হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৭তম বার্ষিকী আজ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তাঁকে বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। এই পদক লাভ আমাদের জাতির জন্য এক বড় প্রাপ্তি ছিল। ১৯৫০ সালে থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতিকে সম্মান জানানোর জন্য এই পদকের সূচনা হয়।
জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক
মোঃ শফিকুল ইসলাম

যারা এ পর্যন্ত এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন; নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দিরা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আলেন্দে, মাদার তেরেসা, পাবলো নেরুদা, জওয়াহেরলাল নেহরু, মার্টিন লুথার কিংসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধু সহ যারা এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাঁরা সবাই-ই বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বে বড় ধরণের ভূমিকা রেখেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লেও তাঁদের অবদান ভুলে যাওয়ার মত নয়।
বঙ্গবন্ধুর এই পুরস্কার/পদক আপামর বাঙালির জন্য এক বিরাট অর্জন। এ মহান অর্জনের সালে জাতির পিতা পরিণত হন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু। ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তর আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশ্ববন্ধু’ (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড) হিসেবে আখ্যা দেন সংস্থাটির সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। বৈশ্বিক পরিম-লে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্বনেতা হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রেক্ষিতে তাঁকে “বিশ্ববন্ধু (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড)" উপাধিতে ভূষিত করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
এই বিষয়টিকে আমরা যথার্থ এবং সময়োচিত বলে মনে করি। সঙ্গত কারণেই এ উপাধি নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক স্বীকৃতির দাবি রাখে বলেও আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু’কে “বিশ্ববন্ধু (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড)" হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য যথাযথ উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণে আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নিকট বিনিত অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যদি মুজিববর্ষে বিশ্ববন্ধুর অফিসিয়াল স্বীকৃতি আদায় করতে পারি, তাহলেই সেটা আমাদের জন্য হতে পারে এক বড় অর্জন।
জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে আজ এই দিনটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করত দেশবাসী। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এটা অবশ্যই পালন করা আমাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। যার কারণে আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক তাঁর কৃতিত্বকে স্মরণ করতে পারা এক ধরণের বড় পাওয়া। আমরা যত তাঁর আদর্শ,কর্ম, কথা, অর্জন, অবদান,ও চেতনা সঠিক ভাবে পালন এবং ধারণ করতে পারবো , ততই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে আমি মনে করি। আর যারা জাতির পিতার আদর্শ শুধু মুখে ধারণ করে অন্যায় কাজ করছেন। তাদেরকে আমি এইটুকু বলতে চাই, আসুন ,আমরা সকলে মিলে খারাপ চর্চা বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ আমাদের মনে ও হৃদয়ে ধারণ করে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। তাহলেই ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এর লক্ষ্যে আমরা পোঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আজকের দিনে এটাই হউক আমাদের অঙ্গীকার।
বাঙালী জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার স্থপতি, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনে জাতির পিতার অসামান্য অবদানের প্রেক্ষিতেই বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ফ্যাসিবাদ-সাম্রাজ্য বাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে থাকে। আমি আশা রাখতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ভবিষ্যতে এ পদকে ভূষিত হবেন কারণ তিনিও বঙ্গবন্ধুর মত মানুষের মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন।
লেখক: পিএইচডি ফেলো, জংনান ইউনির্ভাসিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ল, উহান, চীন এবং শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী।
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।
স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।
মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।
জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।
মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘
জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
সূত্র : আজতক বাংলা

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।
১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।
আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।
‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।
‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।
পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।
সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।
জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।
পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।
সূত্র : ব্রিটানিকা

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
অনলাইন ডেস্ক

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।
তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।
তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।