অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যার বিচার এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বাসদ-এর খালেকুজ্জামান লিপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, ইউসিএলবি’র নজরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৬ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার প্রয়োগ নিয়ে তীব্র বিরোধীতার ফলে সরকার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৫৭ ধারাকে ভেঙে নতুন আইনের ২১, ২৫, ২৯ এবং ৩১ এই ৪টি ধারায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
আইনে অপরাধ হিসাবে আরো নতুন কতগুলি বিষয়কে যুক্ত করা হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে এ বিষয়গুলি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আইনের ৪৩ ধারায় পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, জব্দ ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এখন সরকার এবং সরকারের সুবিধাভোগীরা বিরোধী মতের ব্যক্তিদের শায়েস্তা করার জন্য এর ব্যবহার করছে। মুশতাক, কিশোর, দিদারের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটেছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাক ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্বকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। এ সরকার ভাত-ভোটের নিশ্চয়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসে গত ১২ বছরে ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়িয়েছে।
১০ টাকায় যে চাল জনগণকে দেওয়ার কথা বলেছিল সেই চালের কেজি এখন ৫০ টাকা।
তারা আরো বলেন, সরকার বাজার সিন্ডিকেটের প্রশ্রয়দাতা। মন্ত্রিসভাও ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাভুত করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।