প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা-১ পর্বতের চূড়ায় বাবর আলী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা-১ পর্বতের চূড়ায় বাবর আলী
সংগৃহীত ছবি

অন্নপূর্ণা-১ পর্বত জয় করেছেন বাংলাদেশের বাবর আলী। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত অন্নপূর্ণা-১-এর চূড়ায় পা রাখলেন তিনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে বাবর আলী পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান।

উচ্চতার হিসেবে অন্নপূর্ণা-১ দশম সর্বোচ্চ (২৬,৫৪৫ ফুট) পর্বতশৃঙ্গ হলেও পর্বতারোহীদের মৃত্যুর হার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক পর্বত হিসেবে পরিচিত।

এই অভিযানে বাবর আলীর সঙ্গে ছিলেন গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা।

বর্তমানে বাবর আলী ক্যাম্প-৩-এ অবস্থান করছেন। আগামী দুই দিন তিনি ক্যাম্প-২; এরপর বেইস ক্যাম্প থেকে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসবেন বলে জানানো হয়েছে।

এই পর্বতে সফল সামিটের বিপরীতে মৃত্যুর হার প্রায় ১৪ শতাংশ এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিল এটি ৩২ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছেন অভিযানের পৃষ্ঠপোষক ভার্টিকেল ড্রিমার্স।

তারা বলছে, গত মৌসুম পর্যন্ত এই পর্বত সামিট করেছেন ৫১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৩ জন। বাংলাদেশ থেকে বাবর আলী নেপালে গিয়েছেন ২৪ মার্চ। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ২৬ মার্চ কাঠমাণ্ডু থেকে বিমানে উড়ে যান পোখারা, এরপর ২৮ মার্চ পৌঁছে যান বেইস ক্যাম্পে।

পেশায় ডাক্তার এই পর্বতারোহী ২০২৪ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে দুটি আটহাজারি শৃঙ্গ এভারেস্ট এবং লোৎসে পর্বতের চূড়ায় উঠেন।

এ ছাড়া প্রথম বাঙালি হিসেবে ২০২২ সালে অন্যতম টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলামের শীর্ষ স্পর্শের নজির গড়েন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আপনার পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্টের হালনাগাদ সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচকে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান কত?

বিস্তারিত ভিডিওতে... 

 

মন্তব্য
স্বরণ

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন এদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও লেখক। ১৯০৮ সালের ফেনী (বৃহত্তর নোয়াখালী) জেলার গুথুমা গ্রামে তার জন্ম। তার পিতা মুহম্মদ নুরুল্লাহ ছিলেন মুন্সেফ।

খানবাহাদুর আব্দুল আজিজ তার মাতামহ এবং হাবীবুল্লাহ্ বাহার চৌধুরী ছিলেন সহোদর ভ্রাতা। 

শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামের খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিজ চেষ্টায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক (১৯২৬) পাশ করেন। পরে ডাক্তার ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় (১৯২৭) তিনি উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান।

 

তিনি ১৯৪২ সালে এমএ পাশ করেন। বিএ পাশ করার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তিনি বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে যুক্ত হন।

শামসুন্নাহার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।

কলকাতায় থাকাকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। নজরুল তাকে সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। শামসুন্নাহার নিয়মিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতেন। 

১৯৫২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। তিনি কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব উইমেন দলের নেতৃত্ব দেন এবং সমগ্র এশিয়ার জন্য এই আন্তর্জাতিক মৈত্রী সংঘের আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োজিত হন।

এ ধরনের কাজের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স-এসব দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

তার প্রথম লেখা কবিতা প্রকাশিত হয় কিশোরদের ‘আঙ্গুর’ নামক মাসিক পত্রিকায়। আইএ পড়ার সময় তিনি ‘নওরোজ ও আত্মশক্তি’ পত্রিকার মহিলা বিভাগ সম্পাদনা করতেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘বুলবুল’ (১৯৩৩) পত্রিকা হবীবুল্লাহ্ বাহার ও শামসুন্নাহার যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছেন। 

তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ-পুণ্যময়ী (১৯২৫), ফুলবাগিচা (১৯৩৫), বেগম মহল (১৯৩৬), রোকেয়া জীবনী (১৯৩৭), শিশুর শিক্ষা (১৯৩৯), আমার দেখা তুরস্ক (১৯৫৫), নজরুলকে যেমন দেখেছি (১৯৫৮) ইত্যাদি। 

১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল (আজকের দিনে) ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?
সংগৃহীত ছবি

আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদকে যেভাবে দেখি, তাতে সব সময় চাঁদের একই দিক চোখে পড়ে। চাঁদের রূপ পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় বদলালেও, তার গায়ে থাকা গর্ত বা দাগগুলো সব সময় একই রকম দেখা যায়।

চাঁদ নিজে ঘোরে, আর একই সঙ্গে পৃথিবীর চারপাশেও ঘোরে। চাঁদ নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে সময় নেয় ২৭.৩ দিন।

পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের আবর্তনও হয় একই সময়ের মধ্যে। এ কারণে চাঁদ যতই ঘুরুক, আমাদের দিক থেকে সবসময় এটির একদিকই দেখা যায়।

তবে পুরোপুরি একপাশই যে দেখা যায়, সেটাও ঠিক না। চাঁদের হালকা দুলুনি (যার নাম লুনার লাইব্রেশন) থাকার কারণে আমরা একটু বেশি অংশ দেখতে পাই, মোটামুটি ৫৯% পর্যন্ত চাঁদের মুখ দেখা যায়।

এই ঘটনাকে বলা হয় টাইডাল লকিং। চাঁদ পৃথিবীর সঙ্গে টাইডালি লকড বা আকর্ষণ বলের কারণে একইভাবে আটকে গেছে। এটি সিনক্রোনাস রোটেশন নামেও পরিচিত।

চাঁদ যেভাবে টাইডালি লকড হলো
প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে যখন চাঁদ নতুন তৈরি হচ্ছিল, তখন সেটি অনেক দ্রুত ঘুরছিল।

কিন্তু পৃথিবীর মহাকর্ষ বল চাঁদের ওপর আকর্ষণ তৈরি করে। যার ফলে চাঁদের ঘোরা ধীরে ধীরে কমে যায়। এক সময় চাঁদের নিজস্ব অক্ষপথে ঘোরার গতি আর পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসার সময় এক হয়ে যায়। তখন থেকেই চাঁদ পৃথিবীর দিকে একই দিক ধরে রাখে।
 
তাহলে চাঁদের আলো কম-বেশি লাগে কেন?
যদিও আমরা সবসময় চাঁদের একদিক দেখি, সেই অংশের সবটাই কিন্তু একসঙ্গে সূর্যের আলো পায় না।
সেটা নির্ভর করে চাঁদ কোথায় আছে এবং সূর্য থেকে আলো কিভাবে পড়ছে তার ওপর। এই পরিবর্তনকে বলা হয় চাঁদের রূপ পরিবর্তন বা ফেজ। চাঁদের রূপ বা ফেজ বদলের পুরো একটা চক্র থাকে— নতুন চাঁদ (অমাবস্যা) থেকে পূর্ণ চাঁদ, আবার নতুন চাঁদে ফিরে আসা পর্যন্ত। এই পুরো চক্র শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫ দিন।
কখনো অর্ধেক চাঁদ দেখা যায়, কখনো একটু বেশি মাত্রায়, কখনো আবার পুরোটা (পূর্ণিমা) আবার কখনো একেবারেই দেখা যায় না (অমাবস্যা)। মনে রাখা জরুরি যে চাঁদের অর্ধেক অংশ সব সময় সূর্যের আলোয় ভাসে। কিন্তু আমরা সব সময় সেই অংশটুকুই দেখতে পাই না।

অনেকে চাঁদের যেদিক আমরা দেখতে পাই না, তাকে ডার্ক সাইড বলেন। কিন্তু সেটি সব সময় অন্ধকার থাকে না। তাই জ্যোতির্বিদরা সেটাকে ফার সাইড অব দ্য মুন বা চাঁদের দূরের দিক বলেন।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৭ ও ৮ এপ্রিল কালের কণ্ঠের পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে ‘ক্লিনিকের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম’ ও ‘পাঁচজনকে কুপিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি দখল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মো. আল আমিন ভূঁইয়া।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এবং শব্দের ভুল চয়ন ও ব্যবহারের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং আমার নাম ও অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমাকে সামাজিক ও দাপ্তরিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য স্থানীয় নূর মোহাম্মদ মেম্বার ষড়যন্ত্র করছেন।

আরো পড়ুন
সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

 

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বোড়ারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথেই আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা বিদ্যমান রয়েছে।

উক্ত জায়গায় আমার সহোদর ভাই একটি দোকান নির্মাণ করতে যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানা পুলিশ বাধা প্রদান করলে কাজ বন্ধ রেখে পরের দিন রবিবার স্থানীয় মুরাদনগর থানায় আমিসহ আমার ভাই ওসির সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করি। ওসির সাথে স্পষ্টতই আমরা বলি যে, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতক। অথচ স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মেম্বার অত্যন্ত কৌশলে ও তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মুরাদনগর উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে হাসপাতালের বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতকের স্থলে ৬ শতক দেখিয়ে আমাকে সরেজমিন দখলকারী হিসেবে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ স্থানীয় থানায় দেওয়া হয়, যেখানে আমি ওই দিন ঢাকায় সশরীরে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বোড়ারচর বাজারে গিয়ে নির্মাণকাজে বাধা প্রদান করলে আমার ভাই মো. কামাল কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখেন।
শনিবার নুর মোহাম্মদ মেম্বারের সাথে কোনো ধরনের মারামারি সংঘটিত হয়নি। এমনকি এই জায়গা দখল নিয়ে কোনো ধরনের মামলাও হয়নি।

প্রতিবাদে আরো বলা হয়, প্রকৃতভাবে নূর মোহাম্মদ মেম্বার হাসপাতাল সংলগ্ন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের রাস্তার (হালটে) উপরে অবৈধভাবে ৭/৮টি দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ অনেক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে যার প্রতিবাদ করলে রবিবার মো. কামাল ভূঁইয়া কে নূর মোহাম্মদ মেম্বারসহ তার দলবল আক্রমণ করে  আমার ভাইকে মাথায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। সংবাদে আমাকে আসামি দেখালেও আমার নামে কোন মামলা নেই এবং মারামারির সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ