কভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, আমাদের কার্যকর প্রতিক্রিয়ার কারণে সুস্থতার হারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যা এখন ৬৮.৭৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ২.০১ শতাংশ যা বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ভারত একটি গঠনমূলক ও নির্ভরযোগ্য দেশ
- মহামারির সময়ে ভারত কেবল দেশের চাহিদা পূরণ করেনি, বৈশ্বিক কল্যাণের জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
.jpg)
উচ্চহারে সুস্থতা এবং নিম্ন মৃত্যুহারের কারণ মহামারির প্রাদুর্ভাবের প্রারম্ভিক পর্যায়ে থেকে সংক্রমণ মোকাবেলায় গৃহীত তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাসমূহ। ভারতে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১৩ দিন আগে থেকে আমরা কভিড -১৯ পরীক্ষা শুরু করেছি। প্রাদুর্ভাবের ৫৫তম দিনে আমরা পুরো লকডাউন বাস্তবায়ন করেছি যখন আমাদের রোগী ছিল কেবল ৬০০ জন। আমাদের জনস্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনীয়তা পূরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।
কভিড-১৯ সম্পর্কিত মেডিক্যাল পণ্যের আমদানিকারক হতে আমরা রপ্তানিকারক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছি। আজ আমরা প্রতিদিন পাঁচ লাখেরও বেশি ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এবং তিন লাখেরও বেশি এন-৯৫ মাস্ক প্রস্তুত করছি। আমাদের উৎপাদনব্যবস্থা দেশীয় প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পর উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অভিযোজনযোগ্যতা এবং তৎপরতা দেখিয়েছে।
বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এবং ভারতের বিদেশিদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া আমাদের প্রতিক্রিয়ার সবচেয়ে সফল দিক ছিল। প্রথম দিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে বিদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সহায়তার জন্য একটি কভিড সেল এবং একটি সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে আটকে পড়া নাগরিকদের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা দেয়ার জন্য আমাদের মিশন প্রধানদের ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিদেশে আটকে থাকা আমাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য চালু করা বন্দে ভারত মিশনটি এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক গৃহীত এ ধরনের বৃহত্তম উদ্যোগ এবং জটিল মানবিক মিশন কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বন্দে ভারত মিশনের আওতায় এক মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় এখন পর্যন্ত বিমান, স্থল সীমানা ও নৌপথে ফিরে এসেছেন। আমরা দূর-দূরান্ত থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি এবং ভুটান ও নেপালি নাগরিকদের বন্দে ভারত ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছি।
আমাদের কূটনৈতিক মিশনের দ্বারা প্রত্যাবর্তনকারীদের কঠোর পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে সংক্রমণের অনুপাত যেন অত্যন্ত কম (০.২ শতাংশেরও কম) থাকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকার দ্বারা আসার পরই পরীক্ষার মাধ্যমে এই কেসগুলো শনাক্ত করতে সহায়তা করেছে। মিশনটি আমাদের নাগরিকদের আগমনের সাথে সাথে শেষ হয়নি। কাজের সুযোগের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সাথে তাদের যুক্ত করতে আমরা তাদের দক্ষতা যাচাই করেছি।
মহামারির মধ্যেও আমাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম থেমে নেই। আমরা বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সভার আয়োজন করেছি ও অংশ নিয়েছি। কভিড সংকটের শুরুতেও আমাদের প্রতিবেশী প্রথমে নীতির প্রদর্শন সকলেই দেখেছে যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) নেতাদের একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেছিলেন। তিনি ভারত থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠনসহ মহামারি মোকাবেলায় একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সংকট মোকাবিলায় আরো ভালো বহুপক্ষীয় প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী জি-২০ এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনসহ একাধিকবার জনগণকে আমাদের প্রচেষ্টার কেন্দ্রে নিয়ে এসে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সৌর জোট এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামো জোটের মতো আমাদের নিজস্ব উদ্যোগ এই পদ্ধতির প্রধান উদাহরণ। উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণ পরিষেবা স্থগিতের বিষয়ে জি-২০ এর সিদ্ধান্তকে ভারত পুরোপুরি সমর্থন করেছিল, তা এই জনকেন্দ্রিক পদ্ধতিরই প্রতিফলন ঘটায়। ভার্চুয়াল গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে প্রধানমন্ত্রী বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের দ্বারা বিশ্বব্যাপী ওষুধ ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অবদান কীভাবে পরিচালিত হয়েছে তা তুলে ধরেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্রথম ভার্চুয়াল দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করেছিলেন, এরপরে ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলন হয়েছিল। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী এ সময়ের মধ্যে ৬১টি দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৭৭ টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং কূটনৈতিক তৎপরতা প্রয়োজন এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ভার্চুয়াল যোগাযোগের চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত রেখেছি।
আমরা পরিবর্তিত বাস্তবতার সাথে মোকাবিলা করার জন্য বিশেষত বিশ্বের সাথে আমাদের যোগাযোগ রক্ষায় ক্রমাগত সামঞ্জস্য বিধান, অভিযোজন এবং উদ্ভাবন করে চলেছি। এই প্রক্রিয়ায়, আমরা বিশ্বব্যাপী একটি গঠনমূলক এবং নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সফল হয়েছি।
লেখক: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী।
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।
স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।
মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।
জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।
মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘
জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
সূত্র : আজতক বাংলা

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।
১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।
আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।
‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।
‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।
পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।
সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।
জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।
পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।
সূত্র : ব্রিটানিকা

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
অনলাইন ডেস্ক

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।
তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।
তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।