হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তবে অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়ার কারণেও ব্রণ হয়। ব্রণের সমস্যার পেছনে যে কারণই থাকুক, ডায়েটের গুরুত্ব অন্যতম। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে তেলেভাজা, মশলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তবে অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়ার কারণেও ব্রণ হয়। ব্রণের সমস্যার পেছনে যে কারণই থাকুক, ডায়েটের গুরুত্ব অন্যতম। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে তেলেভাজা, মশলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
লেবুর শরবত
লেবু সারা বছর পাওয়া যায় এবং তাজা লেবুর রস ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।
কুমড়া
কুমড়ার মধ্যে রয়েছে জিঙ্ক ও আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড।
পাকা পেঁপে
গরমে পাকা পেঁপে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ব্রণ কমাতে সহায়ক ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
সূত্র : এই সময়
সম্পর্কিত খবর
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ২৩ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): ভালো কোনো কাজে সুনাম হবে। কর্মক্ষেত্রে পূর্বের যোগাযোগ কাজে লাগবে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো লাভজনক পরিবর্তন আসতে পারে। কোনো খবর উৎসাহিদ করবে। প্রত্যাশিত অর্থগেমে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। প্রেমিক প্রেমিকারা পরস্পরকে বুঝতে সময় নিন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো কাজের জন্য প্রশংসা পাবেন। ব্যবসায় লাভবাড়বে। পূর্বের কোনো কাজের সুফল পেতে পারেন। সঠিক পরিশ্রমের ভালো ফল পাবেন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে পারে। কাজের চাপ থাকবে। কোনো কাজ মাঝপথে আটকে যেতে পারে। উচ্চ পদথ ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। ভুল বোঝাবুঝির অবসানে সহনশীল আচরণ করুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): প্রত্যাশিত কোনো কাজে অগ্রগতি হবে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় মন্দাভাব কেটে যাবে। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ অনকূলে থাকবে। স্বকীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সফলতা পাবেন। মন ভালো রুখুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): পেশাগত কাজে সাফল্য পাবেন। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত আপনাকে লোশানের হাত থেকে রক্ষা করবে। বড় কোনো কাজে হাত দিতে ভয় পাবেন না। ভাগ্য অপনার পক্ষে থাকবে। গৃহ পরিবেশ অনুকূলে থাকবে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): বিদেশ সংক্রান্ত কোনো কাজে অগ্রগতি হবে। অর্থাগমের নতুন পথ পেতে পারেন। সামাজিক কর্মকান্ডে অনুকূল অবস্থা থাকবে। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। কোনো কিছুতে পিছিয়ে থাকবেন না।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আপনি যে পরিবর্তগুলির জন্য লড়াই করছেন তার কোনো দিক নির্দেশনা পেতে পারেন। স্বজন বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে। লক্ষে পৌছানো জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): নতুন কাজের সুযোগ আসবে। প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে অনুকূল অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হতে হবে। সম্মিলিত কাজের ফলাফল ভালো হবে। দক্ষতা প্রদর্শনের সযোগ আসবে।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কাজকর্মে উৎসাহ বাড়বে। অস্থিরতা ও ধৈর্যহীনতার জন্য কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আপনার করনীয় তালিকা থেকে সরে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার নিজের স্বাস্থ্য এবং প্রয়োজনের ওপর ফোকাস করতে ভুলবেন না। বেপরোয়া কর্মকলাপ এড়িয়ে চলুন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কাজকর্মে ভাগ্যের আনুকূল্য পাবেন। আকস্মিক প্রাপ্তির সম্ভাবনা রোমান্টিক সম্পর্কের অগ্রগতি হবে। সৃজনশীল কাজে বন্ধু পাশে থাকবে। ব্যবসায় স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো হবে। প্রিজনের পরার্ম নিন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। পারিবারিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে। ছোট ঘটনায় মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে। বুদ্ধির সঠিক প্রয়োগে পরিবর্তন সম্ভব।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।
হলুদ গুঁড়া
হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন।
মরিচের গুঁড়া
আজকাল মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
ধনে গুঁড়া
অনেক সময়ে ধনে গুঁড়াতে কাঠের গুঁড়া, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়া নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
জিরা গুঁড়া
জিরার গুঁড়াতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা জিরা ফেলুন। যদি কিছু অংশ পানিতে ভেসে থাকে বা পানির রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।
গোলমরিচ
গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা পানির নিচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ ওপরে ভেসে উঠবে।
সূত্র : আজকাল
ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন রোজা ভাঙার জন্য ইফতারে সবার আগে কেন খেজুরই খাওয়া হয়? মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় খাবারের একটি ছিল খেজুর। তিনি নিজেও ইফতার করতেন খেজুর দিয়েই। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।
রোজায় দীর্ঘসময় আমরা খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকি। এতে পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে অনেকেই ইফতারে খেজুর খান। সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের এমন কিছু খাবারের প্রয়োজন হয়, যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে।
নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরে আছে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ নানা প্রাকৃতিক উপাদান। এ ছাড়া আর কী উপকারে আসে এই খেজুর।
হৃদরোগের ঝুঁকি
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ
খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এনার্জি
খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়।
এসিডিটি
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে সাধারণত এসিডিটি হয়। যার থেকে অস্বস্তি হতে থাকে। খেজুর শরীরে এসিডের মাত্রা বশে রেখে অস্বস্তি কমায়।
বেশি খাওয়া
সারা দিন না খেয়ে থাকলে খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এর মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা লাগে। তাই বেশি খাওয়ার আগেই পেট ভরে যায়।
হজম
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা পৌষ্টিকতন্ত্রের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। খেজুর শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে হজম ভালো হয়।
খেজুর হলো রোজা ভাঙার সর্বোত্তম উপায়। তবে ইফতারে যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি পান করা উচিত। কারণ উভয়ই বিশুদ্ধ ও নিরাময়কারী।
সকাল বা বিকেলের নাশতায় অনেকে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তবে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন এখন ওট্স, চিয়া সিড, কিনোয়াসহ বিভিন্ন খাবারে ভরসা রাখেন।
ব্যস্ত জীবনে রকমারি খাবারের ঝক্কি এড়াতে ওট্স, ফল, দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় স্মুদি।
কিন্তু বানানো সহজ হলেও এই যে সব রকম খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা, তা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ওট্সে ফাইবার থাকে, চিয়া সিডও ফাইবার সমৃদ্ধ, আবার আপেলসহ ফলেও থাকে ডায়েটরি ফাইবার। এত ফাইবার একসঙ্গে খাওয়া কি ভালো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবারের অনুপাত ঠিক রেখে ওট্স ও চিয়া সিড খাওয়া যেতেই পারে।
পুষ্টিবিদরা আরো বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার কিংবা ভিটামিন— সবটাই খেতে হবে প্রয়োজনমতো, শরীর বুঝে। যেমন চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তবে ভালো মানেই যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। কিংবা ফাইবার সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান লাভজনক না-ও হতে পারে।
ওট্স-চিয়ার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উপযোগিতা
ওট্সে থাকে বিটা গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ওট্স। অন্যদিকে চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। ফলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওট্স, পরিমিত চিয়া সিড, বাদাম মিলিয়ে খেলে পেট ভরা খাবার হতে পারে।
দুধের সঙ্গে কি চিয়া বীজ খাওয়া ভালো?
দুধে অনেকেই চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। পানি বা দুধে বীজ ভিজিয়ে নিলে সেটি নরম হয়ে যায়। চিবাতেও সুবিধা হয়। একই সঙ্গে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা রকম পুষ্টিগুণ চিয়া সিডের সঙ্গে যুক্ত হয়।
তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেলে যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চিয়া সিডের ডায়েটরি ফাইবার দুধের পুষ্টিগুণ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধু দুধের ভিটামিন, খনিজ পেতে হলে তার সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ না করাই ভালো।
যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।
সূত্র : আনন্দবাজার