বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘শুধু ইসরায়েলের পণ্যই নয়, ইসরায়েলকেই বয়কট করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল মানবতার দুশমন। সারা বিশ্বের উচিত এদের বয়কট করা।’
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে পেশাজীবীদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে বিপুলসংখ্যক পেশাজীবী নয়াপল্টনে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র্যালিতে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. এমতাজ আহমেদ, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমাম, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আকন্দ, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ খান, রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো
পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এর ফলে গাজা ও রাফায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা না করে ক্রমবর্ধমান ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আমরা ফিলিস্তিনে আর এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক সেটা দেখতে চাই না।’
বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে অথচ বিশ্বের শক্তিমান রাষ্ট্রগুলো নীরব, এ কেমন মানবতা! নাকি মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই?’ তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন মুসলিম দেশ বলেই বিশ্ব মোড়লরা চুপ করে আছে। এদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।’
পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজা ও রাফায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।