পলিসি ডায়লগে বিশেষজ্ঞরা

নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে
'রোল অফ রিনিউয়েবল এনার্জি ফর এ লিভঅ্যাবল সিটি' শীর্ষক আলোচনা সভা

জীবাশ্ম জ্বালানির (গ্যাস, তেল, কয়লা) পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তাই দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে 'রোল অফ রিনিউয়েবল এনার্জি ফর এ লিভঅ্যাবল সিটি' শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথ আয়োজক ছিলেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং জেট নেট বিডি।

পলিসি ডায়ালগে ঢাকার প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে বাসযোগ্য নগরী গড়তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনায় পলিসি ডায়ালগে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী। ডায়ালগটিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। 

আরো পড়ুন
তিন ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি ‘ধর্ষণের শিকার’ ৪ শিশু-কিশোরী

তিন ঘণ্টায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি ‘ধর্ষণের শিকার’ ৪ শিশু-কিশোরী

 

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য।

এই নির্ভরশীলতাই দেশের বর্তমান বায়ুমান পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে যা ক্রমশই আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। আইকিউ এয়ার ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধান শহর রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সবসময়ই নিম্নমানের থাকে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণ প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটায় এবং সেইসাথে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে বসবাস যোগ্য শহর নিশ্চিত করতে হবে।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, প্রথম কথা হল অবশ্যই সাধ্যমত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। এটি শুধু সরকার বা সরকারি সংস্থা বা কেবলমাত্র নীতিমালার বিষয় নয়। এটি সচেতন সংস্কৃতির বিষয়- তা প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব-যা' স্বভাবে পরিণত হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

তবে, সঠিক নীতি গ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকল মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চাপ প্রয়োগ করেও সবাইকে একত্রিত করে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের যে সকল নীতিমালা রয়েছে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন
মাঝরাতে রুমে গিয়ে প্রস্তাব, অক্ষয়কে ফিরিয়ে দেন আয়েশা

মাঝরাতে রুমে গিয়ে প্রস্তাব, অক্ষয়কে ফিরিয়ে দেন আয়েশা

 

পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। এটি শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডব্লিউবিবিটি) পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নাই। বাংলাদেশ বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, নদী দূষণ কমাতে জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার বলেন, জ্বালানি নিয়ে এই পর্যন্ত অনেকগুলো পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনটাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন টার্গেট পূরণ করতে পারেনি। আমাদের সবগুলো জ্বালানি নীতির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ এর আলোকে জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ২০২৩ কে সংশোধন করতে হবে।

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু বিদ্যুতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল গ্যাস এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিং এ পতিত হয়েছিল দেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানিই তাই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

পলিসি ডায়ালগে আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বারসিক'র সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ৭১ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মো হাবিবুর রহমান, বারসিক'র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান সাগর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনেরর (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্টের কো-অর্ডিনেটর ওয়াসিউর রহমান তন্ময়, মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি এবং সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) রিসার্চ অফিসার ইলমি তাবাচ্ছুম। 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) ঢাকার নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী। গত মঙ্গলবার পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা তাকে পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় নিনমাসের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী  উপস্থিত ছিলেন। 

দায়িত্ব গ্রহণের পর এ কে এম ফজলুল বারী নিনমাসসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণাসেবা আরও উন্নততর করে নিনমাসকে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সিলেন্স সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের সহযোগিতা চান।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

 

অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন নিনমাসে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য এবং ডব্লিউএমআইম ভারতের সম্মানিত ফেলো।

অধ্যাপক বারী ২০১৭ সালে বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

গবেষণার জন্য দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

মন্তব্য

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

 

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় সাংবাদিক সংগঠনগুলো ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করে পরিচালিত হয়েছে। এটি আমাদের জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।

 

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে মালিক ও সম্পাদকদের প্রভাব থেকেও সাংবাদিকদের মুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধান এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব
সংগৃহীত ছবি

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক বলেছেন, সামনের ঈদে প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়ে ঈদ উদযাপন করতে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিবেন। মানুষের এই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক বিভাগ থেকে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ চলমান, অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বাস মালিক সমিতির সাথে কার্যকর আলোচনা হয়েছে। চাঁদাবাজি ও সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর রয়েছে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সড়কে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সড়ক সচিব। 

শনিবার (২২ মার্চ) গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত বিআরটি বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভায় সভাপতির বক্তব্যে সড়ক সচিব এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

 

সড়কে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে অংশীজন সভায় আগত অতিথিদের পরামর্শ ও মতামত সাদরে গ্রহণ করা হবে বলে সড়ক সচিব আরো জানান, সড়ক বিভাগের ব্যাপারে অনেকের অভিযোগ আছে, তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি রাস্তায় শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যাতে করে মানুষ নির্বিঘ্নে এবারের ঈদ পালন করতে পারে। এ সময় সভায় আগত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সড়ক সচিব প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সকলকে ধন্যবাদ ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরো পড়ুন
নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. অনুপম সাহা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ। 

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই অংশীজন সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা, বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য
কুরআনের নূর—পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল
ছবি : কালের কণ্ঠ

আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূরপাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপে বিশ্বসেরা হাফেজের মুকুট অর্জন করেছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। দেশসেরা হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনজন এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা আটজন এই পুরস্কার জিতেছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা, বিশিষ্ট শিক্ষক, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদরাসার হাফেজরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ কুরআন তিলাওয়াতের প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরের পর্দা নামল। অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠানের এই যুগান্তকারী আয়োজনের প্রধান কাণ্ডারিও স্বপ্নদ্রষ্টা, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশের হাফেজরা।

চ্যাম্পিয়ন ও দুই রানারআপকে নগদ অর্থ পুরস্কারসহ সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়নকে ১৫ লাখ টাকা, প্রথম রানারআপকে ১০ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় রানারআপকে দেওয়া হয় ৭ লাখ টাকা। সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। দুজন রানারআপ হলেন ইয়েমেনের মোহাম্মদ বালিগ সায়্যিদ আব্দুল গাফফার আলী ও বাংলাদেশের হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম।
 

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। সারা দেশে ১১টি জোনে অন্তত ১০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই গৌরব অর্জন করেন তিনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে হাফেজ মো. জিহাদুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহমান বিন নূর। এ ছাড়া চতুর্থ স্থানে হাফেজ মো. জুবায়ের আহমদ, পঞ্চম হাফেজ মো. শাহেদ আলম তারিফ, ষষ্ঠ হাফেজ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সপ্তম হাফেজ মুহাম্মদ আফফান বিন সিরাজ এবং অষ্টম হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক নোমান।

প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭ লাখ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ টাকা, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার ২ লাখ টাকা এবং বাকি তিনটি পুরস্কার ১ লাখ টাকা।

প্রত্যেক বিজয়ীর হাতে অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথম আসরের মতোই এবারের বিজয়ীরাও পাবেন মা-বাবাকে নিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর হযরত মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘আল-কুরআনকে মানুষ ও সমাজের সামনে তুলে ধরার জন্য যে যতটুকু ভূমিকা রাখবে সে ততটুকু মোবারকবাদ ও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।  সামাজ ও দেশের মানুষের কাছে কুরআনকে বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সহযোগীতায় দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে এ জন্য তাদের মোবারকবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় বিচারকমণ্ডলীসহ সবাইকে সাধুবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, কুরআনকে সমাজের সামনের তুলে ধরতে বসুন্ধরা গ্রুপ অতিতে যেমন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, আগামীতেও একইভাবে আয়োজন করার তৌফিক দান করুক। উত্তম কাজের প্রতিদান হিসাবে আল্লাহ পাক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দুনিয়া ও আখিরাতে পুরস্কৃত করুক। কুরআন আল্লাহ প্রদত্ত দুনিয়ার সর্বশেষ্ঠ নিয়ামত ও দৌলত। এই কুরআনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা যত বেশি করতে পারবে, জীবন তত সাফল্যমণ্ডিত হবে। শুধু কুরআন পড়তে জানলেই হবে না। সহীহ ও শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। নিয়মিত তিলাওয়াত করতে হবে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, প্রত্যেক বস্তুর একটি গৌরবের বিষয় আছে, যার দ্বারা তা গৌরবান্বিত হয়। কিন্তু আমার উম্মতের সৌন্দর্য ও গৌরবের বিষয় হলো পবিত্র কুরআন। উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মুসলমানদের সর্বকালের সর্বশেষ সংবিধান হলো আল-কুরআন। কুরআনই একজন মুমিনের জন্য গৌরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপকে কুরআনের খিদমতে কবুল করে নিক।’

অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আল কুরআন হচ্ছে মানবতার মুক্তির দিশা। এটি মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। এটি আল্লাহর রহমত, এটি হিদায়াত, এটি নুর, এটি শিফা বা আরোগ্য। এটি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহান অধিপতির পবিত্র কালাম। কুরআনের অন্যতম অলৌকিক শক্তি হলো, তা মানুষের অন্তরে সংরক্ষিত হয়ে যায়। যারা এই কুরআন শেখে, চর্চা করে, গবেষণা করে, কুরআনের দাওয়াত দেয়, কুরআন মোতাবেক জীবন গড়ে, তারা মহান আল্লাহর বিশেষ বান্দায় পরিণত হয়। হাদিসের ভাষায় যাদের ‘আহলুল্লাহ’ বা আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, কুরআনের জ্ঞান এমন অমূল্য সম্পদ, যা আখিরাতে মানুষকে মর্যাদার মুকুট পরাবে, মহান আল্লাহর কাছে তার ধারকের জন্য সুপারিশ করবে, এমনকি কুরআন চর্চাকারীর মা-বাবাকে পর্যন্ত বিশেষ সংবর্ধনা দেবে। কুরআনের জ্ঞান ও তার তিলাওয়াতের তাওফিক আল্লাহর অনন্য নিয়ামত। তাই আমাদের উচিত, সম্ভব হলে নিজেই কুরআন হেফজ শুরু করা, তা সম্ভব না হলে কমপক্ষে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা, আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কুরআনে হাফেজ বানানোর চেষ্টা করা। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর হজরতুল আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দিক বিল্লাহ মাদানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিয়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি  প্রফেসর ড. শামসুল আলম, হাটহাজারী দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস হজরতুল আল্লামা মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর হজরতুল আল্লামা ড. খলিলুর রহমান মাদানী।

এ ছাড়া হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি উস্তাদুল হুফ্ফাজ হাফেজ কারি শায়খ আব্দুল হক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সম্মানিত ৪ জন পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, শায়খুল হাদিস মুফতি এহসানুল হক জিলানী, শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম, কুরআনের নূর আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার চিফ কো-অর্ডিনেটর হায়দার আলী, ডেপুটি চিফ কো-অর্ডিনেটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, কো-অর্ডিনেটর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, মিজানুর রহমান মানিক, গুলজার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইসলামী সংগীতশিল্পী বদরুজ্জামান উজ্জল। পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিশ্ববিখ্যাত গুণী হাফেজদের মধ্যে হাফেজ মোহাম্মদ জাকি, হাফেজ আব্দুর রহমান বিন নূর, হাফেজ মো. জুবায়ের আহমদ। 

২০২৩ সালে সফলভাবে আয়োজিত প্রথম আসরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পরের বছর আরো বৃহৎ আকারে আয়োজন করে বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন হয় ‘আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’। গত বছরের ২৪ নভেম্বর সিলেট জোনের অডিশন দিয়ে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। পবিত্র রমজানে ইফতারের আগে নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিযোগিতাটি সম্প্রচার হয়েছিল। হাজার হাজার খুদে হাফেজ আর তাদের অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি বিভাগের অডিশনস্থল। জাতীয় পর্যায়ের রাউন্ড শেষ হলেই শুরু হয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। তুরস্ক, জর্দান, ওমান, ইয়েমেন, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬টি দেশের হাফেজরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীরাও ছিল অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী। 

এবার জাতীয় পর্যায়ে পুরো দেশের মোট ১১ জোন থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিটি জোন থেকে মূল্যায়িত সেরা হাফেজরা ইয়েস কার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেন। এরপর কুরআনের এই খুদে পাখিদের নিয়ে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। দীর্ঘ অডিশনের মধ্য দিয়ে দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী তাদের মধ্য থেকে আটজন হাফেজকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করেন।

পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রাউন্ডের প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নেন জাতীয় পর্যায়ের প্রথম স্থান অর্জনকারী হাফেজ। দেশবরেণ্য ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলারের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী ফাইনাল রাউন্ডে এদের মধ্য থেকেই তিনজন সেরা কুরআনের হাফেজকে বাছাই করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ