ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঘন ঘন স্পাই সাবমেরিন আর ড্রোন ধরছেন চীনের জেলেরা

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
ঘন ঘন স্পাই সাবমেরিন আর ড্রোন ধরছেন চীনের জেলেরা

খবরটা প্রথম বেরিয়েছিল চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যমে। 'সাগরে জাল ফেলে বিদেশি গুপ্তচর ড্রোন ধরার পর জেলেদের পুরস্কার দিলো চীন'। এই শিরোনামে খবরটি দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে ব্যাপারটা আসলে ততটা সরল নয়।

এই পুরস্কার যে এক-দুজন জেলে পেয়েছেন তা-ও নয়। মোট ১১ জন জেলে। তার মধ্যে একজন আবার নারী। সাগর থেকে সব মিলিয়ে ৭টি 'গুপ্তচর সাবমেরিন ড্রোন' ধরে এই পুরস্কার পেয়েছেন।

তা ছাড়া এ ঘটনা খুব নতুনও নয়। ২০১৮ সালে এবং তার আগেও জিয়াংসু প্রদেশের জেলেরা স্পাই সাবমেরিন ড্রোন ধরেছেন। পুরস্কারের অংকটাও কম নয়, ৫ লক্ষ ইউয়ান যা ৭২ হাজার ডলারের সমান।

এগুলো আকারে খুব বেশি বড় নয়।

আকাশে যেরকম সামরিক আক্রমণ বা নজরদারির জন্য চালকবিহীন ড্রোন আজকাল ব্যবহৃত হচ্ছে, সমুদ্রের পানিতে ঠিক একইভাবে কাজ করে এসব চালকবিহীন ছোট ছোট স্পাই সাবমেরিন ড্রোন।

কিন্তু চীন সাগরে এই ক্ষুদে সাবমেরিনগুলো আসছে কোথা থেকে? এরা কী করে? কেন এগুলো এত মূল্যবান? আর চীনা জেলেরা এত স্পাই সাবমেরিন ধরছেই বা কি করে? 

স্পাই সাবমেরিনগুলো কোন দেশের তা চীন প্রকাশ করে না। তারা শুধু বলে, 'এগুলো অন্য নানা দেশে তৈরি।'

পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের উপকূল এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। এর অন্য দিকে আছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান।

এখানে প্রবল উপস্থিতি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও।

আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্ডার নিল বলেন, এই জায়গাটায় সবসময়ই শক্তিধর দেশগুলো প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তার কথা, সম্ভবত এসব ড্রোন সাবমেরিনগুলো আসে মার্কিন নৌবাহিনী, জাপানের আত্মরক্ষামূলক বাহিনী অথবা তাইওয়ান থেকে। কিন্তু এগুলো দিয়ে কি ধরনের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে আমেরিকান, জাপানি বা তাইওয়ানিরা?

২০০৯ সালে মার্কিন নৌবাহিনী একটি গবেষণা চালিয়েছিল ইউইউভি বা আনম্যানড আন্ডারসি ভেহিকলস নিয়ে।

তারা বলেছে, এগুলো ব্যবহৃত হতে পারে শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের গতিবিধির খবর পেতে, পানির নিচে বিশেষত অন্য দেশের সমুদ্রসীমার ভেতরে কোনো বোমা পাতা আছে কিনা তা জানতে, নজরদারির যন্ত্রপাতি মোতায়েন করতে বা সাগরের নিচে ক্যাবলের মতো যেসব অবকাঠামো আছে তার তত্বাবধান করতে।

এতে বলা হয়, সাগরের নিচে এরকম শত শত স্পাই ড্রোন সাবমেরিন মোতায়েন আছে। এগুলো কয়েক মাস ধরে কার্যকর রাখা যায়, এবং এর খরচও খুব বেশি নয়, তাই এগুলো দু-চারটা ধরা পড়লে কিছু আসে যায় না। এ থেকেই বোঝা যায় কেন চীনা জেলেদের জালে এসব সামমেরিন ড্রোন ধরা পড়ছে।

চীনা জেলেদের সংখ্যা বিপুল, তা ছাড়া কিছু জেলে সামরিক বাহিনীর হয়েও কাজ করে। চীনের জাতীয় মিলিশিয়ার একটি অংশ হচ্ছে এই মেরিটাইম মিলিশিয়া।

নিল বলেন, তার মানে হলো যাদের হাতে এসব স্পাই সাবমেরিন ধরা পড়ছে তারা আসলে জেলের ছদ্মবেশে চীনা মিলিশিয়া। তাদের মাছধরার ট্রলারগুলো অন্যরকম, এগুলো কাঠের তৈরি নয়, বরং ইস্পাতের তৈরি। তাদের সিগনালিং ক্ষমতা আছে, চীনা নৌবাহিনী সাথে তাদের যোগাযোগ আছে। সাগরে তাদের আসল কাজই হলো নজরদারি, এবং তাদের একটা কাজ হয়তো এসব স্পাই সাবমেরিন ধরা।

শুধু তারা যে শত্রুপক্ষের ড্রোন সাবমেরিন ধরে তাই নয়, চীনের নিজস্ব ড্রোন সাবমেরিনও আছে। চীনের সামরিক প্যারেডেও এরকম ড্রোন দেখা গেছে। এগুলো দিয়ে ছোট ড্রোন সাবমেরিন বহন ও মোতায়েন করা যায়। প্রায় পাঁচ মাস আগে ইন্দোনেশিয়র জেলেদের জালে চীনা অক্ষর লেখা একটি সামুদ্রিক ড্রোন আটকা পড়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চীন এগুলো দিয়ে সাগরের নিচে আরেকটা 'মহাপ্রাচীর' গড়ে তুলছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা 

মন্তব্য

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারতীয় ওষুধ কম্পানির গুদাম ধ্বংস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারতীয় ওষুধ কম্পানির গুদাম ধ্বংস

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় ওষুধ কম্পানি কুসামের একটি গুদাম ধ্বংস হয়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) এক্স পোস্টে কিয়েভ এ দাবি করে।

ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাস অভিযোগ করেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শনিবার রাশিয়া ভারতীয় ওষুধ কম্পানি কুসামের গুদামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য তৈরি ওষুধ ধ্বংস হয়েছে।’

ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন হ্যারিসও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শনিবার সকালে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়ে কিয়েভের একটি ওষুধ কম্পানির গুদাম ধ্বংস করেছে।

এখানে বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ ছিল। রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’

তবে, হ্যারিস এই হামলাটি ভারতীয় ওষুধ কম্পানির গুদামে চালানো হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাঁচটি হামলা চালিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া স্থগিতাদেশের লঙ্ঘন।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ
সংগৃহীত ছবি

চীনের রাজধানী বেইজিং ও উত্তরাঞ্চলে প্রবল বাতাসের কারণে ৮৩৮ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, ট্রেন চলাচলও স্থগিত রয়েছে। 

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বেইজিংয়ের দুটি প্রধান বিমানবন্দরে এসব ফ্লাইট বাতিল হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

 

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বেইজিংয়ে ঘণ্টায় ৯৩ মাইল গতিবেগের বাতাস বইছে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এই দমকা হাওয়া রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে পর্যটন স্পট ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।  

আরো পড়ুন
নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর সংবাদ ইসরায়েলি গণমাধ্যমে

নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর সংবাদ ইসরায়েলি গণমাধ্যমে

 

এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকেই লক্ষাধিক মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কিছু রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সতর্ক করে বলেছে, ৫০ কেজির কম ওজনের মানুষ ‘সহজেই বাতাসে উড়ে যেতে পারেন’। 

ঝড়ের কারণে বেইজিংয়ের বিমানবন্দর এক্সপ্রেস সাবওয়ে লাইনসহ বেশ কিছু উচ্চগতির রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া, শহরের পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে এবং প্রায় ৩০০টি গাছ উপড়ে পড়েছে। 

বেইজিংয়ের ২২ মিলিয়ন বাসিন্দাকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। 

একজন স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেন, বেইজিংয়ের সবাই এ নিয়ে খুব চিন্তিত। আজ রাস্তায় লোকজনের দেখা মিলছে না। তবে যতটা ভেবেছিলাম, অবস্থা ততটা খারাপ নয়। 

ঝেজিয়াং প্রদেশের এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রবল বাতাসের কারণে গত রাত ও আজকের সব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

আমি কয়েক দিন পর নতুন করে টিকিট কাটব। এখন মূলত বেইজিংয়ে আটকে আছি। 

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গোলিয়ার উপর দিয়ে আসা শীতল ঘূর্ণাবর্তের কারণে এই প্রবল বাতাসের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবারই সবচেয়ে বেশি বাতাস বইতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গাজার বেশির ভাগ অঞ্চলে অভিযান আরো বিস্তৃত করবে ইসরায়েল

    আইডিএফের নিয়ন্ত্রণে ‘মোরাগ করিডর’ খান ইউনিস খালি করার নির্দেশ
বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
গাজার বেশির ভাগ অঞ্চলে অভিযান আরো বিস্তৃত করবে ইসরায়েল
বিনা মূল্যে খাবার বিতরণ কেন্দ্রে গরম খাবারের ভাগ পেতে অপেক্ষা করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবিটি ১২ এপ্রিল গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবির থেকে তোলা। ছবি : এএফপি

গাজা উপত্যকার বেশির ভাগ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শিগগিরই ‘জোরালোভাবে’ অভিযান সম্প্রসারণ করবে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা ও খান ইউনিস শহরের মাঝখানে একটি ‘নিরাপত্তা এলাকা’ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ শনিবার এক ঘোষণায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়ায় হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল খান ইউনিস ও আশপাশের এলাকায় বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে।

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাস।

১৮ মার্চ দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তার পর থেকে গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে তারা এবং আবারও লক্ষাধিক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী ইতিমধ্যে গাজার পুরো সীমানা ঘিরে একটি ‘বাফার জোন’ বা সুরক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে, যাতে ভবিষ্যৎ আক্রমণ প্রতিহত করা যায় বলে দাবি করা হয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান অভিযানের লক্ষ্য হলো গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৫৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা, যাদের মধ্যে ২৪ জন এখনো জীবিত বলে ধারণা করা হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ শনিবার জানান, ‘মোরাগ করিডর’ এখন আইডিএফের নিয়ন্ত্রণে, যা রাফা ও খান ইউনিসের মাঝখানে এক সময়কার একটি ইহুদি বসতির নাম। তিনি বলেন, ‘আইডিএফ এখন রাফা ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী মোরাগ করিডর দখল করেছে এবং পুরো ফিলাডেলফি করিডর থেকে মোরাগ পর্যন্ত অঞ্চল এখন ইসরায়েলি নিরাপত্তা এলাকার অংশ।’

এই করিডরের দখল কার্যত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাকে খান ইউনিস থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

গাজার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রাফার মধ্যে পড়ে।

কাটজ আরো হুঁশিয়ারি দেন, ‘আইডিএফের অভিযান শিগগিরই গাজার অধিকাংশ এলাকায় জোরালোভাবে সম্প্রসারিত হবে’ এবং এসব এলাকার বাসিন্দাদের ‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যেতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘এটাই শেষ সময় হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করা ও যুদ্ধের অবসান ঘটানোর।’

ইসরায়েলি মন্ত্রী আরো জানান, গাজার উত্তরের কিছু এলাকাও, যেমন বেইত হানুন ও কেন্দ্রীয় গাজা ভেদ করে যাওয়া নেতজারিম করিডর খালি করা হচ্ছে, যাতে সেখানে নিরাপত্তা এলাকা সম্প্রসারণ করা যায়। তিনি বলেন, ‘উত্তর গাজাতেও বেইত হানুন ও অন্যান্য এলাকায় বাসিন্দারা সরছে, এলাকা দখল করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারিত হচ্ছে, এর মধ্যে রয়েছে নেতজারিম করিডরও।

বিবিসি এ বিষয়ে আইডিএফের কাছে জানতে চাইলে তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে যেতে বলে।

এএফপি হামাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি অভিযানে ‘নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে’ এবং জিম্মিদের ভাগ্য ‘অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে’।

গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর অভিযোগ করেছিল, ইসরায়েল যেসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বৈধ নয় এবং এতে ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা খাদ্য সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে ইসরায়েল সরকার বলেছে, তারা সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য তাদের সরিয়ে নিচ্ছে, যাতে তারা হামাসের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

এদিকে কাটজের ঘোষণার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজার থেকে ছোড়া গোলার জবাবে খান ইউনিস ও আশপাশের এলাকায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইডিএফ আরো জানায়, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া তিনটি গোলা তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে। হামলার দায় পরে হামাসের সামরিক শাখা স্বীকার করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

হামাস চালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার জবাবে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তখন থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫০ হাজার ৯৩৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন অভিযানে প্রাণ গেছে এক হাজার ৫৬৩ জনের।

মন্তব্য

নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর সংবাদ ইসরায়েলি গণমাধ্যমে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর সংবাদ ইসরায়েলি গণমাধ্যমে
ছবি : ফোকাস বাংলা

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশিরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশ নিয়েছিল। এ সময় ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে এবং ‘ফ্রি, ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেয় তারা।

বাংলাদেশিদের এই বিক্ষোভের সংবাদটি বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে পুনরায় প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। সেখানে নেতানিয়াহুর ছবিতে পেটানোর বিষয়টি মূল শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এপির শিরোনামে এ বিষয়টি নেই। তারা শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ১ লাখ মানুষের র‌্যালি।

’ অন্যদিকে টাইমস অব ইসরায়েল একই খবরের শিরোনামে লিখেছে, ‌‌‘বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষের গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, পিটিয়েছে নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদের ছবি।’

আরো পড়ুন
‘অচিরেই জি এম কাদের তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন’

‘অচিরেই জি এম কাদের তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন’

 

এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের রাজধানীতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী র‌্যালি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সোহরাওয়ার্দী পার্কে প্রায় ১ লাখ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে ছিল কয়েক শ ফিলিস্তিনি পতাকা।

সেখানে তারা ‘ফ্রি ফ্রি, ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেয় তারা। বিক্ষোভকারীদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পিটিয়েছে। তাদের অভিযোগ, তারা ইসরায়েলের সহযোগী। র‌্যালিতে তারা প্রতীকী কফিন এবং হতাহত বেসামরিক মানুষের প্রতীকী পুত্তলিকা নিয়ে এসেছিল।

আরো পড়ুন
রোটেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ না হলে গুচ্ছতে থাকবে না শেকৃবি

রোটেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ না হলে গুচ্ছতে থাকবে না শেকৃবি

 

এপির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও ইসলামিক দল এই র‌্যালিতে সংহতি জানায়।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং তারা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ