আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। এ দফায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশনকে আরো তিন মাস সময় দিয়েছে সরকার।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরো পড়ুন
চার বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কমিশনস অব ইনকোয়্যারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’–এর সেকশন ৩ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার এ অ্যাক্টের অধীন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জারিকৃত প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও.নম্বর-৩১২-আইন/২০২৪) দিয়ে গঠিত গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
এ প্রজ্ঞাপন ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।’
গুম কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন। পাঁচ সদস্যের এই কমিটি প্রথমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।
এবার এ দফায় ৯০ দিন সময় দিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বেঁধে দিয়েছে সরকার।
আরো পড়ুন
উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ আগস্ট এই কমিশন গঠন করা হয়। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘঠিত গুমের বিষয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।