দু’দিন আগেও দেখা গেছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অলি গলিতে লোকজন চলাফেরা করছেন যাদের বেশিরভাগের মুখে মাস্ক নেই। কিন্তু আজ শনিবার দুপুরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। এমনকি দোকানের ভেতরেও দোকানীদের মাস্ক পরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
পুরান ঢাকায় করোনা সচেতনতা বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজার, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, পোস্তগোলা এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। আইজি গেট এলাকায় দেখা যায় মুদি দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। লেপ তোষক, ফার্নিচারের দোকান খোলা দেখা যায়নি। পোস্তাগোলা থেকে লোহারপুলের দিকে যাওয়া রাস্তায় প্রচুর রিকশা চলতে দেখা যায়।
তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন।
গেন্ডারিয়ার ঢালকা নগর এলাকার মুদি দোকানী আবদুল হাকিমকে মুখে মাস্ক পরে দোকানে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি জানান, আগে দোকান খুললে পুলিশ এসে বন্ধ করে দিতো। এখন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যায়। তবে ক্রেতা আগের চেয়ে কমে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুখে সবারই মাস্ক পরা উচিত। মানুষে এখন মাস্ক পরতেও আছে। মানুষের মাঝে অনেক সচেতনতা বাড়ছে। পুরান ঢাকায় অনেক বাড়িতে করোনা রোগি আছে এ কারনে সবাই ভয়ের মধ্যে আছে। প্রয়োজন ছাড়া কম লোকই বইরে বের হইতাছে।’
মুদি দোকানে আসা ক্রেতা আবুল হোসেনের মুখেও মাস্ক দেখা যায়। তিনি জানান, ১০ তারিখ থেকে সরকার শপিং মলসহ দোকানপাট খুলে দেওয়ার কথা বললেও মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে না। সরকারের ঘোষণার পর ভাবছিলাম প্রচুর মানুষ রাস্তায় বের হযে যাবে। আজ ৯ তারিখে সেটার লক্ষণ দেখা যাচেছ না। মানুষের মাঝে ভয় ঢুকেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। সরকার খুলে দিলেও খুব বেশি লোক রাস্তায় বের হবে সেটা তার কাছে মনে হয় না।
এ এলাকায় এ ধরনের চিত্র থাকলেও শ্যামবাজার এলাকায় দেখা গেছে প্রচুর মানুষের সমাগম। সব চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে শ্যাম বাজারে। সেখানে পাইকারী বিক্রেতাদেও পাশপাশি রাস্তায় অনেকে তরি তরকারির দোকান নিয়ে বসেছেন। অবশ্য এখানেও মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষকে।

দেশজুড়ে বৃষ্টি, কোথাও শিলাবৃষ্টির আভাস
অনলাইন ডেস্ক

সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টি ঝরতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা থাকবে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
পরদিন শুক্রবার খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, আগামী শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এ ছাড়া আগামী রবিবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি, প্রথম আলোকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন, গত ৩০ মার্চ প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা।
এই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি—এ কেমন অদ্ভুত আচরণ? এমন পবিত্র একটি ধর্মীয় উপলক্ষ্যে এমন ছবি ব্যবহার করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অশোভন।’
তিনি আরও বলেন, এর আগেও প্রথম আলো মহানবী (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছিল, তখন পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।
কুকুরের ছবি দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আলেমসমাজসহ সাধারণ মানুষের অনেকেই বিষয়টি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে দেখছেন এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের দাবি, প্রথম আলোর সম্পাদককে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে ও প্রথম আলো নিষিদ্ধ করতে হবে।

সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন নসরুল হামিদ
অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর গুলশান ক্লাবের উল্টো পাশে এক বিঘার বড় একটি প্লট রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। অনেকটা বাগানবাড়ির আদলে জায়গাটি গড়ে তুলেছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সেখানে আড্ডা দিতেন তিনি। সেসময় প্লটটি ছিল তার ‘সুখের রাজ্য’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্লটটি বিক্রি করতে বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধরছেন নসরুল হামিদ।
সূত্র জানায়, বড় আয়তনের এই দুইটি জায়গা এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলেও গুলশান, বনানী ও নিকেতন এলাকার একাধিক ছোট প্লট ও বাড়ি এরই মধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন নসরুল হামিদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, নসরুল হামিদ আমাকে বলেছেন, তার বেশির ভাগ সম্পত্তিই বিক্রি করে দেবেন। সেজন্য ক্রেতা খুঁজছেন তিনি। আমাকে অনুরোধ করেছেন যেন তার গুশলান ও মাদানী এভিনিউর জায়গা কিনি।
নসরুল হামিদের পৈত্রিক ব্যবসা ছিল জমি বেচাকেনা তথা রিয়েল এস্টেটের। তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপ। এ গ্রুপের অধীনে হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, হামিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ডেলকো বিজনেস অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, হামিদ ইকোনমিক জোন, হামিদ ফ্যাশন লিমিটেড অ্যান্ড হামিদ সোয়েটার লিমিটেড ও হামিদ এগ্রো লিমিটেডের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। হামিদ গ্রুপের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ব্র্যান্ড হলো ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’। গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদে রয়েছেন নসরুল হামিদ বিপুর ভাই ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। বিপুর মতো তিনিও বর্তমানে পলাতক।
সম্পত্তি বিক্রি বিষয়ে ব্ক্তব্য জানতে নসরুল হামিদ ও তার ভাই ইন্তেখাবুল হামিদের সঙ্গে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নসরুল হামিদ বিপু ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের পরিমাণ অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কম্পানিগুলোর ব্যবসা সচল ছিল। কিন্তু এর পর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হয়েছে। বেশকিছু কর্মীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই কিংবা ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। বেশকিছু জমি এরই মধ্যে বেদখল হয়ে গেছে।’
হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের আওতায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জে প্রিয়প্রাঙ্গণ-১ ও প্রিয়প্রাঙ্গণ-২ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসিক এলাকাটিতে নগদ ও কিস্তিতে প্লট বিক্রি করছে হামিদ গ্রুপ। আবাসিক এলাকাটির প্রতিষ্ঠাকালীন জোরপূর্বক জমি কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আবার বাজারমূল্যের চেয়ে কমেও জমি বিক্রিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তার এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের বেশিরভাগ ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে গেছেন।
নসরুল হামিদ ২০১৪ সাল থেকে এক দশকের বেশি সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিগত দেড় দশকে সরকারের সবচেয়ে বেশি অর্থের অপচয় ও লুটপাট হয়েছে এ মন্ত্রণালয় ঘিরে। নিজের ব্যবসা ও ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে নসরুল হামিদ বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানেও তার সম্পত্তি ও ব্যবসা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দেড় দশকে দেশের বিদ্যুৎ খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ডলার ১২২ টাকা দরে) এ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এক যুগে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার (৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের এ তথ্য নসরুল হামিদ নিজেই ২০২২ সালে জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন।
দেশে গত দেড় দশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গণহারে কয়েক ডজন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইনের অধীনে। এ আইনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই দরকষাকষির মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের সুযোগ রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজেই এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় নসরুল হামিদ একাই পুরো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সর্বেসর্বা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই তিনি বিভিন্ন প্রকল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দিতেন।
বিদ্যুৎ খাতের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত এক দশকে দেশে যতগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন পেয়েছে, তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে নসরুল হামিদকে শতাংশের হিসাবে ঘুস দিতে হয়েছে। এ খাত থেকে তার প্রাপ্ত ঘুসের পরিমাণই হবে হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি এলপিজি ও এলএনজি আমদানিতেও বিভিন্নভাবে ভাগ বসিয়েছিলেন নসরুল হামিদ। ২০২১ সালে দেশে এলপিজি আমদানিতে বৃহৎ একটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল সরকার। বিপুল বিনিয়োগের এ প্রকল্পটি বাগিয়ে নিতে সিঙ্গাপুরে নিজের মামার নামে নসরুল হামিদ একটি শেল কম্পানি খুলেছিলেন। ওই কম্পানিসহ আরো দুই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ভিটল ও জাপানের মারুবেনি করপোরেশনকে ৩০৫ মিলিয়ন ডলারের এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তির জন্য নির্বাচিত করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন তিনি। গুরুতর এ দুর্নীতির বিষয়টি ওই সময় প্রকাশ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নসরুল হামিদকে পিছিয়ে আসতে হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে এরই মধ্যে নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপু ছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের নামেও পৃথক মামলা করেছে সংস্থাটি। গত ডিসেম্বরে দায়েরকৃত এসব মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।
নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২২ আগস্ট দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওইদিন তার প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এ সময় ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’ নামে ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্টে থাকা নগদ অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রা এবং অস্ত্র-গুলিসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।

অটোরিকশায় অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক

অটোরিকশায় নারী শিক্ষার্থীর প্রতি অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা সেই বয়স্ক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী অটোরিকশায় করে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বড়ভাঙা যাচ্ছিলেন।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে উক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।