অ্যালোভেরা ব্যবহার করার আগে জানুন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যালোভেরা ব্যবহার করার আগে জানুন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সংগৃহীত ছবি

অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের জন্য প্রাকৃতিকভাবে উপকারী একটি উপাদান। এটি ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে শুধু অ্যালোভেরা ব্যবহার করলেই যে উপকার পাবেন এমন নয়। 

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার পর যদি ফলাফল না মেলে তা হলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা জরুরি।

চলুন জেনে নেই এটি ব্যবহারের কিছু সতর্কতা।

১) অ্যালোভেরার গাছের পাতা যদি পচে যায়, তাহলে তার নির্যাস কখনো ব্যবহার করবেন না। যদি অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে পচা গন্ধ থাকে তা ত্বকে না ব্যবহার করাই ভালো। শুধু তাজা অ্যালোভেরা জেলই ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

২) অ্যালোভেরা সাধারণত ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে পরিচিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি চুলকে শুষ্কও করতে পারে। বিশেষত চুলের ডগা নষ্ট হয়ে যেতে পারে অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে। তাই অ্যালোভেরা আপনার চুলের জন্য উপকারী কি না, তা আগে পরীক্ষা করে নিন।

৩) মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাই অ্যালোভেরা ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত।

৪) অ্যালোভেরা ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি এটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত না হয় তবে সমস্যা বাড়তে পারে।

ত্বকে অ্যালার্জি বা শুষ্কতা সৃষ্টি হতে পারে।

৫) কিছু ক্ষেত্রে, অ্যালোভেরা ত্বককে তৈলাক্ত করে দিতে পারে, যা ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। তাই অ্যালোভেরা ব্যবহার করার আগে কানের নিচে বা হাতে অল্প পরিমাণে মেখে পরীক্ষা করে নিন। এটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সন্তানদের ওজন ও স্থূলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মা-বাবারও কারণ রয়েছে।

তাদের কারণে সন্তানরা কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। আর সে কারণেই সন্তানদের স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। কিভাবে শিশুদের ওজন কমানো ও স্থূলতা রোধ করা যায়, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিছু পরামর্শ।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করুন

শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল ও শস্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে থাকা সংরক্ষণকারী রাসায়নিক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস করান এবং খাবার খাওয়ার সময় স্ক্রিন (মোবাইল/টিভি) থেকে দূরে রাখুন, যাতে শিশু খাবারে মনোযোগ দিতে পারে।

জাংক ফুড এড়িয়ে চলুন

অনেক মা-বাবা শিশুদের আবদারে জাংক ফুড খেতে দেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। জাংক ফুডের প্রতি শিশুর আকর্ষণ কমাতে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করুন। টিভি বা মোবাইলে ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের প্রভাব থেকে শিশুকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

শারীরিক কার্যকলাপের প্রতি উৎসাহ দিন

শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাকে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত করা প্রয়োজন। দৌড়ানো, লাফানো, সাইক্লিং, সাঁতার বা খেলার মাঠে খেলতে উৎসাহ দিন। শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

স্ক্রিন টাইম কমান

আজকাল শিশুদের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটে। যা স্থূলতার অন্যতম কারণ। শিশুদের মোবাইল বা টিভি দেখার সময়সীমা নির্দিষ্ট করুন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বই পড়া, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহী করে তুলুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুকে ঘুমাতে পাঠান। ঘুমের ঘাটতি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।

বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন

বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন। বেকিং বা গ্রিলিংয়ের মাধ্যমে তেল কমিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করুন। শিশুকে রান্নার কাজে যুক্ত করুন। এতে তার স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

আরো পড়ুন
ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

 

মানসিক স্বাস্থ্যেও খেয়াল রাখুন

শিশুর মানসিক চাপ বা হতাশাও ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হন। প্রয়োজনে শিশু মনোবিদের পরামর্শ নিন।

কৃত্রিম পানীয় এড়িয়ে চলুন

সফট ড্রিংকস বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুদের ফলের রস বা স্বাভাবিক পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। ফ্লেভার্ড মিল্ক বা প্যাকেটজাত পানীয়ের বদলে ঘরে তৈরি লাচ্ছি, লেবুর শরবত দিন।

ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক সময় ঘুমানো ও খাবারের রুটিন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ভবিষ্যতে স্থূলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

যদি শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা ডায়েট ও শরীরচর্চার পরও ওজন বৃদ্ধি পায়, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশু পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট ও রুটিন নির্ধারণ করুন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

সবার সঙ্গে একসাথে আড্ডা দিলেও মশা কামড়ায় গুটি কয়েকজনকে। আর তারা মশা তাড়াতেই ব্যস্ত। মশা কি সত্যিই নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়? নাকি পুরো ব্যাপারটাই মানসিক?

আমাদের চারপাশের অনেকেই এমন দাবি করেন যে বেছে বেছে কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। বিষয়টি কিছুটা সত্যি।

পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার অত্যধিক ‘ভালোবাসা’র শিকার। নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয় বলে দাবি রয়েছে। বিজ্ঞানও এই দাবিটি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে এর সপক্ষে এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি।

২০০৪ সালে জার্নাল অব মেডিক্যাল এনটোমলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়, যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের প্রতিই বেশি আকর্ষিত হয় মশা।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তাদের ওপর মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বি, এ গ্রুপের মানুষজনের ওপরও মশা ছাড়া হয়। কিন্তু ও যারা, তাদেরই বেশি কামড়ায় মশা।

বিজ্ঞানীদের মতে, মশা রক্তে থাকা প্রোটিন শনাক্ত করতে পারে। রক্তের গ্রুপের নিরিখে এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন আলাদা হয়। এক্ষেত্রে তাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে শুধু রক্তের গ্রুপের নিরিখে নয়, ঘাম, গন্ধ, শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ, পোশাকের রঙের ওপর নির্ভর করেও মশা কামড়াতে পারে। এ ছাড়া আর কী কারণ আছে এবং কিভাবে মশার হাত থেকে বাঁচবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি ছাড়লে

কার্বন ডাই–অক্সাইডের প্রতিও মশাদের একটা ভালো লাগা আছে। কাজেই আপনি যদি বেশি বেশি নিশ্বাস নেন, একটু ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হন, তবে অন্যদের থেকে আপনাকে মশা বেশি কামড়াবে।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে

আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি হয়, তবে মশা অন্যদের তুলনায় আপনার শরীরে বেশি বসবে। কাজেই দৌড়ানোর সময় বা ব্যায়াম করে এসে বসার সময় খুব সাবধান।

ঘামে ভেজা শরীর

ঘাম সবার অপছন্দ হলেও মশার কাছে খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ঘামে থাকা ল্যাকটিক এসিড, অ্যামোনিয়া মশাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। অতএব ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে কোথাও বসার আগে সাবধান।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

অন্তঃসত্ত্বা হলে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০০ সালের দিকে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মশা কামড়ানোর হার দ্বিগুণ!

নির্দিষ্ট খাবারের ফলে

অনেক সময় আপনার খাবারও হতে পারে মশায় ধরার কারণ। যদিও এ বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই, তারপরও মিষ্টি, ঝাল ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার মশার বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক কলাকেও মশার আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং কলা খাওয়ার আগে সাবধান।

নির্দিষ্ট রঙের পোশাক

শুধু খাওয়াদাওয়া বা ব্যায়াম নয়, আপনার পোশাকও মশাকে আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, হালকা বা সাদা রঙের তুলনায় কালো আর সবুজ রঙের পোশাক পরা লোকজনকে মশা বেশি ধরে। পাশাপাশি, ঘন নীল, ঘন লাল, এমন গাঢ় রঙের পোশাক পরলেও মশার কামড় একটু বেশিই খেতে হয়।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

বাঁচার উপায়

মশার কামড় শুধু যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকরই নয়, বরং মশা অনেক বিপজ্জনক রোগজীবাণুও বহন করে। কাজেই ওপরের কারণগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখা ভালো। রক্তের গ্রুপের মতো বিষয়গুলো যেহেতু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, পানি জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা ও থাকা, মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা, হাত ও পায়ের খোলা জায়গায় মশা না কামড়ায় সে জন্য সেসব জায়গায় মশারোধী লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র : ভেরি ওয়েল মাইন্ড ও এবিপি লাইভ

মন্তব্য

গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন
সংগৃহীত ছবি

এখন বসন্ত ঋতু চললেও সূর্যের তাপে পুড়ছে শরীর। সেটি বোঝা যায় বাইরে বের হলেই। বসন্তের মৃদু বাতাসের বদলে গরম হাওয়ার আঁচ এসে লাগছে চোখে-মুখে। সেই সঙ্গে গরমে অস্বস্তি তো আছেই।

রমজানের এই সময়ে তাই অনেকে বাইরে বের হতে চান না। যারা বের হন তারাও কাজ সেরে তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তৃষ্ণা মেটাতে অনেকে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের পানীয় রাখেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে কী ধরনের পানীয় খাবেন, কী ধরনের পানীয় খাবেন না, তা অনেকেই জানেন না।

চলুন, জেনে নিই।

তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলেই বিপদ। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পানের চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

শুধু গরমকাল বলে নয়, রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে হলে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে অন্য কোনো রোগের ঝুঁকি, পানিতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার রসদ। তবে সারা বছরই প্রাপ্তবয়স্কদের তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি খাওয়ার কথা বলা হয়।

গরমে কি পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে

চিকিৎসকদের মতে, যে হারে গরম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, তাতে পানি বেশি করে খেতেই হবে। শরীরে পানির পরিমাণ যদি কমে যায়, তাহলে নানা রোগবালাই এই সময় জাঁকিয়ে বসবে।

সেটা ডায়রিয়া থেকে সংক্রমণ, যেকোনো কিছুই। তা ছাড়া ডিহাইড্রেশনের ভয় তো আছেই। তাই কিছুতেই শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন থেকে সাড়ে তিন লিটারের বেশি পানি খাওয়ার দরকার নেই। এই পরিমাণ পানি খেলেই হবে। তবে ডায়াবেটিক, হার্টের রোগের ক্ষেত্রে পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সেই পরিমাণটা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

অনেকেরই পানি খাওয়ার কথা মনে থাকে না। তাই পানির বিকল্প খোঁজেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, পানির বিকল্প পানিই। পানি খেলে যে উপকার পাওয়া যাবে, তা আর অন্য কোনো কিছুতেই মিলবে না। তবে কে, কতটা পানি খাবেন সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, উচ্চতা, ওজনের ওপর।

আবার কে, কোন পরিবেশে থাকছেন, তার ওপরেও পানি খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। যিনি বাইরের রোদে ঘুরে কাজ করেন, স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়। ফলে তাকে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতেই হবে। অন্যদিকে দিনভর এসিতে থাকলেও যে পানি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, তা একেবারেই নয়।

যে পানীয় থেকে দূরে থাকবেন

গরমে সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকেই আখের রস, কোল্ড ড্রিংকসে গলা ভেজাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তৃপ্তি দিলেও এই ধরনের পানীয় শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা জানিয়েছেন, কোল্ড ড্রিংক উল্টো শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে। রাস্তায় ভ্যানে করে যে আখের রস বিক্রি করা হয় তা কতটা স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে আখ কিনে এনে চিবিয়ে খেতে পারলে ভালো।

আরো পড়ুন
যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

খেজুরের বিচির এত গুণ!

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খেজুরের বিচির এত গুণ!
সংগৃহীত ছবি

রোজায় দীর্ঘসময় খাবার বিরতির কারণে শরীর পুষ্টির অভাবে অনেকটাই ক্লান্ত থাকে। কাজের চাপে অফিসে কিংবা বাসায় ইফতার করেন অনেকেই। আর এ ইফতারে প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ খেজুর। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খেজুর খেয়ে ফেলে দেন এর বিচি।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই বিচিতেই রয়েছে অনেক গুণাগুণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।

তবে খেজুরের মতো এর বীজেও লুকিয়ে রয়েছে জাদুকরী নানা গুণ! আসুন এক নজরে জেনে নিই খেজুরের বিচির কিছু উপকারিতার কথা-
 
১। খেজুরের বিচি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর তা হালকা বাদামি করে সরিষা তেলে ভেজে নিন। এখন ভাজা বিচিগুলো গুড়া করুন।
তৈরি গুড়া মিষ্টি, স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। বিচিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজ করে।

২। খেজুরের বিচি থেকে তৈরি করা যায় তেলও। এ তেল ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে।


 
৩। খেজুরের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
 
৪। পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেজুর বিচির গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন।
 
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৬। রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৭। খেজুরের বিচির গুড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এতে।
 
৮। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের বিচি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
 
৯। এর গুড়া কফি বা চায়ের মতো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্যাফেইন মুক্ত কফি হিসেবে কার্যকরী।
 
১০। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করতে পারে খেজুরের বিচির গুড়া। শুধু তাই নয়, পেটের অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী এটি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ