রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দরপত্র (টেন্ডার) প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র প্রক্রিয়ার গোপন দর ফাঁস করে তিনি নিজের স্ত্রীর চাচাতো ভাই এবং পরিচিত ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ অন্য ঠিকাদারদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী রাশেদুলের বাড়ি নোয়াখালী, শ্বশুরবাড়ি রাজশাহীতে। বাবার চাকরিসূত্রে বেড়ে ওঠা রাজশাহীতে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশোনা শেষে গণপূর্ত বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে রাজশাহীতে ফেরেন তিনি। এরপরই জড়িয়ে পড়েন অনিয়মে। তাঁর দপ্তর এখন পরিচিত ঠিকাদার ও স্বজনদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জরুরি সংস্কারের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী রাশেদুল আগেই তাঁর স্বজন ও পরিচিত ঠিকাদারদের কাজ বণ্টন করে দিচ্ছেন এবং পরে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। দরপত্রের গোপন দর ফাঁস করে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, ‘সংস্কারকাজ আগে শুরু হয়ে যাচ্ছে, পরে টেন্ডার হচ্ছে।
এর মানে গোপন দর ফাঁস করা হচ্ছে।’
সূত্র আরো জানিয়েছে, সম্প্রতি ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কারকাজ পেয়েছেন ঠিকাদার মো. রফিক, যিনি প্রকৌশলী রাশেদুলের স্ত্রীর আপন চাচাতো ভাই। এ ছাড়া রাজশাহী গণপূর্ত অফিসের জোন কার্যালয়ের ছাদ সংস্কার এবং টাইলস বসানোর কাজ করছেন রফিক। এ ছাড়া রাশেদুল তাঁর স্বজন ফয়সাল কবিরকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরের সংস্কারকাজ পাইয়ে দিয়েছেন। রাজশাহী গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল গোফফার বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যে কেউ অংশ নিতে পারেন।
আত্মীয় হলেও কাজ পেলে করতে পারেন। তবে গোপন দর ফাঁস হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’