংকিপক্সের প্রধান পার্থক্য হলো, মাংকিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির লসিকাগ্রন্থি (গলায়, বগলে ও কুঁচকিতে কিছু গ্রন্থি) ফুলে যায়, যা গুটি বসন্তে দেখা যায় না। সাধারণত প্রথম লক্ষণ শুরু হওয়ার ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে রোগীর শরীরে লাল র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। এগুলো সাধারণত মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়ায়।

র‌্যাশগুলো ধীরে ধীরে ফুসকুড়িতে পরিণত হয় এবং কিছুদিনের মধ্যে সেখানে পুঁজ জমতে পারে। সম্প্রতি মাংকিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথের আশপাশে ফুসকুড়ি সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে। এ ফুসকুড়িগুলো পরে ফোসকায় পরিণত হয় এবং প্রচুর পরিমাণে চুলকানি ও ব্যথা হয়। 

মাংকিপক্সের উপসর্গ প্রকাশ পেলে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এগুলো নিজে থেকেই শুকিয়ে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এ রোগের উপসর্গগুলো সাধারণত মৃদু আকারে প্রকাশ পায়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে শিশু, গর্ভবতী বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এ রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের কারণে শরীরে কিছু জটিলতা দেখা যায়। যেমন : শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে (ফুসফুস, ব্রেন ও চোখ) ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। চোখের কর্নিয়ায় ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে রোগী দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলতে পারে। 

তাই কারো শরীরে ফুসকুড়ি এবং সঙ্গে জ্বর, অবসাদগ্রস্ততা বা অস্বাভাবিক দুর্বলতা দেখা দিলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাংকিপক্স ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। মাংকিপক্স শনাক্তের ক্ষেত্রে পিসিআর পরীক্ষাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ েছাড়া বায়োপসির মাধ্যমেও এ রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব। মাংকিপক্স ভাইরাসে পুরোপুরি নিশ্চিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই শরীরের ফুসকুড়ি ঝরে যাওয়া পর্যন্ত আলাদা স্থানে অবস্থান করতে হবে এবং সব ধরনের শারীরিক মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংকিপক্স রোগের প্রকোপ কমাতে চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদানকারীকে অবশ্যই যথাসম্ভব নিজেকে সুরক্ষার কলাকৌশল অবলম্বন করতে হবে।

মাংকিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি কোনো বাচ্চা এ রোগে আক্রান্ত হলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে বাচ্চাদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার একেবারেই কম। এই ভাইরাস এতই বিরল যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের সুস্থ করার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নেই কোনো সঠিক ওষুধ। তাই সব রোগের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা থেকে রোগ প্রতিরোধ করা উত্তম। কিছু সাধারণ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মাংকিপক্স থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব।

যেভাবে মাংকিপক্সের সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকবেন 

১. যেসব প্রাণীর মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় (ইঁদুর, বেজি, কাঠবিড়ালি, বানর) তাদেরকে স্পর্শ করবেন না। এ ছাড়া যেকোনো অসুস্থ, বন্য বা মৃত প্রাণী স্পর্শ করা থেকে দূরে থাকবেন। 

২. মাংকিপক্সের উপসর্গ রয়েছে, এমন ব্যক্তির খুব কাছাকাছি থেকে কথা বলা এবং শারীরিক সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবেন।

৩. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানা, পোশাক, তোয়ালে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত না করে স্পর্শ করবেন না।

৪. কম রান্না করা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

৫. কোনো পরিবারে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে আলাদা কক্ষে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় পিপিই ব্যবহার করবেন এবং পরিবারের সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন।

৬. যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে, তাই অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করবেন।

৭. এ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের মতোই নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করবেন। বিশেষ করে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন মানুষ বা প্রাণীর সংস্পর্শে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলবেন।

৮. যে ভ্যাকসিন দিয়ে গুটি বসন্ত সমূলে উৎপাটন করা হয়েছিল, একই ভ্যাকসিন মাংকিপক্স থেকেও প্রায় ৮০ শতাংশ সুরক্ষা দেয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। 

মাংকিপক্স নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে এখনো এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যেন এই রোগের বাহক আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে। এ ব্যাপারে আমাদের বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এবং করোনায় মেনে চলা সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধেও সুরক্ষিত থাকতে পারব।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় না?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় না?
সংগৃহীত ছবি

টিভি দেখতে গিয়ে আমরা কখনোই দূরত্বের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিই না। দিনের শেষে সোফায় বসে আরাম করে টিভি দেখার মজাই আলাদা, কিন্তু খুব কাছে থেকে টিভি দেখা চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এলসিডি বা প্লাজমা টিভির পর্দা থেকে নির্গত আলো চোখের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে চোখে ব্যথা, শুষ্কতা বা পানি পড়ার সমস্যা হতে পারে।

 

চলুন, জেনে নিই ঠিক কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখা উচিত।

১। ২৮ ইঞ্চির টিভি হলে ৩ ফুট দূরত্বে বসা সবচেয়ে ভালো। 

২।

৩২ ইঞ্চির টিভি হলে ৪ ফুট দূরত্বে বসা উচিত। 

৩। ৪৩ ইঞ্চির পর্দা হলে ৪ থেকে ৬ ফুট দূরত্বে বসতে হবে। 

৪।

৫০ থেকে ৬৫ ইঞ্চির টিভি হলে ৫ থেকে ৮ ফুট দূরত্বে বসুন। 

৫। ৬৫ থেকে ৭৫ ইঞ্চির পর্দা হলে ৬ থেকে ১০ ফুট দূরত্বে বসলে ভালো। 

৬। ৭৫ ইঞ্চির বড় টিভি থাকলে, ঘরের সাইজ অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।

এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ, যতটা দূরে বসা সম্ভব ততটাই ভালো।

এভাবে সঠিক দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের সমস্যা কম হবে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গরমে স্বস্তি পেতে কোন রংয়ের পোশাক বেছে নেবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে স্বস্তি পেতে কোন রংয়ের পোশাক বেছে নেবেন?
সংগৃহীত ছবি

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন চৈত্র মাস, যা গরমের আগমনের সূচনা। গরমের এই মৌসুমে উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার সাথে সমন্বয় করতে পোশাক নির্বাচন করা জরুরি। এই সময় সুতি বা হালকা ফ্যাব্রিকের পোশাক পরা সবচেয়ে ভালো। তবে শুধু ফ্যাব্রিক নয়, পোশাকের রংও শারীরিক অস্বস্তি কমাতে ভূমিকা রাখে।

অনেকেই গরমে কালো রংয়ের চেয়ে সাদা রংয়ের পোশাক বেশি পরেন। 
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য থেকে তাপ বিকিরণের কারণে সাদা রংয়ের পোশাক কম তাপ শোষণ করে, ফলে অস্বস্তি কম হয়। তবে সাদার পাশাপাশি আরো কয়েকটি রং রয়েছে যা আপনাকে গরমে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ রাখতে সহায়তা করবে।

আকাশি
দিনের বেলায় যদি কোনো অনুষ্ঠান বা অফিসে যেতে হয়, আকাশি রঙের পোশাক একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।

রৌদ্রজ্জ্বল দিনে আকাশি রঙ আপনাকে স্বস্তি দিবে ও সতেজ দেখায়। 

ধূসর
ধূসর রং গরম ও ঠাণ্ডা সব মৌসুমেই জনপ্রিয়। ধূসর রং সূর্যের তাপ শোষণ করে না। সুতরাং এটি সাদা রঙের ভালো বিকল্প।

শাড়ি, সালোয়ার বা স্যুট-প্যান্ট—ধূসর সবসময় আলাদা লুক তৈরি করে।

বেজ
বেজ রং সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। এই মুহূর্তে বেজ রং ফ্যাশনে চলছে, তাই এটি পরলে ট্রেন্ডি দেখাবে।

প্যাস্টেল
প্যাস্টেল রংয়ের মধ্যে মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার, বেবি পিঙ্ক, মভ ইত্যাদি গরমে পরা বেশ আরামদায়ক। এই রংগুলোর তাপ শোষণের ক্ষমতা কম।

যা আপনাকে গরমে আরামদায়ক অনুভূতি দিবে।

যেসব রং এড়িয়ে চলা ভালো—   

গাঢ় রঙ
কালো, গাঢ় বাদামি, গাঢ় নীল ইত্যাদি রং সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে। এই ধরনের পোশাক দিনে পরলে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কারণ তাপ শোষণের ফলে ঘামও বাড়ে।

বোল্ড কালার
টকটকে লাল, ইলেকট্রিক ব্লু, গাঢ় কমলা, বার্গেন্ডি, মেটালিকস—এই রংগুলো গরমে এড়িয়ে চলাই ভালো। সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করার কারণে এ রংয়ের পোশাক শারীরিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডায়াবেটিসে কোন পেঁপে উপকারী, কাঁচা না পাকা?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিসে কোন পেঁপে উপকারী, কাঁচা না পাকা?
সংগৃহীত ছবি

পেঁপে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। পাকা কিংবা কাঁচা যেকোনো ভাবেই পেঁপে খেতে মজা। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফাইবার, ভিটামিন এ, সি ও কে। পাশাপাশি নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রোটিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁপে তুলনামূলক ভালো। চলুন, জেনে নিই পেঁপের আরো কিছু অসাধারণ উপকারিতা।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
কাঁচা পেঁপের রসে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

হজমে সহায়ক
কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। যা বদহজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে। প্যাপেইন শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। ফলে লিভার ভালো থাকে।

ত্বক ভালো রাখে
কাঁচা পেঁপের রসে থাকা ভিটামিন এ, সি ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ত্বকের ক্ষত মেরামত করতে এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ শক্তি
পেঁপের রসে রয়েছে ভিটামিন সি। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

এ ছাড়া এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। 

চোখের স্বাস্থ্য
চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত জরুরি। যা কাঁচা পেঁপের রসে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এ ছাড়াও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

রং হারানোর ঝুঁকি ছাড়াই জিন্স ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রং হারানোর ঝুঁকি ছাড়াই জিন্স ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি
সংগৃহীত ছবি

জিন্স আমাদের দৈনন্দিন পোশাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জিন্সের শক্তিশালী ডেনিম কাপড় ও স্টাইলিশ ডিজাইন এটিকে সব বয়সী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে ভুলভাবে ধোয়ার কারণে এর রং হারাতে পারে অথবা কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক জিন্স ধোয়ার কয়েকটি কার্যকরী উপায়।

জিন্স ধোয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ডেনিম একটি শক্তিশালী কাপড় হলেও বারবার ধোয়ার কারণে এর গঠন ও রঙের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিন্স ধোয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, এক রঙের জিন্স একসঙ্গে ধোয়া উচিত, যাতে রং মিশে না যায়। দ্বিতীয়ত, ঠাণ্ডা বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।

কারণ গরম পানি রঙের ক্ষতি করতে পারে এবং কাপড়ের তন্তু নষ্ট করতে পারে। 

জিন্স কতবার ধোয়া উচিত?
আপনার জিন্স প্রতিবার পরার পর ধোয়া প্রয়োজন নেই। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ১০ বার পরার পর জিন্স ধোয়া উচিত। তবে যদি জিন্সটি দাগযুক্ত বা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যায়, তবে তা আগে ধুয়ে নেওয়া উচিত।

আপনি কতবার জিন্স ধোবেন, তা নির্ভর করে এটি কতটা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোন পরিবেশে পরেছেন তার ওপর।

কেন জিন্স হাতে ধোয়া উত্তম?
ওয়াশিং মেশিনে জিন্স ধোয়া অনেকটাই সহজ। তবে এটি কাপড়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেশিনের শক্তিশালী ঘূর্ণন জিন্সের তন্তু ছিঁড়ে ফেলতে পারে এবং রং কমিয়ে দিতে পারে। সে জন্য, হাতে ধোয়া জিন্সের জীবন বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।

এটি কাপড়ের ক্ষতি কমায় এবং অতিরিক্ত ক্রিজ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। হাতে ধোয়ার পর প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর ফলে জিন্স দীর্ঘস্থায়ী ও নতুনের মতো থাকতে পারে।

জিন্স ধোয়ার জন্য হালকা গরম বা ঠাণ্ডা পানি, তরল ডিটারজেন্ট, সাদা ভিনেগার (রং স্থায়ী ও দুর্গন্ধ দূর করতে) ব্যবহার করা ভালো। জিন্সটি কমপক্ষে ৬০ মিনিট ভিজতে দিন, তারপর পানি পরিবর্তন করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া শেষে জিন্স থেকে অতিরিক্ত পানি আলতোভাবে চেপে বের করে নিন। মোচড়ানো থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে। জিন্সকে একটি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে ছায়ায় ও প্রাকৃতিক হাওয়ায় শুকাতে দিন। সরাসরি রোদে শুকালে রং ফ্যাকাসে হতে পারে।

অতিরিক্ত টিপস
১। দাগ থাকলে, ভিজানোর আগে সেই অংশে হালকা ভিনেগার বা বেকিং সোডা লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।

২। প্রথমবার ধোয়ার সময় ভিনেগার ব্যবহার করলে রং অনেক দিন স্থায়ী থাকে।

৩। জিন্স সোজাভাবে ঝুলিয়ে রাখুন, যাতে ক্রিজ না পড়ে।

জিন্সের যত্নে সচেতনতা
জিন্স শুধু একটি পোশাক নয়, এটি একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্টও। তাই এর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন ধোয়া এড়ানো উচিত, কারণ এটি জিন্সের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। ছোট দাগ থাকলে সেগুলো স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। এতে পুরো জিন্স ধোয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সঠিক উপকরণ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করলে জিন্স দীর্ঘদিন নতুনের মতো থাকবে। 

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ