বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাঃ আমাদের করণীয়’ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) আয়োজন করে ভার্চুয়াল আলোচনা।
গত শনিবার (১৩ মাঘ ১৪২৭) ফিনল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জুমের মাধ্যমে অনলাইন আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচ্য বিষয় ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করণীয় ’ নিয়ে আজকের আলোচনার আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলা ভাষাকে দেশের সর্ব স্তরের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাদ্ধতামুলক ব্যবহারের জন্য আইন পাস করা অতীব জরুরী ।
বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, উপাত্য এবং সমকালীন উদাহরণের ওপর ভিত্তি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া উচিত, সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা অবশ্যই বাংলা ভাষাতে হতে হবে । বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজী শিক্ষার নামে দেশের মানুষ তথা জাতির সাথে প্রতারনা করছে । যারা এ ধরনের শিক্ষা নামক প্রতারনামূলক শিক্ষা- ব্যবসার সাথে জরিত তাদের বিচার হওয়া উচিত । জাতিসংঘের একটি আঞ্চলিক অফিস ঢাকাতে স্থাপন হলে তা আমাদের বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্থান পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান তার পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোকে সামনে রেখে খুব আবেগের সাথে বলেন, বিশ্বের চল্লিশটি দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতি সংঘের অধীনে করছেন, যারা সর্বদাই চেষ্টা করেন বা করে থাকেন, বাংলা ভাষা যেন সিউওরেলিউনার দেশের মতো অন্য দেশেও সরকারি ভাষাতে স্থান পায় । তিনি আরো বলেন, প্রাণের কথা বলে আমাদের বাংলা ভাষা । বিদেশিরা আমাদের ভাষাকে খুব মিষ্টি ভাষা বলেই জানেন । তাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে আজকের আলোচনার বিষয়কে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য ।
অধ্যাপক আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, একটি স্ট্রাকচারল রোড ম্যাপ থাকা দরকার যা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাতে স্থান পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে । একি সাথে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার সারিতে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালগুলো অনবদ্য ভূমিকে পালন করতে পারে । তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন, বাংলা ভাষার পাশা পাশি, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজী ভাষাও আমাদের অধ্যায়ন করতে হবে । যা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে আমাদের বাংলাভাষাকে পরিচিত করার নতুন পথ দেখাতে পারে । আজকের আলোচনার প্রশ্ন পর্বে, অনেক প্রশ্নের মধ্যে গুটি কয়েক প্রশ্ন উপস্থান করা যেতে পারে এভাবে,
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা- এ ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কি হওয়া দরকার, ডক্টর সাবরিদ্দিন মির্জা, সিনিয়র রিসার্স ফেলো, হারর্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা- এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কি কি ভূমিকা পালন করতে পারে, ডুসেন্ট জহিরুল ইসলাম, হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড।
প্রতিটি পরিবার থেকে বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নেবার উদাহরন দিয়ে মন্তব্য করেন, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, ল্যাপলান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ফিনল্যান্ড। ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশ্বের ১৩ টি দেশের যে ডক্টরগন উপস্থিত হতে পেরেছিলেন তারা হলেন- বাংলাদেশ থেকে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ, মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান, অধ্যাপক মনতাজ আলী ( দক্ষিন আফ্রিকা), ড. সাইদ মাহমুদ খান (অস্ট্রেলিয়া), তারিকুল ইসলাম সাজিব (ডেনমার্ক), ডক্টর সাবরিউদ্দিন মির্জা, সিনিয়র রিসার্স ফেলো, হারর্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র), শাহেনুল ইসলাম পালোয়ান (রাশিয়া-ডেনমার্ক), মোঃ মিনহাজ –উল হক (ইতালি), সহযোগি অধ্যাপক গাজি সালাউদ্দিন (সুইডেন), সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান (ফ্রান্স), ড. , অধ্যাপক রবিউল আহসান ( সৌদি আরব), অধ্যাপক ড. মহাম্মদ আর এ খন্দকার (যুক্তরাজ্য) অধ্যাপক , ড. মোঃ মহিদুল খান (এস্তোনিয়া) ড. মোহাম্মদ আহসানুল হক আরিফ (ডেনমার্ক) , ফিনল্যান্ড থেকে ড. মাহবুব রহমান, ড. তাহমিনা খানম, ড.কাশিফ নিজাম খান, ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ, ড. করিম উল্লাহ, ড. এস এম হারুন-অর-রশিদ, ড. কামুরল হোসেন, ড. সাকিরা হাসান, ড. শরিফ চৌধুরী, ড. গোলাম মোঃ সারোয়ার, ড. মনজুর আলম, ড. এস এম সফিকুল আলম, ড. এ এইচ এম সামসুজ্জোহা, ড. জহিরুল ইসলাম, ড. ইয়াছিনুর রহমান এবং ড. মোঃ মঞ্জুরে মওলা ।