<p>কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা, কিন্তু কাঠালের আঠা হাত, ছুরি বা অন্য কোনো জায়গায় লেগে গেলে তা ছাড়ানো বেশ ঝামেলার কাজ। এই আঠা খুবই চটচটে এবং সহজে পরিষ্কার করা যায় না। এমন অবস্থায় অনেকেই সর্ষের তেল ব্যবহার করেন। এটা আঠা ছাড়াতে বেশ কার্যকর। কিন্তু কেন সর্ষের তেল আঠা ছাড়াতে সাহায্য করে? </p> <p>সর্ষের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি, যা একটি দুর্দান্ত দ্রাবক হিসেবে কাজ করে। কাঁঠালের আঠা মূলত পলিমার ভিত্তিক, যার উপাদানগুলো তেলের সঙ্গে মিশে যায় এবং আঠার চটচটে ভাব কমিয়ে দেয়। ফলে আঠাটি সহজেই হাত বা অন্য কোনো জায়গা থেকে উঠে আসে।</p> <p>কাঁঠালের আঠার মূল উপাদান হলো পলিমার, যা রাসায়নিকভাবে বেশ স্থিতিশীল এবং সহজে পানিতে দ্রবণীয় নয়। তাই শুধু পানি দিয়ে এটি পরিষ্কার করা কঠিন। তবে, সর্ষের তেল একটি নন-পোলার সলভেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটা সহজেই পলিমারকে দ্রবীভূত করতে পারে। এতে আঠার চটচটে ভাব কমে আসে এবং সহজেই আঠা সরানো সম্ভব হয়।<br /> সর্ষের তেলের দ্রাবক ক্ষমতার কারণে এটি পলিমার গঠন ভেঙে দেয়। সাধারণত, পলিমারগুলো একে অপরের সাথে শক্তভাবে যুক্ত থাকে এবং পৃষ্ঠের সাথে লেগে থাকে। সর্ষের তেলের মধ্যে থাকা ফ্যাট বা লিপিড এই বন্ধনগুলোকে ভেঙে দেয়, ফলে আঠা সহজেই আলগা হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়া, যা আঠা সরাতে কার্যকর।</p> <p>কাঁঠালের আঠা হাত বা অন্য কোথাও লাগলে, সেই স্থানে সর্ষের তেল লাগিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে ঘষতে হয়। কিছুক্ষণ ঘষার পর আঠা তেলসহ উঠে আসে। এরপর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললেই আঠার কোনো চিহ্ন থাকে না।</p> <p>কাঁঠালের আঠা সরাতে সর্ষের তেলের ব্যবহার একটি প্রাচীন ও কার্যকরী পদ্ধতি। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো তেলের দ্রাবক ক্ষমতা, যা পলিমার গঠনকে ভেঙে দিয়ে আঠাকে সহজে সরিয়ে ফেলে। তাই কাঁঠাল খাওয়ার পর আঠা থেকে মুক্তি পেতে সর্ষের তেল একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান।</p> <p> </p>