<p style="text-align: justify;">বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা। সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে মিরপুরে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণের সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বনজঙ্গল উজাড় করে, নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র  স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন তাঁর বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো ছিল বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিন তো চারটি পত্রিকা রেখে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন। </p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপজ্জনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে, মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউসে। সত্য বললেই জেলে পুরে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশটাকে উজাড় করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশকে বানানো হয়েছে লীগময়। </p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, এত গুম, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন- তারপরও মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যায়নি। মানুষের আন্দোলনকে দমানো যায়নি। সব দুর্যোগে বিএনপির নেতারা দেশবাসীর পাশে আছে।</p> <p style="text-align: justify;">ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, মুখে মুখে তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করে। গত কয়েক দিন আগে তাদের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান কথা বলায় কাদের সাহেব বলছেন, পাকিস্তান তাদের উন্নয়ন দেখলেও বিএনপি দেখে না। এখন তারা পাকিস্তানের প্রশংসায় গদগদ। এক দেশ আরেক দেশের প্রশংসা করবে এটা তো রীতি। আসলে ওবায়দুল সাহেবরা দ্বিচারিতানীতি অবলম্বন করেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আমিনুল হক। আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, মাহমুদুর রহমান সুমন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।</p>