ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিরা টিকিট চেক করেন না

অনলাইন রেল টিকিটে নতুন ধরনের জালিয়াতি

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
অনলাইন রেল টিকিটে নতুন ধরনের জালিয়াতি

'আজকে সন্ধ্যায় হঠাৎ জরুরি কাজে বড় ভাইকে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য হাওর এক্সপ্রেস শোভন এ একটা টিকেট করে দেই। উনি কমলাপুর স্টেশন থেকে গিয়ে ট্রেনে উঠেছেন। কিন্তু স্টেশনে যাবার পর দেখা গেল, একই টিকেট একই সিট নাম্বার নিয়ে অন্য একজন বয়স্ক মহিলা হাজির!'

সোশ্যাল সাইটে বাংলদেশ রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপে এমন অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন একজন ভুক্তভোগী। শুধু তিনি নন; ইদের আগমুহূর্তে গেছে।

টিকিট জালিয়াতির এমন বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর ভুক্তভোগী হতে হয় অনলাইনে টিকিট কেটে পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করে ট্রেনে ওঠা যাত্রীদের। এই প্রতিবেদকও খুব কম সময় ট্রেনে টিটিইদের টিকিট চেক করতে দেখেছেন। তাদের সব মনযোগ থাকে বিনা টিকিটে কিংবা দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের থেকে রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করা। 

ঘটনা অনুসন্ধানে বেশ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া যায়।

অনলাইনে টিকিট কাটার পর যে পিডিএফ ফাইলটি দেওয়া হয়, রেলের নির্দেশনা অনুযায়ী সেটা প্রিন্ট করে ট্রেনে উঠলেই চলে। টিকিটে মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দেওয়া থাকে; টিটিইর দায়িত্ব যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে এই দুটি বিষয় মিলিয়ে নেওয়া। কিন্তু ট্রেনে টিকিট চেক হলে তো...? এনআইডি আর মোবাইল নম্বর মিলিয়ে টিকিট চেক করলে সহজেই ধরা যায় কোন টিকিটটা আসল আর কোনটা নকল।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশের প্রায় সকল ট্রেনে টিকিট চেক করা হয়না।

এনআইডি-মোবাইল নম্বর মিলিয়ে দেখা তো দূরের কথা। এই সুযোগটাই নিচ্ছে জালিয়াতরা। তারা ফটোশপ ব্যবহার করে কোচ এবং সিট নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে যাত্রার তারিখ কিংবা ট্রেনের নাম বদলে দিচ্ছে। তারপর কালোবাজারে যাত্রীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে সেসব টিকিট। ট্রেনে ওঠার পর সেই যাত্রী বুঝতে পারছেন, তিনি আসলে ঠকেছেন! তাছাড়া রেলের অসাধু কর্মচারীরাও ফেরত দেওয়া টিকিট দুইবার বিক্রি করছে।
 

এক সিটে দুই যাত্রী হওয়ায় কথা-কাটাকাটি-ঝগড়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড-টিটিই-পুলিশ এই সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। যে কারণে ঝগড়ায় কাউকে না কাউকে হার মেনে নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। এখন অনলাইন টিকিট কাউন্টার থেকে প্রিন্ট করে নেওয়া যাত্রীদের জন্য ভালো সমাধান হতে পারে; কিন্তু তা জালিয়াতদের কাছে একপ্রকার নতি স্বীকার করা। তাছাড়া কাউন্টারেই যদি লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট প্রিন্ট করাতে হয়; তবে অনলাইন টিকিটের সুফল পাবেন না যাত্রীরা।

বেশ কয়েকমাস হলো দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে নাম এবং এনআইডি প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কারণ ট্রেনে টিকিটই চেক করা হয় না। অনলাইন টিকিটে কিউআর কোড থাকে; যা স্ক্যান করলেই যাত্রীর তথ্য পাওয়া যায়। ওই কোড স্ক্যান করার কোনো যন্ত্রও দেওয়া হয়নি টিটিইদের। অ্যানালগ সিস্টেমে যাত্রীর কাছ থেকে এনআইডি দেখার প্রয়োজনই মনে করেন না টিটিরা। যে কারণে হয়রানি চলছেই।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারত থেকে এলো ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত থেকে এলো ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল
সংগৃহীত ছবি

ভারত থেকে ১০ হাজার টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৮) ভারত থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফু থানহ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বোরো ধান এলে চালের দাম আরো সহনীয় হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বোরো ধান এলে চালের দাম আরো সহনীয় হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। আশা করি, নতুন ধান উঠলেই চালের বাজার আরো সহনীয় হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্য তেলের আমদানি, সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে বেশ কিছুদিন ধরেই চালের দাম বেড়ে আছে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। চিকন যে চাল বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট এটা কিন্তু বোরো মৌসুমের চাল থেকেই আসে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুতের অবস্থা ভালো ছিল। তা ছাড়া সারের সরবরাহসহ সামগ্রিক বিষয় ভালো ছিল।

আমরা মনে করছি, আল্লাহর রহমতে আমাদের ফসল তথা ধানেও একটা বরকত আসবে। আশা করি, নতুন ধান উঠে এলে চালের বাজার আরো সহনীয় হয়ে উঠবে।’

দিনি আরো বলেন, ‘কৃষিপণ্য একটা গতিশীল জিনিস। তবে সব পণ্যতে আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে যে ব্যবস্থাপনা করা যায়, সেটাই করছি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গুলশানে ফ্ল্যাট দখল : টিউলিপ সিদ্দিকের নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুলশানে ফ্ল্যাট দখল : টিউলিপ সিদ্দিকের নামে মামলা
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের অভিনব প্লট জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকি ছাড়া আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশারফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক কোনো টাকা পরিশোধ না করেই ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন। ফ্ল্যাটটির ঠিকানা—বি/২০১, বাড়ি নং ৫এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে ১১এ ও ১১বি (নতুন), রোড নং ৭১, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২।

আরও বলা হয়, এ ঘটনায় টিউলিপ ছাড়াও রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশাররফ হোসেনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে দরকার ৩৬ কোটি টাকার কাগজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে দরকার ৩৬ কোটি টাকার কাগজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণ কাজে কাগজ লাগবে লাখ লাখ ৩০ হাজার রিম। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এই চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ব্যালট পেপারসহ সকল মুদ্রণ কাজ সম্পন্ন করতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা বলেছি চার মাস সময় নেন।

এক্ষেত্রে তারা সবকিছু হিসাব করে পরবর্তী বৈঠকে জানাবে বলেও জানান তিনি।  

কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত ডিসেম্বরকে টার্গেট করেই কাগজ কেনা হবে। এক্ষেত্রে তফসিলের আগেই কাগজ কেনা সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

কেননা, তফসিলের আগেই বেশ কিছু মুদ্রণ সম্পন্ন করতে হয়।

আলোচনার পর ইসি সচিব তাদের চার মাস সময় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আগামী মে মাস থেকেই কাগজ কেনার কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাচন উপলক্ষে এক লাখ ৬১ হাজার ৭৪ রিম কাগজ ক্রয় করা হয়েছিল। আগামীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে দুই লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজের প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার রিম কাগজ মজুদ রয়েছে। বাকিগুলো কিনতে হবে। এজন্য ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৩ টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ