মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন গতকাল শনিবার জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরির পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সফল ছিলেন স্পিনার নাইম হাসান। ৬৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে বল হাতে সফল নাইম। সফল হবার রহস্য হিসেবে নাইম বলেন, সঠিক লাইনে বল করেই সাফল্য এসেছে।
টানা ৩২ ওভার বোলিং বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিরল
কালের কণ্ঠ অনলাইন

জাতীয় ক্রিকেট লিগে টানা বল করার অভ্যাস করেছেন নাইম। আর সেখান থেকেই উপকৃত হয়েছেন তিনি। নাইম বলেন, 'এনসিএল টানা বল করার অভ্যাস করেছি আমি। যদি আপনার ধৈর্য্য থাকে, টানা বল করতে পারেন এবং সঠিক লাইনে বল করতে পারেন।
সঠিক লাইনে বল করারই নাইমের প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে জানান, 'উইকেট যেমনই হোক, আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল সঠিক লাইনে বল করা, আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি টানা স্পেলে বল করতে। সঠিক লাইনে বল করা ছাড়া আমি অন্য কোনো পরিকল্পনা করিনি।'
এনসিএলে ২১ উইকেট শিকারে আত্মবিশ্বাস বাড়ে নাইমের। এমনটাই বললেন তিনি, 'আমি এনসিএল প্রচুর ওভার বল করেছি এবং ২১ উইকেট শিকার করেছি।
উইকেট থেকে কোন টার্নিং পাননি নাইম। তিনি বলেন, 'উইকেট স্পিনিং ছিল না। এটি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। অন্যপ্রান্ত দিয়ে তাইজুল ভালো করেছে। তাই আমি উইকেট পেয়েছি। কাল যদি আমি এই পাশ থেকে ডট বল দেই তাহলে তাইজুল উইকেট পাবে।'
পুরো দিনের মধ্যে দিনের শেষ ভাগে বড় ধরনের সাফল্য পায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়েকে খেলায় রাখা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন নাইম। আরভিনের ব্যাপারে নাইম বলেন, 'আমাদের তার উইকেট দরকার ছিল। প্রথম দিনই তার উইকেট শিকার করতে চেয়েছিলাম আমরা। তাই তার উইকেটটি আমাদের অনেক বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে।'
সম্পর্কিত খবর

এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়
অনলাইন ডেস্ক

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে শাস্তি পেলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেন তিনি। অন্যদিকে জরিমানা করা হয়েছে সতীর্থ ইবাদত হোসেন চৌধুরীকে।
আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইবাদত ও হৃদয়।
টুর্নামেন্টের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ইবাদত হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও এর সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাওহীদ হৃদয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্রিকেটার ও মোহামেডানের পক্ষ থেকে শাস্তি কমানোর অনুরোধ করা হয়েছিল।
নিষিদ্ধ হওয়ায় সুপার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারবেন না হৃদয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল।

২ গোলে পিছিয়ে পড়েও বড় জয় ম্যান সিটির
অনলাইন ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতেই হোচট খায় ম্যানচেস্টার সিটি। দুই গোল হজম করে বসে পেপ গার্দিওলার দল। বিরতির আগে অবশ্য গোল দুটি শোধ করে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসিও হেসেছে ম্যান সিটি।
এর ফলে, লিগ টেবিলে এক লাফে দুই ধাপ এগিয়ে গেল গার্দিওলার দল। ৩২ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আছে তারা। দুই পয়েন্ট করে কম নিয়ে চেলসি পঞ্চম ও নিউক্যাসল ইউনাইটেড ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে।
শনিবার এবেরেচি এজে ও ক্রিস রিচার্ডসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই দলকে সমতায় আনেন কেভিন ডি ব্রুইন ও ওমার মার্মাউশ। পরে একে একে সিটির বাকি তিন গোল করেন মাতেও কোভাচিচ, জেমস ম্যাকাটি ও নিকো ও’রাইলি।
ম্যাচের শুরুতে প্রথম আক্রমণেই সিটিকে স্তব্ধ করে দেয় ক্রিস্টাল প্যালেস।
ঘুরে দাঁড়াতে এরপর টানা আক্রমণ শুরু করে সিটি। দ্রুতও ফলও পেয়ে যায় তারা। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরে দলটি।
৩৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে সরাসরি ফ্রি কিকে ব্যবধান কমান ডি ব্রুইন। এরপর ডি-বক্সে সতীর্থের হেড পাস পেয়ে জোরাল শটে সমতা টানেন মার্মাউশ।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি ব্রুইনের কাটব্যাক ডি-বক্সের মুখে পেয়ে জোরাল শটে গোলটি করেন কোভাচিচ।
৫৬তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে ম্যাচের লাগাম হাতে নেয় তারা। গোলটির পেছনে বড় অবদান গোলরক্ষক এডারসনের। এক নজরে মাঠের অবস্থা বুঝে তিনি মাঝমাঠে জেমস ম্যাকাটিকে খুঁজে নেন। এরপর, প্রথম ছোঁয়ায় বল ধরে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বক্সে ঢুকে এবং গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ম্যাকাটি।
কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল করে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিটি। বক্সে প্রতিপক্ষের একজন হেডে বল ক্লিয়ারের চেষ্টা করলে উল্টো পেয়ে যান ও’রাইলি। তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের শট আরেক জনের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
লিগে এই নিয়ে সবশেষ চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি, অন্য দুটি ড্র।

৯ বছর পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান
ক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিডএল) হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আবাহনীকে হারিয়েছে মোহামেডান। আর তাতেই ৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর ডিপিএলের ওয়ানডে সংস্করণে আবাহনীর বিপক্ষে জয় পেল মোহামেডান। শেষ রাউন্ডের জয়ে আবাহনীকে ছুঁয়েও ফেলেছে তারা। ১১ ম্যাচে ৯ জয়ে দুই দলের পয়েন্ট ১৮।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই ঐতিহ্যবাহী দল। সেখানে ৩৯ রানে জিতেছে মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। জবাবে ১৬ বল আগেই আবাহনী গুটিয়ে যায় ২২৫ রানে।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচ ও প্রায় ৯ বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারল মোহামেডান। শেষবার তারা আকাশি-নীলদের হারিয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ঝোড়ো সূচনা করে মোহামেডান। দলীয় ৩৩ রানে ১৮ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন রনি তালুকদার।
আবাহনীর পক্ষে নাহিদ রানা তিনটি এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাকিবুল হাসান দুটি করে উইকেট শিকার করেন। একটি উইকেট পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
মিরপুরে জয়ের জন্য ২৬৪ রান তাড়ায় আবাহনীকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি পারভেজ হোসেন ইমন-জিসান আলম জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মোহামেডানকে প্রথম উইকেট এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পারভেজ ইমনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনারকে ফিরিয়েছেন ইবাদত। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ রান করা পারভেজ ইমন। ইমনের মতো মিঠুনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মিরাজের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৯ রান করা এই ব্যাটার। এক প্রান্ত আগলে রেখে অবশ্য ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটারকে পরবর্তীতে মমিনুল হক সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করলেও ফিরেছেন ২৫ রানে। ইবাদতের বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বল হাতে আলো ছড়ালেও ব্যাটিংয়ে ১ রানের বেশি করতে পারেননি মাহফুজুর রহমান রাব্বি। উইকেটে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। যদিও তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি ইবাদত।
সাধ্য অনুযায়ী শান্ত এক প্রান্ত আগলে রাখেন একাই। ১১৩ বল মোকাবেলা করে ৮০ রান করার পথে হাঁকান সাতটি চার। তিনি বিদায় নিলে আবাহনী শেষ আশাও হারিয়ে ফেলে। ৪৭.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ২২৫ রানে। মোহামেডান জেতে ৩৯ রানের ব্যবধানে।
মোহামেডানের হয়ে এবাদত হোসেন চারটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

হকির মাধ্যমে দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা যায় : বিমানবাহিনী প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমানবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, ‘হকি হচ্ছে এমন এক প্ল্যাটফরম, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে বিশমঞ্চে তুলে ধরতে পারব। তাই এটা তোমাদের (খেলোয়াড়) ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা তোমাদের সব কিছু (ট্রেনিং, জার্সি, পরিবহন, কোচ) ব্যবস্থা করে দিতে পারব। কিন্তু খেলতে হবে তোমাদের।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফ্যালকন হলে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের জার্সি উন্মোচন, ফটোসেশনের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলোয়াড়দের উদ্দেশে এসব কথা বলেন হাসান মাহমুদ খাঁন।
আগামী ১৭-২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য ‘এএইচএফ কাপ জাকার্তা ২০২৫’ হকি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ উপলক্ষেই আয়োজনটি করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা, দলীয় সংহতি ও সমন্বয় অক্ষুণ্ন রেখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রেরণা প্রদান করেন। এ সময় বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘হকি ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। অতীতে আমরা এই টুর্নামেন্টে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি আরো বলেন, ‘সাহস নিয়ে খেলবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবে। ফলাফল যা-ই হোক মনে রাখতে হবে চ্যাম্পিয়ন হবো ইনশাআল্লাহ। আগামীতে তোমরাই হকি বিশ্বকাপে লাল-সবুজের পতাকে উড়াবে, এটা আমার বিশ্বাস।
খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলার বিষয়ে বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, ‘সব সময় যথেষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হকি এমন একটি খেলা, যেখানে প্রায়ই দেখা যায়, খেলার মাঠে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে এগুলো খুবই সিরিয়াসলি নেওয়া হয়। তাই আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করব না।’
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার আরো ০৯টি দল—ওমান, চায়নিজ তাইপে, হংকং, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তাান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে।
এই টুর্নামেন্টটি এশিয়া কাপ-২০২৫-এর কোয়ালিফাইয়ার টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় কোচিং প্যানেলের অধীনে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।