শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী কাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী কাল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল।

১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন শেখ কামাল।

দিনটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন সকাল ৯টায় ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। পরে অনুষ্ঠিত হবে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সহ সহযোগী সংগঠন গুলো এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করবে।

বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স পাস করেন।

বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার।
শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশনন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

এদিকে শহীদ শেখ কামলের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আবাহনী লিমিটেড ক্লাব প্রাঙ্গনে সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

তবে সকল অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শদ্ধা নিবেদন, দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, বিকেল ৫টায় শহীদদের বর্নাঢ্য কর্মবহুল জীবনের উপর ভার্চুয়াল আলোচনা ও স্মৃতি চারণ ও বাদ আসর ক্লাব ভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ‘তারুণ্যের জেগে উঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন-সিআরআই।

সুভাষ সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল এবং সিনিয়র ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান।

ওয়েবিনারটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামীকাল শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

মন্তব্য

ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত দেখতে চাই না : কাদের গনি চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত দেখতে চাই না : কাদের গনি চৌধুরী
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, শুধু ইসরায়েলের পণ্যই নয় ইসরায়েলকেই বয়কট করতে হবে। তিনি বলেন, ইসরায়েল মানবতার দুশমন। সারা বিশ্বের উচিত এদের বয়কট করা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে পেশাজীবীদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

পরে বিপুল সংখ্যক পেশাজীবী নয়াপল্টনে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র‍্যালিতে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করে। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. এমতাজ আহমেদ, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমাম, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আকন্দ, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ খান, রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো

 

পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এর ফলে গাজা ও রাফায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা না করে ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আমরা ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক সেটা দেখতে চাই না।

বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে অথচ বিশ্বের শক্তিমান রাষ্ট্রগুলো নীরব, এ কেমন মানবতা! নাকি মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই? তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিম দেশ বলেই বিশ্ব মোড়লরা চুপ করে আছে। এদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।

পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজা ও রাফায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো
সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের এনগ্রো হোল্ডিংসের সিইও আব্দুল সামাদ দাউদ আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা।

সাক্ষাৎকালে এনগ্রো সিইও বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কম্পানির কার্যক্রম প্রসারের ইচ্ছা জানান।

সামাদ দাউদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

পাশাপাশি ভোলার গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে শিল্প খাতের বিকাশে অংশগ্রহণের সুযোগও আমরা দেখছি।’

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে না আসিয়ান

ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে না আসিয়ান

 

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে টেকসই এবং ভবিষ্যৎমুখী অংশীদারির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে মনোযোগ দিতে চাই, যা আমাদের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দাউদ চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘বিডা সামিটে এক মানবিক ছোঁয়া ছিল—এটি আন্তরিক, স্বাগতপূর্ণ এবং লক্ষ্যনির্ভর মনে হয়েছে। এক ছাদের নিচে এত শীর্ষস্থানীয় কম্পানিকে দেখে আমি অভিভূত।’

অধ্যাপক ইউনূস এনগ্রোর নেতৃত্বকে বাংলাদেশে আবার আসার আমন্ত্রণ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সুযোগ দেখার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাকে আবার আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ অনেক কিছু দিতে পারে—শুধু বিনিয়োগকারীদেরই নয়, পুরো বিশ্বকে।’ 

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদী বিএনপির শোভাযাত্রায় জনতার ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদী বিএনপির শোভাযাত্রায় জনতার ঢল
সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুসলিমবিশ্বের নিষ্ক্রিয়তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে মুসলিমবিশ্ব সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়নি।’

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

এতে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে জনতার ঢল নামে।

নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর, মৌচাকসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রাটি কারওয়ানবাজার গিয়ে শেষ হয়। সারা পথজুড়েই ছিল ব্যাপক জনসমাগম ও প্রতিবাদী স্লোগান। বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করো, দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

 

আরো পড়ুন
গাইবান্ধায় গাছের নিচে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় গাছের নিচে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু

 

শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা শুধু তাদের ধ্বংস নয়, এটা বিশ্বমুসলমানদের নিঃশেষ করার একটি ষড়যন্ত্র। মুসলিমবিশ্ব কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এতটা সাহস দেখাতে পারত না।’ 

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলছে। এটা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ।

জাতিসংঘও নিষ্ক্রিয় একটি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ দল-মত-নির্বিশেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের থেকে তেমন কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারও ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে এখনো কথা বলেনি। সবাই বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে ব্যস্ত, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা কেউ ব্যস্ত না।’ 

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে।

আজ ফিলিস্তিনের মানুষ নিজেদের দেশেই পরবাসী। অথচ মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই। তারা মুখ খুলছে না, অবস্থান নিচ্ছে না।’

আরো পড়ুন
সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ২৪০৩ টাকা

সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ২৪০৩ টাকা

 

বিএনপি নেতা বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন চলছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এই নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি করছি।’

সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিরোধী দলের ওপর নিপীড়নের সঙ্গে ইসরায়েলের কাছ থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ গাজা যেন অবরুদ্ধ খাঁচা, যেখানে শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার।’

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটকারীদের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তারা ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছে বলেই মনে করব। তাদের প্রতিহত করতে হবে,  পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।’

আরো পড়ুন
পড়তে বসলে ঘুম পায় কেন, যা বলছে বিজ্ঞান

পড়তে বসলে ঘুম পায় কেন, যা বলছে বিজ্ঞান

 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু। আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মসূচিকে ঘিরে দুপুরের পরপরই নেতাকর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হতে থাকেন। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও কালো ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগনে মুখরিত করেন নয়াপল্টন এলাকা।

মন্তব্য

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার নিয়ে যা বললেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার নিয়ে যা বললেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার

বাংলাদেশের জন্য ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এ সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

‘মালে থেকে ঢাকা : বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিস।

প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আপনার মন্তব্য কী। এ প্রশ্নের উত্তরে হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ ও ভারতের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক নয়।

’  

বাংলাদেশের জন্য দিল্লি সরকারের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের ট্রান্সশিপমেন্ট শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হয়ে থাকে। তাই ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।’

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে না কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।’

এর আগে সেমিনারে হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ বলেন, ‘মালদ্বীপের আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

আমরা সব বাংলাদেশিকে নথিভুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছি। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের বায়োমেট্রিক দিতে হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ