সরকার কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে ইউরিয়া সার দেয়। দেশের মোট চাহিদার বিপরীতে বেশির ভাগ সার আমদানি করতে হয়। গত অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পৌনে আট লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি সার আমদানি করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। কিন্তু এই আমদানির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি ভর্তুকির অর্থ ছাড় করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।
ইউরিয়া সার
ভর্তুকির ২২০০ কোটি টাকা চায় বিসিআইসি
সজীব হোম রায়

এসব বিষয় জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে বিসিআইসি বলেছে, প্রতি অর্থবছরে সরকার তথা কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিসিআইসি ইউরিয়া সার নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিসিআইসির মোট দাবি করা অর্থের বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল মৌখিকভাবে কয়েকটি কারণ দেখিয়ে প্রায় চার কোটি ৩৪ লাখ টাকা কেটে নেয়।
বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে জানা যায়, নিরবচ্ছিন্নভাবে ইউরিয়া সার আমদানির লক্ষ্যে প্রতিবছরই বিসিআইসি বরাবর অর্থ বিভাগ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুকূলে ‘কাউন্টার গ্যারান্টি’ ইস্যু করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে বিসিআইসি বলেছে, বর্তমানে ঋণপত্র (এলসি) স্থাপনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলএটিআর ঋণের ওপর ৯ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করেছে। সে হিসাবে সংস্থার দাবি করা দুই হাজার ২৭৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বিপরীতে দৈনিক সুদ ৫৬ লাখ টাকা এবং মাসিক সুদ ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা যুক্ত হয়ে ভর্তুকি খাতে প্রতিনিয়ত সরকারের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থ বিভাগের অর্থ ছাড়ে যত দেরি হবে, ভর্তুকির পরিমাণও সে অনুপাতে বাড়তে থাকবে।
অন্যদিকে প্রতিটি এলএটিআর ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করা না হলে তা শ্রেণীকৃত হয়ে যাবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে শ্রেণীকৃত ঋণ থাকলে ও এলএটিআর সীমা অতিক্রম করলে নতুন করে এলসি স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো অপারগতা প্রকাশ করবে। সে ক্ষেত্রে সার আমদানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া বিসিআইসি ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
অর্থ ছাড় ও চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিসিআইসির চিঠিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলো দেখে হিসাব-নিকাশ সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ পলাতক
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জসিম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ঘটেশ্বর পশ্চিম পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক আছেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এজাহারে বলা হয়, তিনি ও তাঁর স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কাজে যাওয়ার সময় শিশুটিকে আত্মীয়ের জিম্মায় রেখে যান। শুক্রবার রাত ১০টায় বাসায় ফিরে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
শিশুটির বাবা জানান, তখন মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, পুতুল কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ভবনের মালিক জসিম তাকে ছাদে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। এই ঘটনার পর থেকে জসিমকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা থানায় এসে মামলা করেছেন। শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জসিম পলাতক থাকায় এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযান অব্যাহত আছে।

মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিধ্বংসী ভমিকম্পের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ, চিকিৎসা-সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ১২০ টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে ইয়াঙ্গুস্থ বাংলাদেশর কূটনৈতিকবৃন্দ, বানৌজা সমুদ্র অভিযানের অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্ট সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমান্ডার ইয়াঙ্গুন কমান্ড, কমান্ডার মায়ানমার নেভাল ট্রেনিং কমান্ড ও কমান্ডার ১ নং ফ্লিট।
আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্দশা লাঘবে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ এ সকল ত্রাণসামগ্রী দেশটিতে পাঠায়। বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় ও সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, বস্ত্রসামগ্রী, কম্বল, তাবু, জরুরি চিকিৎসা-সামগ্রী ও ঔষধসহ প্রায় ১২০ টন ত্রাণ মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার তথা সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি মানবিক সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আলোচিত-১০ (১২ এপ্রিল)
অনলাইন ডেস্ক


তিল ধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, সড়কেও মিছিলের সারি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নির্ধারিত ভেন্যু...

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান...

চারুকলায় আগুনে পুড়ল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে তৈরি করা...

যাত্রীর চাপে টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ চলছে মেট্রো রেলে
রাজধানীর শাহবাগ স্টেশনে যাত্রীদের চাপে মেট্রো রেলে টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া...

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে ৮ ঘণ্টায় মিলল সাড়ে ৮ কোটি টাকা
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুক খুলে ২৮ বস্তা টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা...

আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে।...

মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসানের মুখে কৃষক
জালিয়ার হাওরের তিন একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর...

‘বৈসাবি’ শব্দটি যেভাবে এসেছে
পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব। আজ শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন...

আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে।
পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম আছে। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।
আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।