<p>স্মার্টফোন আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ হোক বা ব্যক্তিগত জীবন—ই-মেইল, ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মতো অসংখ্য কাজ এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারা যায়। তবে অনেক সময় ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে এসব কাজে বিরক্তি দেখা দেয়। যেসব কারণে ফোনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় এবং কীভাবে আপনি তা ঠিক করতে পারেন, তা নিচে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো।</p> <p>স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে প্রথমে ফোনটি রিস্টার্ট করা যেতে পারে। ফোন রিস্টার্ট করা মানে ফোনের সব ফাংশন একবার বন্ধ করে পুনরায় চালু করা। এতে ফোনের সাময়িক ত্রুটি ঠিক হতে পারে এবং ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পেতে পারে।</p> <p>অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেম বা অন্যান্য অ্যাপস হালনাগাদ না করলে ফোনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে। হালনাগাদ না করা সফটওয়্যার বা অ্যাপস ইন্টারনেটের গতি ধীর করে। তাই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস নিয়মিত হালনাগাদ রাখতে হবে।</p> <p>অনেক সময় ফোনে অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং এই অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের ডেটা ব্যবহার করে, যা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অ্যাপগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে সেই অ্যাপগুলোর ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বন্ধ করা যেতে পারে।</p> <p>অনেক সময় ভিপিএন ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা ধীর হয়। যদিও ভিপিএন নিরাপত্তার জন্য উপকারী, তবে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ভিপিএন বন্ধ রাখলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে পেইড ভিপিএন ব্যবহার করলে গতি প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।</p> <p>অনলাইনে ব্রাউজ করার সময় পপআপ বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনের কারণে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগে। অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপনগুলো ব্লক হয়ে যায় এবং ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়, যা ইন্টারনেটের গতি বাড়ায়।</p> <p>ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করলে সেই অ্যাপের কিছু ডেটা জমা হয়, যা ক্যাশ মেমোরি নামে পরিচিত। ক্যাশ মেমোরি বেশি হলে ফোন ধীর গতির হয়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। নিয়মিত ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেললে ফোনের পারফরম্যান্স এবং ইন্টারনেটের গতি উভয়ই বাড়ে।</p> <p>ধীরগতির স্মার্টফোন ব্যবহারে বিরক্তিকর হলেও উপরের কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ মেনে চললে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো সম্ভব। ফোনের রিস্টার্ট থেকে শুরু করে ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলা, এসব উপায় আপনার ফোনে ইন্টারনেটের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। নিয়মিতভাবে এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে আপনি আরও স্বচ্ছন্দে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।</p> <p><br />  </p>