পিএসসিতে আরো ৬ সদস্য নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পিএসসিতে আরো ৬ সদস্য নিয়োগ
ফাইল ছবি

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) আরো ছয়জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিক।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান।

সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য পদে তাদের সানুগ্রহ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে দুই ধাপে ৮ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। নতুন ৬ জন নিয়োগ পাওয়ায় পিএসসির সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (২১ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

ভোট পেছানোর কারণ নেই : ড. ইউনূস

বাসস
বাসস
শেয়ার
ভোট পেছানোর কারণ নেই : ড. ইউনূস
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। ছবি : পিআইডি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত এ তারিখ পরিবর্তন করা হবে না।

তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই।’ পাশাপাশি, তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

তবে দলের যে সব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।’

তিনি আরো জানান, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি। ‘এটি এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।

সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে তিনি জানান।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে সরকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে প্রশংসা করেন।

কর্মকর্তারা আরো জোর দিয়ে বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের আরো কার্যকর যোগাযোগের প্রয়োজন।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ত্বরান্বিত করতে কাজ করছে এবং আসন্ন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করার আশা করছে।

ড. কমফোর্ট ইরো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর মোকাবেলায় সহায়তার আশ্বাস দেন।

অধ্যাপক ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। তবে, তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশবিরোধী অপতথ্য প্রচারের একটি বড় অংশ ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে।’

মন্তব্য

অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে কাজ করছে কোস্ট গার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে কাজ করছে কোস্ট গার্ড
সংগৃহীত ছবি

মৎস্য সম্পদ রক্ষা, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, সমুদ্র ও নদীপথে চুরি ও ডাকাতি দমন, অবৈধ মাদকদ্রব্য পরিবহন রোধ, মানবপাচার রোধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

গত ৫ আগস্টের পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বালু খেকোদের তৎপরতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি এবং বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী জনসাধারণের আবেদন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন কোস্ট গার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে কোস্ট গার্ড তার আওতাধীন মেঘনা নদী সংলগ্ন চাঁদপুরের মতলব, মোহনপুর, ষাটনল, কালিপুর, মুন্সীগঞ্জ ও কবুতর খোলা এলাকা, খুলনার শিবসা ও আড়পাঙ্গাসিয়া নদী সংলগ্ন কয়রা, ঘরিলাল বাজার, আংটিহারা, তেঁতুলতলা ও বটিয়াঘাটা এলাকা, মেঘনা নদী সংলগ্ন ভোলার লালমোহন, ইলিশা, তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন বেদুরিয়া, লতারচর, মুক্তিযোদ্ধা চর এবং বিশখালী নদী তীরবর্তী গোলবুনিয়া এলাকাসহ  লাউকাঠি নদী সংলগ্ন পটুয়াখালীর লাউখালী ও দুর্ঘাপুর এলাকায় বালু খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট, যৌথ এবং সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।

গত ৫ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি কোস্ট গার্ডের দিন রাত ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল এবং নিয়মিত অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৭৬টি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার, ১০৬টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, ৫টি এস্কেভেটর/ ভেকু এবং বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ১৫৩ জন দুস্কৃতিকারিকে আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ডের অভিযানের মাধ্যমে আওতাধীন নদী ও চরাঞ্চলে বর্তমানে অবৈধ বালু উত্তোলন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, এসব ড্রেজার পরিচালনার ক্ষেত্রে বালুখেকো একটি বিশেষ মহল নদী ও চরাঞ্চলে অস্ত্র দেখিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল।

কোস্ট গার্ডের দিবা-রাত্রি টহল ও সাড়াশি অভিযানের ফলে বর্তমানে এসব সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ব বন্ধ করা হয়েছে। যার ফলে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গ্রামসমূহ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং নদীতে সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড বন্ধ হওয়াতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতিটি সদস্য। ভবিষ্যতেও উক্ত কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত থাকবে বলে কোস্ট গার্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (২০ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সর্বশেষ সংবাদ