লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শাসনামল এখন প্রায় শেষ। অনেকেই ভেবেছিলেন, এই দুইজন অবসর নিলেই ফুটবল সাম্রাজ্যে নেমে আসবে শূন্যতা। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ জানিয়ে দিল, ফুটবল সাম্রাজ্যের নতুন অধিপতি আসছেন। তিনি হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শাসনামল এখন প্রায় শেষ। অনেকেই ভেবেছিলেন, এই দুইজন অবসর নিলেই ফুটবল সাম্রাজ্যে নেমে আসবে শূন্যতা। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ জানিয়ে দিল, ফুটবল সাম্রাজ্যের নতুন অধিপতি আসছেন। তিনি হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে বিশ্বকাপ তুলে ধরেছেন লিওনেল মেসি। এই ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর পেছনের কারিগর হলেন এমবাপ্পে।
২-০ গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখনই পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। এক মিনিট পর এমবাপ্পের আরও একটি গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। মেসির গোলে সেই অতিরিক্ত সময়েও এগিয়ে যায় আর্জন্টিনা।
ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের ৫৬ বছর পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন এমবাপ্পে। পেনাল্টি শ্যুটআউটেও তিনি একটা গোল করেছিলেন। কিন্তু তারপরও ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
সম্পর্কিত খবর
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠনের (বিএসপিএ) বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। সঙ্গে বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি।
২০২৪ সাল দুর্দান্ত কেটেছে মিরাজের।
দর্শক-সমর্থকদের ভোটে পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।
পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা-
স্পোর্টস পারসন অব দা ইয়ার: চ্যাম্পিয়ন- মেহেদী হাসান মিরাজ
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড- ঋতুপর্ণা চাকমা (ফুটবল)।
বর্ষসেরা ক্রিকেটার- মেহেদী হাসান মিরাজ।
বর্ষসেরা ফুটবলার- ঋতু পর্ণা চাকমা।
বর্ষসেরা আর্চার- সাগর ইসলাম।
বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)- জহির রায়হান।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ- নাহিদ রানা (ক্রিকেট)।
বর্ষসেরা দাবাড়ু- মনন রেজা নীড়।
বর্ষসেরা দলগত সাফল্য- জুনিয়র বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দল।
সক্রিয় সংস্থা- যশোর শামস-উল-হুদা অ্যাকাডেমি।
বর্ষসেরা কোচ- মওদুদুর রহমান শুভ (হকি)।
তৃণমূলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব- বীরসেন চাকমা (ফুটবল সংগঠক, রাঙামাটি)।
বর্ষসেরা সংগঠক- মো. ইমরুল হাসান (সভাপতি বসুন্ধরা কিংস)।
বর্ষসেরা আম্পায়ার- শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বিশেষ সম্মাননা- হামিদুল ইসলাম।
মাঠের পারফরম্যান্সে অনেক পুরস্কারই পেয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোয় মাঠ থেকে পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ নাই আর তার। তবে দুই দশকের বেশি সময় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে অনবদ্য অবদান রাখায় দুর্দান্ত এক স্বীকৃতি জুটেছে তার।
‘নাইটহুড’ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন।
২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের।
এর আগে ২০১৬ সালে বাকিংহাম প্যালেসে প্রিন্স অব ওয়েলসের কাছ থেকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) মেডেল পুরুস্কারও নিয়েছেন অ্যান্ডারসন।
আনন্দ নিতে গিয়ে জীবন হারাবেন এমনটা হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি দুই সমর্থক। গতকাল কোপা লিবের্তাদোরেসের ম্যাচ শেষে হাসিমুখে বাড়ি ফেরার বিপরীতে লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের।
চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। চিলির ক্লাব কোলো কোলোর বিপক্ষে ব্রাজিলের ক্লাব ফোর্তালেজার মুখোমুখি হওয়ার আগে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত দুজনের একজন ১৩ বছরের বালক এবং অপরজন ১৮ বছরের তরুণী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। সংবাদ মাধ্যমকে তরুণীর বোন বারবারা পেরেজ জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় স্টেডিয়াম ধসে পড়লে তার বোন একটি বেষ্টনীর নিচে আটকা পড়ে।
এমন ঘটনায় পরে ম্যাচ বাতিল করেছে কনমেবল। নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, ‘কোলো কোলো ও ফোর্তালেজার ম্যাচ শুরুর আগে মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে দুই সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনায় কনমেবল গভীরভাবে শোকাহত।
ঘটনায় পুলিশের গাড়ির সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিলির প্রসিকিউটর ফ্রান্সিসকো মোরালেস। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জেনেছি, বেষ্টনীর নিচে আটকা পড়ে দুজন মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুতে পুলিশের গাড়ির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’
৬৪ দলের বিশ্বকাপ ভাবনাকে বাজে বলে মত দিয়েছিলেন আলেক্সজান্ডার সেফেরিন। উয়েফার সভাপতি এত দলের বিশ্বকাপ আয়োজনে সম্মতি না দিলেও ২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দল করার প্রস্তাব দিয়েছে কনমেবল।
গতকাল ফিফাকে ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেন কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিঙ্গেজ। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভা শেষে ডমিঙ্গেজ বলেছেন, ‘বিশ্ব মঞ্চের অভিজ্ঞতা সব দেশকে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
২০৩০ বিশ্বকাপের মূল আয়োজক স্পেন, মরক্কো ও পর্তুগাল হলেও শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ উরুগুয়েতেই হয়েছিল। এমন উদযাপন একবারই করার সুযোগ পাওয়া যায় বলে শতবর্ষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কনমেবল।
এর আগে ফিফার সভায় শতবর্ষ বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন উরুগুয়ের এক প্রতিনিধি। গত ৬ মার্চের সেই সভায় দ্বিমত পোষণ করেন সেফেরিন।
২০৩০ বিশ্বকাপ ৬৪ দলের হবে কিনা তা ঠিক করার যথেষ্ট সময় পাচ্ছে ফিফা।