স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৪ সুপারফুড

শেয়ার
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৪ সুপারফুড
সংগৃহীত ছবি

আপনার স্মৃতিশক্তি যদি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে তবে এখনই আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। 

চলুন, জেনে নিই কয়েকটি খাদ্য সম্পর্কে। যেগুলো আপনার স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে।

তুলসী
তুলসী পাতা আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি হয়।  

দারুচিনি
দারুচিনি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধা আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি মনোযোগ বাড়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া অ্যালজেইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জিভের ধরন বলে দেবে রোগের লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জিভের ধরন বলে দেবে রোগের লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

জিভ ছাড়া কোনো কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা অসম্ভব। জিভ না থাকলে আমাদের খাওয়ার ৮০ শতাংশ মজাই নষ্ট হয়ে যেত। কেবল স্বাদ গ্রহণের জন্যই কিন্তু নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিভ দেখেই কিন্তু বলে দেওয়া যাবে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধছে। সেই কারণেই আমরা কোনো কারণে ডাক্তারের কাছে গেলেই দেখবেন প্রথমেই জিভ দেখাতে বলেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুখে। মুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে জিভে। তাই, সুস্থ থাকতে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

নোংরা জিভ পেট খারাপের কারণ হতে পারে।

যদি আপনার জিভের রং কালো হয় এবং তাতে সাদা দাগ থাকে, তাহলে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের বেহাল দশাকেই নির্দেশ করে।

আরো পড়ুন
খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

 

যদি জিভ খুব নরম হয়, তাহলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। এমনকি রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন আপনি। আবার ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও জিভের হাল খারাপ হতে পারে।

প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার দাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।

খেয়াল করে দেখবেন অনেকের জিভে ফাটল থাকে। এটি কিন্তু মোটে ভালো লক্ষণ নয়। কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা যায়। এমন কিছু দেখলে একে অবহেলা করবেন না।

মুখের স্বাস্থ্যবিধির জন্য জিভ পরিষ্কার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া জিভে বাস করে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মুখে বাসা বাঁধতে পারে না।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হার্ট। তাই হার্ট ভালো রাখা জরুরি। আর হার্ট সুস্থ থাকলে আপনিও সুস্থ থাকবেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের খেয়াল রাখা বাড়িয়ে দিতে হবে।

কারণ এ সময় ধীরে ধীরে হার্ট কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে।

বর্তমান সময়ে কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। প্রবল গরমে জীবন একেবারে নাজেহাল। চড়া রোদে মানুষের অবস্থা খারাপ।

যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তীব্র গরমের ফলে অজান্তেই বাড়তে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। বিপদের সামনে এসে দাঁড়াতে পারে যখন-তখন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনো আগাম সংকেত ছাড়াই আসে।

হৃদ্‌স্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও যখন-তখন হানা দিতে পারে হৃদ্‌রোগ। হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি।

কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ এবং চাপা উদ্বেগও হৃদ্‌রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে।

ধমনি ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদ‌্‌যন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদ্‌যন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমের দিনে সামান্য কিছু খেলেই হজম করতে বেশ অসুবিধা হয়। বদহজম হলে হার্টের ওপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।

আরো পড়ুন
কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

 

গরমে কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াবেন

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা যত স্বাভাবিক থাকবে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।
  • গরমে যত হালকা খাবার খাবেন, ততই হার্টের জন্য ভালো। 
  • শাক-সবজি, বাদাম, ফল বেশি করে খান। এতে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
  • গরমে ক্লান্ত লাগলেও শরীরচর্চা বাদ দেবেন না। ভারী শরীরচর্চা না করলেও সন্ধ্যার পর হাঁটাহাঁটি করুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেও কমানো যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। 
  • ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো ক্রনিক অসুখ ডেকে আনতেই পারে। আর এসব শারীরিক অবস্থা হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই সর্বদা ক্লান্ত ও নিস্তেজ থাকেন। তারা যতই খান না কেন, তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না। এর পেছনে ছোটখাটো কিছু বিষয় থাকতে পারে। এগুলো অবহেলা করা উচিত নয়।

কখনো কখনো এটি একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও ঘটতে পারে। বিশেষত রক্তাল্পতা আপনাকে সর্বদা ক্লান্ত ও ক্লান্ত বোধ করাতে পারে।

বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বাধা পেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে তা শনাক্ত করা না গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অ্যানিমিয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা খুবই জরুরি। তবেই আপনি সময়মতো চিকিৎসা পেতে পারেন এবং আরো গুরুতর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন, লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

আরো পড়ুন
খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

 

চুল পড়া

রক্তাল্পতা চুল ও নখে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। চুল পড়া বেড়ে যায়, নখ দুর্বল হয়ে যায় এবং সহজেই ভেঙে যায়। কেউ কেউ নখের গায়ে দাগ দেখতে পান। চুল পাতলা হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়রনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণেই এমন হয়।

প্রতিদিন ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে রক্তাল্পতা থাকলে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, আয়রনের ঘাটতির কারণে চুলের ফলিকল শক্তি হারায়, চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বাড়ে।

শ্বাস নিতে না পারা

রক্তে লোহিত রক্তকণিকা কম থাকলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো অক্সিজেন পায় না। এ কারণে আপনি সাধারণত হাঁটা বা কাজ করার সময় দমবন্ধ বোধ করেন। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

অনেকের সিঁড়ি বেয়ে উঠলেও বা কিছুটা দ্রুত হাঁটলেও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এই উপসর্গ প্রতিদিন বাড়লে অ্যানিমিয়া সন্দেহ করা হয়। অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গেলে হৃৎপিণ্ড আরো বেশি কাজ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর সমস্যা নিয়ে আসবে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

পিরিয়ডের সমস্যা

নারীদের রক্তাল্পতা পিরিয়ড চক্রকে প্রভাবিত করে। রক্তপাত বাড়তে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। অথবা নিয়মিত না-ও আসতে পারে। যদি খুব বেশি রক্তক্ষয় হয়, তবে আয়রনের মাত্রা আরো হ্রাস পাবে এবং ক্লান্তি ও মাথা ঘোরা বৃদ্ধি পাবে।

কিছু ক্ষেত্রে কম আয়রন হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে। এর ফলে পিরিয়ড ধীর হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে, শক্তির স্তর, ফোকাস ও প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়বে। গবেষণা অনুসারে, নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশ রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত।

আরো পড়ুন
কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

 

স্বাদে পরিবর্তন

রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জিহ্বায় সমস্যা দেখা যায়। জিহ্বা জ্বলতে ও মসৃণ বোধ করতে শুরু করে। একে এট্রফিক গ্লসাইটিস বলা হয়। ফলে আপনি স্বাদ জানেন না এবং অনুভব করেন যে আপনি যা-ই খান না কেন, স্বাদ পরিবর্তিত হয়েছে।

কিছু লোক বরফ ও কাদা খেতে চায়। এই লক্ষণগুলো দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। পরিস্থিতি তখনই আসে যখন আপনি যে খাবার খান তা উপভোগ করতে পারেন না। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

ডায়েট টিপস

ঘরে রক্তশূন্যতা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। মাংস, ডিম, শাক-সবজি, মটরশুঁটি, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, মসুর ডাল, শুকনো ফল ইত্যাদি খুব উপকারী। আয়রন সুরক্ষিত সিরিয়ালগুলোও একটি ভালো বিকল্প। এসব খাবারের সঙ্গে আয়রন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুন
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

 

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিভাবে নেবেন তা ঠিক করুন। লেবু ও কমলালেবুতে ভিটামিন সি বেশি থাকলে আয়রন শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। প্রতিদিন এই ডায়েট মেনে চললে রক্তাস্বল্পতা দূর হবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানা যেমন জরুরি, তেমনই আরো একটি বিশেষ কাজ করা জরুরি। হাই ব্লাড সুগার থাকলে পায়ে খুব সহজে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের গাফিলতির কারণে সংক্রমণ হয়। আর খুব দ্রুত তা মারাত্মক আকার নিতে পারে।

সামান্য ইনফেকশন থেকে জটিল রোগ হয়ে যেতে পারে। অতএব ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিৎ, পরিষ্কার রাখা জরুরি। ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে পায়ে যাতে ইনফেকশন না হয়, তার জন্য কিভাবে যত্ন নেবেন, পরিষ্কার রাখবেন, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে

পায়ের নখ বাড়তে দেবেন না।

নখ কেটে ছোট করে রাখুন। এর ফলে নখের ভেতর ময়লা জমতে পারবে না। এ ছাড়া নখের ভেতর অতিরিক্ত কোনো বৃদ্ধি কিংবা মাংসপিণ্ড তৈরি হতে পারে। চোট, আঘাতের সম্ভাবনাও কমবে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

বাড়ির বাইরে গেলে তো অতি অবশ্যই পা পরিষ্কার করবেন। গরম পানিতে লিকুইড সাবান কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানিতে খানিকক্ষণ পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। এরপর লুফা দিয়ে কিংবা ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে ঘষে পায়ের তলা, গোড়ালির অংশ, নখের চারপাশ ও আঙুলের ফাঁকগুলো পরিষ্কার করতে হবে। 

পা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে নরম তোয়ালে কিংবা গামছা দিয়ে শুকনো করে পা মুছে নিতে হবে।

বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন, পায়ের নীচে ও আঙুলের ফাঁকে যেন পানি জমে না থাকে। পায়ের কোনো অংশ ভেজা থাকলে ইনফেকশন হতে পারে। 

ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে পা পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। তাই খালি পায়ে কখনই হাঁটবেন না। বাড়িতেও পায়ে জুতা পরে থাকুন। আর বাইরে বের হলেও এমন জুতা পরুন, যা পায়ে আরাম দেবে। এমনিতেও ঘরের ভেতরে খালি পায়ে না হেঁটে জুতা পরে হাঁটা সকলের জন্যই ভালো। পায়ের তলায় নোংরা লাগবে না। পা পরিষ্কার থাকবে। চোট, আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এমনকি পা ফাটার সমস্যাও কমবে।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

হাই ব্লাড সুগারের রোগীরা পায়ের ওপরে অর্থাৎ পায়ের পাতায় ময়শ্চারাইজার, ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে পায়ের নীচের অংশে ক্রিম ব্যবহার করবেন না। এর পাশাপাশি পায়ের তলায় সামান্য চোট, আঘাত লাগলেও অবহেলা করবেন না। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু সামান্য কাঁটাছেঁড়া, ক্ষতই মারাত্মক সংক্রমণের আকার নিতে পারে। তাই সাবধান থাকা প্রয়োজন। 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ