কেনাকাটায় দর-কষাকষি করবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কেনাকাটায় দর-কষাকষি করবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

কেনাকাটার ক্ষেত্রে দর-কষাকষির কৌশল ঠিকমতো শিখে ফেলতে পারলে অনেক অর্থ বাঁচানো যায়। ভালোভাবে দরদাম করতে পারলে ক্রেতার দাম হাঁকানো শুনে যেমন ভয় পাবেন না,  তেমনি পছন্দের জিনিসটিও উপযুক্ত মূল্যে কিনতে পারবেন। তাই কোনো কিছু কেনার সময় কিভাবে দর-কষাকষি করবেন তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

সস্তায় ভালো পণ্য কিনতে হলে দর-কষাকষির গুণটি ভালোভাবে আয়ত্ত করা বাঞ্ছনীয়।

যখন আপনি কম ও নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে সব প্রয়োজন মেটাতে চান, তখন দর-কষাকষি করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে। দর-কষাকষি একটা শৈল্পিক ব্যাপার এবং চাইলেই এই শিল্প আয়ত্ত করা সম্ভব। শুধু কয়েকটা পয়েন্ট মাথায় রাখলেই যথেষ্ট—

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 
  • কেনার আগে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পণ্যের গড় মূল্য সম্পর্কে ধারণা নিন। অনলাইনে বা অন্যান্য বাজারে দাম তুলনা করুন, যাতে বিক্রেতা বেশি দাম চাইলে বুঝতে পারেন।
  • দোকানদার যদি কোনো পণ্যের দাম ৫ হাজার চায়, আপনি তার হাঁকা দামের সাথে রেশ রেখে দাম বলতে যাবেন না। যদি মনে করেন, পাঁচ হাজার টাকার জিনিস আড়াই হাজারও তো বলতে হয়, তাহলে আপনি ঠকে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, দোকানির কাছে একদাম জেনে বেরিয়ে পড়ুন। এরপর অন্য দোকানে দর যাচাই করুন।
  •  
  • দর-কষাকষির সময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন। দ্বিধাগ্রস্ত দেখালে বিক্রেতা বুঝতে পারবে যে আপনি দর কমানোর ক্ষেত্রে দুর্বল।
  • আরো পড়ুন
    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

     
    • কোনো পণ্য আপনার পছন্দ হলে দোকানিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। স্বাভাবিক আচরণ করুন যেন পণ্যটি না পেলেও আপনার কিছু আসে-যায় না। দোকানি যদি বুঝে ফেলে পণ্যটি আপনার খুব বেশি পছন্দ হয়েছে, এটি আপনার চাই-ই চাই; তাহলে দোকানি পণ্যটি আপনার কাছে অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করবে, নাহয় আপনার কাছে বিক্রি করবে না।
     
  • দোকানে গিয়ে বলুন, ‘অন্য দোকানে কমে পাচ্ছি’ বা ‘আমি আরও কয়েক জায়গায় দেখছি’—এতে বিক্রেতা  সরাসরি প্রকৃত মূল্যের কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
  • কঠোর থাকুন, কিন্তু ভদ্রতা বজায় রাখুন। দর-কষাকষিতে জেদ ধরুন, তবে অসভ্য হবেন না। ভালো ব্যবহার করলে বিক্রেতা আপনাকে গুরুত্ব দেবে।
  • দর-কষাকষির পরও যদি দাম না কমায়, তাহলে ‘থাক, লাগবে না’ বলে চলে যাওয়ার ভান করুন। অনেক সময় বিক্রেতা আপনাকে ধরে রাখবে ও কম দামে রাজি হবে।
  • আরো পড়ুন
    ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

    ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

     
    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    জমে থাকা খবরের কাগজ লাগতে পারে যেসব কাজে

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    জমে থাকা খবরের কাগজ লাগতে পারে যেসব কাজে
    সংগৃহীত ছবি

    সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস এখন অনেকটাই চলে গেছে। ইন্টারনেটের এই যুগে সবাই অনলাইনেই বিভিন্ন খবরাখবর জানার চেষ্টা করেন। তারপরও এখনো খবরের কাগজের জনপ্রিয়তা কমেনি। অনেকে বাসা-বাড়ি বা অফিসে ছাপানো পত্রিকা রাখেন।

    তবে আজকের বিষয় কোনো অনলাইন বা ছাপানো পত্রিকা নিয়ে নয়। এই প্রতিবেদনে জানবেন ছাপানো পত্রিকার ব্যবহার নিয়ে। প্রায় সবাই মাস শেষে এসব পত্রিকা বিক্রি করে দেন। তবে আপনি চাইলে এসব পত্রিকা বাড়ির বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।

    কী সেসব কাজ, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

    আমরা জানালা পরিষ্কার করার জন্য শুকনো কাপড় ব্যবহার করি। এতে অনেক সমস্যা। সেই কাপড় একবার ব্যবহার করে ফেলেও দেওয়া যায় না।

    তাই ওটা কাচতে হয়, শুকাতে হয়। কিন্তু কাপড়ের বদলে পুরনো খবরের কাগজ ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরো পড়ুন
    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

     

    তার ওপর শুকনো কাগজ ব্যবহার করলে জানালার ভিজে ভাবও কাগজ টেনে নেয়। ফলে ঝকঝকে হয়ে যায় জানালা। শুধু বাড়ির কাচের জানালা নয়, গাড়ির কাঁচও এভাবে ঝকঝকে হবে।

    ভিজে ভাব শোষণ করে নেয় খবরের কাগজ। তাই তাকের ওপর আচ্ছাদন হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতেই পারে। রান্নাঘরের তাকে খবরের কাগজ পেতে তার ওপর জিনিসপত্র রাখলে তাক তেলচিটে হয় না। এ ছাড়া জামাকাপড় বা বই রাখার তাকেও খবরের কাগজ পেতে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একটা বড় সুবিধা হচ্ছে তেলচিটে হয়ে গেলে খবরের কাগজ ফেলে দেওয়া যায়।

    পাউরুটি সেঁকা হয়ে গেলে গ্রিলের ওপর পোড়া টুকরো লেগে নোংরা হয়ে যায়। সেগুলো হয়তো পরিষ্কার করার সময় নেই। এমন হলে গ্রিল ঠাণ্ডা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে খবরের কাগজ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

    আরো পড়ুন
    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

     

    একইভাবে বারবিকিউয়ের ক্ষেত্রে খবরের কাগজ দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। চার পাঁচটা কাগজ রেখে তার ওপর পানি স্প্রে করুন। তারপর ওপরে খবরের কাগজের আস্তরণ দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। পানি টেনে নিলে শুকনো কাপড় দিয়ে গ্রিল পরিষ্কার করে নিন।

    সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

    মন্তব্য

    আমলকি চায়ের যত গুণ

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    আমলকি চায়ের যত গুণ
    সংগৃহীত ছবি

    ব্রিটিশদের হাত ধরে এদেশে চা এলেও জিনিসটি মূলত চীনের। তার পর মশলা পড়ে চা হয়ে উঠল অতি দরকারি পানীয়। লিকার চা, লেবু চা, দুধ চা, মশলা দেওয়া দুধ চা-সহ নানা স্বাদের চা পাওয়া যায় এ দেশে।

    সাধারণ ভাবে অনেকেই দুধ চা পান করে থাকেন।

    এখন অবশ্য গ্রিন টি পান করার রেওয়াজ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু, কেউ কি কখনো আমলকি থেকে তৈরি চা পান করেছেন? শুনতে অবাক লাগলেও তা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 
    চলুন, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক আমলকি চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে।

    আরো পড়ুন
    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

     

    বেশিরভাগ মানুষই আমলকির জুস খেতে পছন্দ করে বা কাঁচা খেতে পছন্দ করে।

    কিন্তু কেউ কি কখনো আমলকি চা খেয়েছেন, যা সাধারণ চায়ের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী? কারণ আমলকিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

    ডায়েটিশিয়ানদের মতে, আমলকি পুষ্টির ভাণ্ডার, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। যারা আমলকি থেকে তৈরি চা খান, তাদের হজম প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কোনো সমস্যা হয় না। এ ছাড়া তাদের পেটও অনেক পরিষ্কার থাকে।

    যারা আমলকি চা খান তাদের ত্বক ও চুল খুব স্বাস্থ্যকর থাকে। কারণ এতে পাওয়া ঔষধিগুণ আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, আমলকি চা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এতে পাওয়া অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান ডায়াবেটিসের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

    আরো পড়ুন
    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

     

    অন্যদিকে, যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও আমলকি চা উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

    তাই গ্রিন টি বাদ দিয়ে ওজন কমানোর যাত্রায় আমলকি চা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

    এসব ছাড়াও আমলকি চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এতে পাওয়া ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

    আরো পড়ুন
    ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

    ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

     

    সূত্র : নিউজ ১৮

    মন্তব্য

    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস
    সংগৃহীত ছবি

    ওটস একটি পুষ্টিকর গোটা শস্য। এতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যা শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে সাহায্য করে। সকাল বা বিকেলের নাশতায় ওটস এই খাবার তাই যুক্ত করাই যেতে পারে।

    সকালের নাশতায় ওটস খেলে সারা দিন শরীরে এনার্জি থাকে। সেই সঙ্গে পাচনতন্ত্রও ঠিক থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য আরো অনেকভাবে উপকার করে। জেনে নিন, নাশতায় ওটস রাখলে কী উপকার।

    শরীরে শক্তি জোগায়

    ওটস শরীরের হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে একটানা শক্তি জোগায়। এটি আপনাকে সারা দিন শক্তিতে পূর্ণ রাখে। যা আপনার কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।

    আরো পড়ুন
    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

     

    ফাইবার সমৃদ্ধ

    ওটসে রয়েছে বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার। যা শুধু দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে না, পাচনতন্ত্রের উন্নতিও করে। এটি খিদে কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    কোলেস্টেরল কমায়

    ওটসে উপস্থিত ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়।

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

    ওটস নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষ উপকারে আসে। এটি হঠাৎ রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।

    আরো পড়ুন
    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

     

    হজম শক্তি উন্নতি করে

    ওটসে উপস্থিত দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

    প্রোটিনের উৎস

    ওটসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা পেশীকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরের টিস্যু মেরামত প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাই নিরামিষাশীদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।

    অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য

    ওটসে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরকে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়, যার ফলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।

    আরো পড়ুন
    চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

    চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

     

    ওজন কমাতে সহায়ক

    প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবার বা স্ন্যাকসের প্রয়োজনীয়তা দূর হয়। এইভাবে এটি ওজন হ্রাস ও বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে। 

    হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ

    প্রচুর পরিমাণ খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ ওটস হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে। সকালে নাস্তায় এক বাটি গরম ওটস এর মত সারাদিনের জন্য সুষম খাবার খুবই কম পাওয়া যায়।

    আরো পড়ুন
    ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

    ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

     

    সূত্র : ইটিভি

    মন্তব্য

    খালি পেটে যেসব খাবার ক্ষতির কারণ

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    খালি পেটে যেসব খাবার ক্ষতির কারণ
    সংগৃহীত ছবি

    অনেকেই তীব্র এসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। সামান্য কিছু খেলেই দাঁত-মুখ একদম টকে যায়। কিংবা হয়ে যায় মারাত্মক গ্যাস। গলার কাছে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করেন।

    এসিডিটি ও গ্যাস বেশির ভাগ সময়েই ভুল খাওয়া-দাওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়ায় দেখা দেয় বদহজমের সমস্যা। আর তার থেকেই এসিডিটি, গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা যায়। 

    অনেক সময় অজান্তেই খালি পেটে এমন কিছু খাবার আমরা খেয়ে ফেলি যেগুলোর কারণে শুধু এসিডিটি কিংবা গ্যাস নয়, একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    অতএব খালি পেটে কোন কোন খাবার খাবেন না, দেখে নিন সেই তালিকা।

    আরো পড়ুন
    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

    গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

     

    ফল বা ফলের রস

    খালি পেটে ফল কিংবা ফলের রস, দুটোই মারাত্মক। তীব্র এসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে অবধারিত ভাবে। কমলালেবু, আমলকি, গ্রেপফ্রুট, লেবুজাতীয় ফল সকালে খালি পেটে একেবারেই খাবেন না।

    মূলত যে ফল যেগুলো এসিডিক, সেগুলো খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। 

    কফি

    সকালে উঠে খালি পেটে ভুলেও কফি খাবেন না। শুধু এসিডিটি কিংবা গ্যাসের সমস্যা নয়, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সারা দিন গা-গোলাতে থাকবে আপনার। খিদে থাকবে না একেবারেই।

    এ ছাড়া বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে। 

    দুধ চা

    কফির পাশাপাশি সকালে দুধ দিয়ে চা কিংবা শুধু দুধও খালি পেটে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এমনিতে দুধ খেলে উপকারই হয়। তবে এক্ষেত্রে এসিডিটি, গ্যাস ও পেটের সমস্যা দেখা দেবে দ্রুত।

    আরো পড়ুন
    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

    মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

     

    তেলজাতীয় খাবার

    সকালে ব্রেকফাস্টের আগে সাধারণত বেশিরভাগেরই কিছু খাওয়া হয় না। তাই নাশতায় তেলজাতীয় খাবার না রাখাই ভালো। লুচি, পরোটা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। সকালে খালি পেটে ভাজাভুজি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। 

    চিনিজাতীয় খাবার

    খালি পেটে চিনিজাতীয় খাবার, যেমন- কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, চকোলেট- এসব খাবার খাবেন না। খালি পেটে চিনিজাতীয় খাবার, মিষ্টি খাবার খেলে আচমকা ব্লাড সুগারের মাত্রা একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

    আরো পড়ুন
    চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

    চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

     

    ফাস্ট ফুড

    বার্গার, পিৎজা জাতীয় খাবারে প্রচুর ফ্যাট, অ্যাডেড সুগার থাকে। তাই এসব খাবারও খালি পেটে না খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এই খাবারগুলো সহজে হজম হতে চায় না। বদহজম থেকে এসিডিটি হতে পারে। 

    লেবু-মধু মেশানো উষ্ণ পানি

    সকালে ঘুম থেকে খালি পেটে অনেকেই লেবু-মধু মেশানো গরম পানি কিংবা হালকা উষ্ণ পানি খেয়ে থাকেন। খালি পেটে এসব পানীয় নাগাড়ে পান করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিই বেশি।

    আরো পড়ুন
    ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

    ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

     

    সূত্র : এবিপি লাইভ

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ