<p>দুই বছর আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিমান দিয়ে অভ্যন্তরীণ সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করে প্রায় ৫০০ জন যাত্রীকে মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলেছিলেন দুজন পাইলট। একই সঙ্গে বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে চালিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটির ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি করেছিলেন তাঁরা। ক্ষতির এই দায় প্রমাণিত হওয়ায় বীমা কম্পানি সংশ্লিষ্ট বিমানের ইঞ্জিন মেরামতের খরচ বহন করেনি। ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে বিমানটির ইঞ্জিন মেরামতে গচ্চা দিতে হয়েছিল সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। ইঞ্জিন মেরামতে সাড়ে তিন মাস সময় লাগায় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট কমে যায়। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে বিমান। সব মিলিয়ে ওই দুই পাইলট বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের তিনটি ধারা লঙ্ঘন করে ফৌজদারি অপরাধ করলেও সতর্ক করা ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। </p> <p>বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি কালের কণ্ঠ’র কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে এর ওপর শুনানি চলছে। </p> <p><strong>যা ঘটেছিল</strong><br /> ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিজি৬০১ সিলেটের উদ্দেশে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। সেদিন ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড (পিআইসি) ছিলেন ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরী এবং তাঁর ফার্স্ট অফিসার ছিলেন রাফি উজ জামান। ড্যাশ-৮-কিউ ৪০০ মডেলের বিমানটিতে সেদিন যাত্রী ছিল ৭১ জন। </p> <p>বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের পর বিমানটি দুই হাজার ফুট উচ্চতায় আরোহণের সময় ফ্লাইটটির পিআইসি বিমানটির আরোহণ গতি বা ইন্ডিকেটেড এয়ার স্পিড (আইএএস) নির্ধারণ করে দেন ১৬৫ নটিক্যাল মাইল। অথচ বেবিচকের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ী ১০ হাজার ফুট উচ্চতার নিচে ড্যাশ-৮-কিউ ৪০০ মডেলের বিমানটির আরোহণ গতি থাকার কথা ছিল ১৮৫ নটিক্যাল মাইল। শুধু তাই নয়, বেবিচকের এসওপি লঙ্ঘন করে সেদিন বিজি৬০১ ফ্লাইটের আরোহণ গতি তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। আর ড্যাশ-৮-কিউ ৪০০ মডেলের বিমানটির এয়ারক্রাফট অপারেটিং ম্যানুয়াল (এওএম) অনুযায়ী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ১০ হাজার ফুট উচ্চতার ওপরে আরোহণ গতি ২১০ নটিক্যাল মাইল থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ১৪ হাজার ৮৯৬ ফুট উচ্চতায় ১৭০ নটিক্যাল মাইলে বিমানটি পরিচালনা করেছিলেন পাইলট। এতে ইঞ্জিনে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছিল বিমানটি। </p> <p><strong>মিথ্যার আশ্রয়</strong><br /> এ ঘটনার জবাবদিহিতে পাইলট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিমান পরিচালনার দাবি করলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জারি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার উল্লেখ ছিল না। বিপজ্জনক বিমান চালনা আড়াল করতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বেবিচক অনুমোদিত এসওপি লঙ্ঘন করে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছিলেন। </p> <p>প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৪ হাজার ৪৯৬ ফুট উচ্চতায় আরোহণ করার সময় ফ্লাইটটি ওই উচ্চতা থেকে ক্রমে নেমে যাচ্ছিল বলে পাইলটরা দাবি করলেও ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারে (এফডিআর) তার উল্লেখ ছিল না। ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ব্ল্যাকবক্স নামে পরিচিত, যা এক ধরনের ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস। সব উড়োজাহাজে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্তে এই ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।</p> <p><strong>আড়ালের ব্যর্থ চেষ্টা</strong><br /> প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি সিলেটের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই পরিকল্পিতভাবে অডিও ও রেডিও কন্ট্রোল ডিসপ্লে ইউনিট থেকে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ (ইঞ্জিন প্যারামিটার অ্যাকসিডেন্স) ম্যাসেজ ও ফল্ট কোড মুছে ফেলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অবতরণের পর ইঞ্জিন প্যারামিটার অ্যাকসিডেন্সের ঘটনাটি আড়াল করতে ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরী কর্তব্যরত এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলামের কাছেও গোপন করেন এবং এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স লগে (এএমএল) ‘নিল’ উল্লেখ করেন। </p> <p>বিমানের তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পাইলটরা বিমানের তদন্তকারীদের কাছে বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনো এয়ার সেফটি রিপোর্ট (এএসআর) বা সুরক্ষা প্রতিবেদন জমা দেননি, যা ফ্লাইট সেফটি ম্যানুয়ালের (এএফএম) চরম লঙ্ঘন।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি মনোনীত বিমানটির ইঞ্জিন তদারক বা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাম্প সিস্টেম, কানাডা। প্রতিষ্ঠানটি একই দিন স্থানীয় সময় ৩টা ৪৪ মিনিটে বিমান ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস ড্যাশ-৮-কিউ ৪০০ বিমানটির ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনের বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বিমানের সিস্টেমে এমন কোনো বার্তা খুঁজে পায়নি। পরদিন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস যোগাযোগ করে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এবং এয়ারফ্রেম নির্মাতা ডি-হ্যাভিল্যান্ড কানাডার সঙ্গে। তারা ডাটা বিশ্লেষণ করে বিমানটিকে গ্রাউন্ড করে ইঞ্জিন দুটি বের করে পরীক্ষা করার সুপারিশ করে। ততক্ষণে বিমানটি দিয়ে আরো সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, এর মধ্যে যেকোনোটিতে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারত। যেকোনো সময় বিমানটির দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। অবশ্য ২ ফেব্রুয়ারির পর বিমানটিকে উড্ডয়ন থেকে বিরত রাখা হয়। ইঞ্জিন ওভারহল শপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মারাত্মক ক্ষতি ধরা পড়ে। </p> <p>প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ইঞ্জিন মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠানো হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর এমন বিমান চালনা বেসামরিক বিমান চলাচল আইন, ২০১৭-এর ২৯ ও ৩৩ ধারার লঙ্ঘন। এ ছাড়া বিপজ্জনক পদ্ধতিতে বিমান চালনার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরী সংশ্লিষ্ট বিধির অধীনে আবশ্যকীয় প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হন, অস্বীকার করেন এবং মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাঁর এমন কর্মকাণ্ড বেসামরিক বিমান চলাচল আইন, ২০১৭-এর ২৭ (ক) ধারা অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। </p> <p>এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। এ জন্য গত ৭ মে দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে অপেক্ষা করেও তাঁর সাক্ষাত্ মেলেনি। অপেক্ষার এক পর্যায়ে শফিউল আজিমের ব্যক্তিগত সচিব জানান, তিনি এ বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না। (অবশ্য, গত ২১ মে শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে ইসির সচিব করা হয়েছে)।  </p> <p>তবে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর বেতন-ভাতার পে স্লিপ কালের কণ্ঠ’র কাছে আছে। এসব পে স্লিপে আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর পদবি ড্যাশ-৮-কিউ ৪০০ বিমানের ক্যাপ্টেন উল্লেখ করা আছে।<br />  <br /> <strong>যা বলা আছে আইনে</strong><br /> বেবিচকের তদন্ত প্রতিবেদনে ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের ২৭ (ক), ২৯ ও ৩৩ ধারা লঙ্ঘনের উল্লেখ রয়েছে। </p> <p>আইনটির ২৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন, বিধি বা এএনও-এর অধীন আবশ্যকীয় কোনো প্রতিবেদন প্রদান করিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন অথবা মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত এয়ার অপারেটর অনধিক তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’</p> <p>২৯ ধারায় বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার দণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা বেপরোয়াভাবে এইরূপ কোনো কার্য করেন যাহাতে নির্বিঘ্নভাবে বিমান পরিচালনায় অসুবিধা সৃষ্টি হয় এবং উহা দ্বারা কোনো মানুষের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’ </p> <p>আর ‘বিপজ্জনক’ পদ্ধতিতে বিমান চালনার দণ্ড সংক্রান্ত ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো বিমানের পাইলট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো বিমান ভূমি বা পানিতে অবস্থানকারী কোনো ব্যক্তি বা সম্পত্তির জন্য বিপজ্জনক পদ্ধতিতে চালনা করেন এবং যদি তিনি প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হন যে বিমানের উক্তরূপ পরিচালনা তাঁহার প্রত্যক্ষ ত্রুটি বা ব্যর্থতার কারণে সংঘটিত হয় নাই, তাহা হইলে তিনি অনধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’</p> <p><strong>তদন্তের সুপারিশ</strong><br /> উত্থাপিত কর্মকাণ্ড যথাযথ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থা বড় ধরনের অশুভ ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া সরকারি তহবিল তছরুপের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তা যথাযথ কার্যক্রমের মাধ্যমে পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সুপারিশের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, বিষয়টির ওপর বিভাগীয় ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা যেতে পারে, যাতে এ ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হয়। </p> <p>বিমানের পাইলট নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ক্যাপ্টেন আলী রুবাইয়াত চৌধুরীর বিষয়টি উঠে এসেছে। বেবিচকের তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে আমরা জানি না। আমি বেবিচকের প্রতিবেদনটি আদালতের মাধ্যমে চেয়েছিলাম। আদালত বলেছেন আবেদন করতে। ২৯ মে পরবর্তী শুনানির তারিখ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে না পেলে আবেদন করে তা দাখিলের নির্দেশনা চাইব।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বেবিচকের তদন্ত প্রতিবেদনে যদি দুই পাইলটের অপরাধ প্রমাণিত হয় তবে তাঁদের চাকরিতে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু সতর্ক করা ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।’</p>