<p style="text-align:justify">ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই।’</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামিক ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অনশন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726926460-74ad93503a3dfeda0870413b2232d460.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অনশন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/21/1427542" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ যদি একত্রিত হতে পারে তাহলে নতুন পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে আল-আকসা উদ্ধার করতে সমর্থ হবে। মুসলিমবিশ্বে আমাদের সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। আমরা যদি এসব সম্পদ বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে মুসলিমবিশ্ব নতুন শক্তি নিয়ে জেগে উঠবে।’</p> <p style="text-align:justify">ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আল্লাহ রহমতস্বরূপ। তিনি ছিলেন মানবতার ও সমগ্র বিশ্বের নবী। তিনিই প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বেই তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিল না। মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোনো মর্যাদা নেই। পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং আল্লাহ ভীতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726925864-b423e571c7b6299fa22a668a0c6c367d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/09/21/1427541" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো সম্মান ও মর্যাদা ছিল না, বরং তাদের সব অনিষ্টের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু রাসূল (সা.) ঘোষণা করলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তার এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।’ এ ছাড়া নবী করিম (সা.) পৃথিবীতে প্রথম যুদ্ধনীতি ঘোষণা করে বলেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদের হত্যা করা যাবে না এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতে ধর্মযাজকদের হত্যা করা যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">উপদেষ্টা বলেন, ‘মহানবী (সা.) যেটা বলেছেন সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি। তিনি সমগ্রজীবনে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়ণ করেছেন। আমরা যদি রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন আলোকিত ও মহিমান্বিত হবে।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘পোশাক খাতের অস্থিরতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726922616-3dd629867da601af03037f5e0aeefb41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘পোশাক খাতের অস্থিরতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/21/1427537" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহানবী (সা.) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তার চারিত্রিক মাধুর্যে মূর্তিপূজারিরাও আকৃষ্ট হয়েছে এবং তিনি বিধর্মী কাফের, মুশরিক ও মূর্তিপূজারিদের ইসলামের পতাকাতলে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’ রাষ্ট্রদূত মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।</p> <p style="text-align:justify">ঢাকায় ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ মোহাম্মদ ইসমাঈল মিয়া, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।</p>