<p>হারার আগে হারে না রিয়াল মাদ্রিদ। আরও একবার এই কথার প্রমাণ মিলল ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের আগে শক্তি-সামর্থ্যে ফেভারিট ছিল ম্যানচেস্টার সিটিই। এমনকি পুরো ম্যাচেই রিয়ালের ওপর আক্রমণে ঝড় বইয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। কিন্তু রিয়ালের রক্ষণ ছিল জমাট। নিজেদের কৌশল দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে সিটির আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে লস ব্লাংকোরা। তাই তো রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তির গর্বের যেন শেষ নেই।</p> <p>গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে পা দিয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফলতম দল। কিন্তু সিটির ভয়ংকর আক্রমণভাগের সামনে রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নেন আনচেলোত্তি। যার ফলে ম্যাচের ৬৮ শতাংশ সময় বল ছিল ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। গোলের জন্য শট নেয় ৩৩টি। কর্নার পায় ১৮টি। বিপরীতে রিয়ালের কর্নার মাত্র একটি, সেটাও ১০৬ মিনিটে। এমন ঝুঁকি নিয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাসিত আনচেলোত্তি। তবে এই সিটিকে হারাতে হলে এমন কৌশল বেছে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না বলছেন তিনি,'এমন বড় ম্যাচে যখন দলের সবাই পুরোটা নিংড়ে দেয় এবং সবকিছু ত্যাগ করে তা আমি ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি, তাদের মাঠে তাদেরকে হারাতে এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। আমরা যা করেছি তার জন্য গর্বিত।'</p> <p>১২০ মিনিটের লড়াইয়ে পর খেলা যখন টাইব্রেকারে গড়ায় আনচেলোত্তি তখনই বুঝেছিলেন এই ম্যাচ জিততে যাচ্ছেন তারাই,'পেনাল্টি শুট আউটে যখন ম্যাচ গড়াল, আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা যাব পরের ধাপে। পরিশ্রম দিয়ে হোক বা ত্যাগ দিয়ে বা যে কোনোভাবে, জয়টাই আসল।'</p> <p>পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে কিংবা শেষ মুহূর্তে গোল করে বহু ম্যাচ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এভাবে সারাক্ষণ রক্ষণ আগলে রেখে রক্ষণাত্মক ফুটবল খুব কমই খেলেছে রিয়াল। কিন্তু এভাবেই ম্যাচ জিতে নেওয়া রিয়ালের বিশেষত্ব বলছেন আনচেলোত্তি,'আমরা খুব, খুব ভালোভাবে রক্ষণ সামলিয়েছি। এটা শুধু বেঁচে থাকার পথ ছিল। মাদ্রিদ এমন একটি ক্লাব যখন মনে হয় কোনো উপায় নেই, তখনই আমরা কোনো একটি পথ খুঁজে নেই।'</p>