<p>সাল ১৯০৫। ধাতব দন্ডে আলো ফেললে তা থেকে ছিটকে বেড়িয়ে আসে ইলেকট্রন। যা আলোক-তড়িৎক্রিয়া নামে পরিচিত। আলোর তরঙ্গধর্ম দিয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক-তড়িৎক্রিয়ার কার্যকর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, আলো মূলত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফোটন কণার সমষ্টি। কণাধর্মের কারণে সহজেই ধাতব দণ্ড থেকে ইলেকট্রন ঠোকা দিয়ে বের করে আনতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বামারের বর্ণালি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/29/1727596895-29bfd6644196ac53e46e86325ec6c257.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বামারের বর্ণালি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/29/1430086" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু আলোর এই কণাধর্মটি আবার তরঙ্গধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। কণাতত্ত্বের সাহায্যে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যাতিচার— ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করা যায় না। রংধনু কেন তৈরি হয়, ইয়াংয়ের ডবল স্লিট বা দুই ছিদ্র পরীক্ষায় উজ্জ্বল ও অন্ধকার পট্টি কেন তৈরি হয়— এগুলোর ব্যাখ্যা নেই কণাতত্ত্বে। দুশ্চিন্তায় পড়েন আইনস্টাইন। আলোর এই দ্বৈত ধর্ম তার কাছে অদ্ভুত লাগছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727344962-579a1409897385448c7cd0a1351ed28b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/26/1429124" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাল ১৯২৩। লুই ডি ব্রগলি বলেন, আলো যদি কণা ও তরঙ্গ হিসেবে কাজ করতে পারে, তাহলে অন্যান্য কণাও পারবে। যেমন ইলেকট্রন। এর আগে এমন কিছু কল্পনাতেও ভাবেননি কেউ। ধারণাটি ভালো লাগে এরভিন শ্রোডিঙ্গারের। তিনি ব্রগলির ধারণা থেকে বস্তুতরঙ্গের একটা সমীকরণ তৈরি করে ফেলেন। যা কোয়ান্টাম বলবিদ্যার আরেক মাইলফলক ছিল। এর এক বছর পর, জি পি থমসন ও ক্লিনটন ডেভিসন পৃথকভাবে প্রমাণ করেন— ইলেকট্রন সাধারণ ক্রিস্টালের মধ্য দিয়ে গেলে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এটা অনেকটা ইয়াংয়ের দুই ছিদ্র পরীক্ষার মতো। অর্থাৎ ইলেকট্রনেরও অপবর্তন ঘটে। প্রমাণিত হয় ডি ব্রগলির ধারণাটি। জন্ম হয় বস্তুতরঙ্গের। দুশ্চিন্তা কমে যায় আইনস্টাইনের।</p> <figure class="image"><img alt="কোয়ান্টাম কণাসমূহ তরঙ্গ ধর্ম প্রদর্শন করবে না কি কণা ধর্ম, তা নির্ভর করে কোন বৈশিষ্ট্য কীভাবে পরিমাপ করা হচ্ছে— তার ওপর। দ্বিতীয় ছবি; ইলেকট্রনের অপবর্তন পট্টি।" height="751" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/01/my1182/১১১.jpg" width="600" /> <figcaption>কোয়ান্টাম কণাসমূহ তরঙ্গ ধর্ম প্রদর্শন করবে না কি কণা ধর্ম, তা নির্ভর করে কোন বৈশিষ্ট্য কীভাবে পরিমাপ করা হচ্ছে— তার ওপর। দ্বিতীয় ছবি; ইলেকট্রনের অপবর্তন পট্টি।</figcaption> </figure> <p>আলোর মতো অন্যান্য বস্তুকণাও তরঙ্গধর্ম দেখাতে পারে— ডি ব্রগলির এই প্রস্তাবনা কোয়ান্টাম তত্ত্বের বড় একটা সমস্যার সমাধান দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বোরের পরমাণু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727704322-62bf1edb36141f114521ec4bb4175579.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বোরের পরমাণু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/30/1430525" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আলোর যেমন কণা ধর্ম আছে তেমনি আলোর তরঙ্গ ধর্মও আছে। অসংখ্য পরীক্ষায় তা প্রমাণিত। কিন্তু দুটো ধর্ম একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা যায় না। এই সূত্র থেকেই নিলস বোর তাঁর সম্পূরক নীতি প্রণয়ন করেন। উদাহরণস্বরূপ— শক্তি মাপার সময় যে আলো কণার মতো আচরণ করে, বিচ্ছুরণ মাপার সময় আচরণ করে তরঙ্গের মতো। সম্পূরক নীতিই হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার পূর্ণতা দেয়। বোর-হাইজেনবার্গের কোপেনহেগেন ব্যাখ্যারও মূল ভিত্তি এই নীতি।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টা<br /> আইনস্টাইনের আলোক-তড়িৎক্রিয়া<br /> বোরের পরমাণু<br /> ডি ব্রগলির বস্তুতরঙ্গ</p> <p><strong>জীবনী</strong><br /> <strong>এরভিন শ্রোডিঙ্গার</strong><br /> ১৮৮৭-১৯৬১<br /> অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ এবং তরঙ্গ ফাংশনের প্রবর্তক।</p> <p><strong>লুই ডি ব্রগলি</strong><br /> ১৮৯২-১৯৮৭<br /> ফরাসি পদার্থবিদ, প্রথম কণার তরঙ্গধর্মের ধারণা দিয়েছিলেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> আলেক্সান্ডার হেলেমানস<br />  </p>