ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহালের হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

  • দেশে মহিলা নেত্রী ইসলামসম্মত নয়-এই ধারণা থেকেই তালেবানি কায়দায় হামলার পরিকল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহালের হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
ফাইল ফটো

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় (৭৬ কেজি ওজনের বোমা মামলা হিসেবে পরিচিত) ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। ৮৬ পৃষ্ঠার এ রায় লেখা হয়েছে বাংলায়। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় দিলেও পূর্নাঙ্গ রায় লেখা সম্পন্ন হওয়ায় তা সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, বোমা দুটি বিস্ফোরিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সমাবেশস্থলে উপস্থিত লোকজন ও আশেপাশে বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনেক লোকের প্রাণহানীর সম্ভাবনা ছিল।

এক কিলোমিটারের মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসলীলায় পরিণত হতো।

রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল আসামিরা গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে সভা করে। সেখানে মুফতি হান্নাসহ ৫০ জন বক্তব্য দেয়। সেখানে তারা বলে যে, ইসলামী আলেমদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে শেখ হাসিনার পরিণতি তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়েও ভয়াবহ হবে।

ওই সভার বক্তব্যের সঙ্গে এই মামলার পরিস্কার যোগসুত্র পরিলক্ষিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মুগধার অফিসে সভা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোমা পুতে রাখে। উদ্দেশ্য ছিল এই বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের হত্যা করা।
রায়ে বলা হয়, ষড়যন্ত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সমগ্র জাতি আবারো একটি অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে নিমজ্জিত হতো। বোমা দুটি বিস্ফোরিত হলে এলাকাটি একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতো।

রায়ে বলা হয়েছে, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কতিপয় আসামি ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর ও মুগদাপাড়া অফিসে মিটিং করেছিল। মিটিংয়ে তাদের মত প্রকাশ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামবিদ্বেষী এবং ভারতের দালাল হিসেবে ইসলাম ধ্বংসের কাজে লিপ্ত। সুতরাং তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে হবে হত্যার মধ্য দিয়ে।

কিন্তু কি ধরনের ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ তৎকালীন সরকার করেছিল ও ভারতের সাথে কি করেছিল তার কোনো বক্তব্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেনি। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গভীর পর্যন্ত দেখা যায়, একটি অবাস্তব ও

ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে তাদের এ ধরনের মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছিল। আসামীরা ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণার মধ্য দিয়ে তৎকালীন সরকারকে দোষারোপ করেছিল। রায়ে বলা হয়, দেশে মহিলা নেত্রী ইসলামসম্মত নয়, তারা তা প্রতিহত করবে-আসামিদের এই ধ্যান-ধারনা এবং শক্তি প্রদর্শন ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করেনা। কারন ইসলাম শান্তির ধর্ম। ষড়যন্ত্রকারীরা মূলত যাকে হত্যা করার জন্য এই ঘটনা অবতরণ করে তিনি তখন দেশের বৈধ সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। একটি বৈধ সরকার প্রধানকে তার সহযোগিতার প্রচেষ্টা এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য ক্ষতিকর তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরবর্তীতে দেশের নিরীহ স্বাধীনতাকামী উপলব্ধি করেছিল। এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণায় জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়।

রায়ে বলা হয়, এইরূপ ধ্বংসলীলা প্রায়শ আফগানিস্তানে সংঘটিত হয়ে থাকে। যেখানে গিয়ে মুফতি হান্নানসহ ষড়যন্ত্রকারীদের কেউ কেউ প্রশিক্ষন নিয়েছিল এবং তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল। সেজন্যই তালেবানী কায়দায় এ ধরনের ঘটনা সংঘটনের জন্য মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য আসামীদের দায়িত্ব দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়, আসামিরা এ দেশের প্রচলিত আইন মান্য করতে নারাজ। তারা জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে চায়। কিন্তু তাদের এই ধরনের চিন্তা এসে প্রসূত আইন কখনো সমর্থন করেনা। তারা সকলেই জন্মগতভাবে দেশেরই নাগরিক। ষড়যন্ত্র করে এবং বোমা দুটি টুতে রাখার মধ্য দিয়ে যে অপরাধ তারা সংঘটিত করেছে তা ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং জঘন্য। দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে জঙ্গিবাদ ও জঙ্গী তৎপরতার এদেশ থেকে বিলীন হওয়া প্রয়োজন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় (৭৬ কেজি ওজনের বোমা মামলা হিসেবে পরিচিত) ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে এবং একজনকে খালাস দিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। লিখিত রায়ে আদালত কোন আসামির কি ভূমিকা ছিল তা পূন্খানুপুন্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মামলার রায় ও আইনের সঙ্গে তার পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে।

যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন- ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর। এদের মধ্যে মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আবদুল হাই পলাতক।

এছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আনিসুল ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানকে দেওয়া ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে কারাবন্দী এই দুইজনের

সাজাভোগ করা হয়ে গেলে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছন (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে) থেকে ২০০০ সালের ২০ জুলাই ৪০ কেজি ও ও ২৩ জুলাই ৭৬ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়। এই বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ১৮ এপ্রিল আবুল হোসেন খোকনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। এরপর ২০০৬ সালেল ১৯ নভেম্বর মূফতি আবদুল হান্নান তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ১৪ জনের নাম প্রকাশ করায় পুলিশ আরও আটজনকে আসামি করে ২০০৯ সালের ২৯ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর ওইবছরের ২৪ আগষ্ট হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। নথি হাইকোর্টে পৌছার পর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয় এবং তা বিচারের জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।

মন্তব্য

কুমিল্লায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুমিল্লায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সম্পন্ন

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সারা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম কুমিল্লা জেলায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিন দিনের এ কার্যক্রমের শেষ দিনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গলকোর্ট, বরুড়া, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম সদস্যকে হারিয়ে অনেক পরিবার এখন নিঃস্ব। এ বাস্তবতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ঈদ আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে এসব শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়ে দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এসব শহীদদের পরিবারের হাতে সামান্য ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী বলেন, ডা. মজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারাদেশের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় সর্বপ্রথম নির্ধারিত সময়ের আগেই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রাপথের অবর্ণনীয় কষ্ট হাসিমুখে মেনে তিনি নিজ হাতে শহীদদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। দুর্দিনে শহীদ পরিবারের পাশে থাকার জন্য ডা. মজিবুর রহমানের অঙ্গীকার কুমিল্লাবাসীকে উদ্বেলিত করেছে।

মন্তব্য

নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) ঢাকার নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী। গত মঙ্গলবার পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা তাকে পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় নিনমাসের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী  উপস্থিত ছিলেন। 

দায়িত্ব গ্রহণের পর এ কে এম ফজলুল বারী নিনমাসসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণাসেবা আরও উন্নততর করে নিনমাসকে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সিলেন্স সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের সহযোগিতা চান।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

 

অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন নিনমাসে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য এবং ডব্লিউএমআইম ভারতের সম্মানিত ফেলো।

অধ্যাপক বারী ২০১৭ সালে বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

গবেষণার জন্য দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

মন্তব্য

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

 

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় সাংবাদিক সংগঠনগুলো ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করে পরিচালিত হয়েছে। এটি আমাদের জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।

 

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে মালিক ও সম্পাদকদের প্রভাব থেকেও সাংবাদিকদের মুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধান এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব
সংগৃহীত ছবি

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক বলেছেন, সামনের ঈদে প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়ে ঈদ উদযাপন করতে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিবেন। মানুষের এই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক বিভাগ থেকে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ চলমান, অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বাস মালিক সমিতির সাথে কার্যকর আলোচনা হয়েছে। চাঁদাবাজি ও সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর রয়েছে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সড়কে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সড়ক সচিব। 

শনিবার (২২ মার্চ) গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত বিআরটি বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভায় সভাপতির বক্তব্যে সড়ক সচিব এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

 

সড়কে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে অংশীজন সভায় আগত অতিথিদের পরামর্শ ও মতামত সাদরে গ্রহণ করা হবে বলে সড়ক সচিব আরো জানান, সড়ক বিভাগের ব্যাপারে অনেকের অভিযোগ আছে, তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি রাস্তায় শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যাতে করে মানুষ নির্বিঘ্নে এবারের ঈদ পালন করতে পারে। এ সময় সভায় আগত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সড়ক সচিব প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সকলকে ধন্যবাদ ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরো পড়ুন
নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. অনুপম সাহা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ। 

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই অংশীজন সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা, বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ