গাড়িতে ৩৭ লাখ টাকা, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন প্রকৌশলী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাড়িতে ৩৭ লাখ টাকা, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন প্রকৌশলী
সংগৃহীত ছবি

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গাইবান্ধা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকাসহ নাটোরের সিংড়ায় আটক করে পুলিশ। পরে বিষয়টি তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে স্বজনদের জিম্মায় ছাড়া হয়।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা আদালত তলব করলে যথাসময়ে হাজির হতে হবে—এমন মুচলেকা নিয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার আগে প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামকে নাটোরের সিংড়া থানা থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. একরামুল হক।

তিনি বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল টাকাগুলো নিজের বলে দাবি করেছেন। আমরা জিডি করে জব্দ তালিকামূলে তা দুদক ও আদালতে পাঠাব। এটা যে তার টাকা, তা তিনি সেখান থেকে প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা আদালত তলব করলে তাকে যথাসময়ে হাজির হতে হবে এমন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশ ছাবিউলের প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করে। তবে ছাবিউল পুলিশকে জানান, এই টাকা জমি বিক্রির এবং গাইবান্ধা থেকে তা নিয়ে তিনি রাজশাহী নগরীর নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রোহিঙ্গাদের রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত মানবিক সংকটকে গভীর করে তুলবে : খানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রোহিঙ্গাদের রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত মানবিক সংকটকে গভীর করে তুলবে : খানি
সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গাদের খাদ্য রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত বিদ্যমান মানবিক সংকটকে গভীর করে তুলতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে তহবিল সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ খাদ্য রেশন ও প্রয়োজনীয় সেবা পুনর্বহাল, তাদের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত পিটিশনে ফিয়ান ইন্দোনেশিয়া, ফিয়ান সুইজারল্যান্ড, এডাব, এএলআরডি, সিএসআরএল, একশনএইড অস্ট্রেলিয়া, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, বারসিক, কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি এলায়েন্স, ইনসিডিন বাংলাদেশ, এনজিও ফোরাম অন এডিবি সহ মানবাধিকার, খাদ্য অধিকার ইত্যাদি নানা ইস্যুতে কর্মরত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয় ১১০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছে।


 

আরো পড়ুন
পাকিস্তানে গাড়িবহরে হামলা, ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানে গাড়িবহরে হামলা, ৫ সেনা নিহত

 


সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে জরুরিভাবে পর্যাপ্ত অর্থায়ন না পেলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাদ্য রেশন মাথাপিছু মাসিক ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আকস্মাৎ এই সহায়তা হ্রাসের বিষয়ে খানি বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, এবং এর ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদ্যমান মানবিক সংকট গভীরতর হতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর দাখিলকৃত এই পিটিশনে বলা হয়, তহবিল ঘাটতি মোকাবেলা করতে, প্রয়োজনীয় সেবাগুলো পুনরায় চালু করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই সহায়তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ শরণার্থীরা ইতিমধ্যেই একটি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন।

আর রোহিঙ্গারা খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল, যার কারণে এই সহায়তা বজায় রাখা শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন অপুষ্টি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৭ সালের পর ২০২৫ সালে এসে ক্যাম্পগুলোতে সর্বোচ্চ অপুষ্টি দেখা দিয়েছে। শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতার হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

আরো পড়ুন
রমযানে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ না সৃষ্টির আহ্বান : ডিএমপির

রমযানে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ না সৃষ্টির আহ্বান : ডিএমপির

 

এ বিষয়ে কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সমস্ত ত্রাণ সহায়তার মূল শর্ত হলো খাদ্য।

যদি কেউ খেতে না পায়, তাহলে আমরা যতই সুরক্ষা, শিক্ষা বা অন্য সহায়তা দেই না কেন, সেগুলোর কোনো প্রভাব পড়বে না। খাদ্যের পর্যাপ্ততা না থাকলে রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে, শৃঙ্খলা ভেঙে হোস্ট কমিউনিটিতে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হবে। এর ফলে শ্রমবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদি তারা বাইরে গিয়ে কম পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করে, তাহলে হোস্ট কমিউনিটির শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান হারাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে।

খানি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক, নুরুল আলম মাসুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ মানবাধিকার নিশ্চিত করতে, বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে যতদিন না তারা এই শিবিরে আছেন। যদি এমন পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে শিবিরে পাচার, গ্রেফতার বা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় জীবনহানির মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে পারে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

খানি বাংলাদেশ সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকি রানা বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ রোহিঙ্গারা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। খাদ্য সহায়তা সীমিত করার অর্থ হবে ধনী দেশগুলোর পক্ষ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি মহা প্রতারণা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন চীন সফরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটির পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের জন্য চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

শফিকুল আলম বলেন, সফরে ২৯ মার্চ সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বক্তব্য রাখবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে। তিনি চীনের হাইটেক পার্কও পরিদর্শন করবেন।

প্রেসসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে একটা বৈশ্বিক ম্যানুফেকচারিং হাব (উৎপাদনকেন্দ্র) হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সে লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফরে চীনের কারখানাসমূহকে কিভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায়, সে বিষয়টি আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।’

অধ্যাপক ইউনূসের সফরসূচির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর ২৭ তারিখে তিনি চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

মন্তব্য

৬২০২ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬২০২ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।

রবিবার (১৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সরকারের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত এসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচিত হওয়ায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৮টি সভায় মিলিত হয়েছে। এসব সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ৬২৯৫টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে অসংখ্য মামলা হয়।

মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সভাপতি করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিগুলো হলো- (১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সদস্য রেখে সাত সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং (২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করে পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সদস্য রেখে চার সদস্যবিশিষ্ট জেলা পর্যায়ে কমিটি।

মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর বিভিন্ন জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয় কর্তৃক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি
সংগৃহীত ছবি

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ৫টি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতন, বিপজ্জনক শ্রম, অবহেলা ও অনলাইন সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা। বাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও নিরাপদ নয় শিশুরা। তাদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর নয়।

এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল মামুন, প্লান ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)’র তামান্না হক রীতি ও মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের নিশাত সুলতানা।

আরো পড়ুন
‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

 

লিখিত বক্তব্যে শাহীন আনাম বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বা হত্যা চেষ্টা, আমাদের ভীষণভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই সংকট শুধু শিশুদের জীবনকেই ধ্বংস করছে না, বরং সমাজের মূল ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। মেয়ে শিশুদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা এই সহিংসতা জাতিকে হতবাক করেছে। যা সারাদেশে প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।

এই প্রতিবাদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করছি। 

তিনি আরো বলেন, বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে। অপরাধীরা প্রায়শই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ হলো ২০১৬ সালে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুকে নির্মমভাবে ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন অপরাধীর সাম্প্রতিক জামিন। শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার দ্রুত ও যথাযথ তদন্ত, বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

শিশুদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহীন আনাম বলেন, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন শিশুদের প্রয়োজন। আমরা চাই সরকার অনতিবিলম্বে শিশুদের সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিক, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের। বর্তমান পরিস্থিতি জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করে, তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে। শিশুর প্রতি যে কোনো নির্যাতন ও সহিংসতা তার মনে এতটাই গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলে যে তার স্বাভাবিক বিকাশ ও মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ হয়। এটা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ আমাদের সবার উপলব্ধি করতে হবে।

আরো পড়ুন
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

 

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, শিশু ধর্ষণের মামলাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষাবিষয়ক একটি সংস্কার কমিশন জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হোক, যা সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করবে এবং অন্যান্য সংস্কার কমিশনের মতো তা প্রধান উপদেষ্টাকে হস্তান্তর করবে। একইসঙ্গে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মতো একটি শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর স্থাপন করা হোক, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করবে। শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ