<p>গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া উচিত না। চীনের একজন সাবেক শীর্ষ সরকারি বিজ্ঞানী বিবিসি নিউজকে এ কথা বলেছেন। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জর্জ গাও মহামারি মোকাবেলা এবং এর উৎপত্তি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।</p> <p>উহানের একটি গবেষণাগারে এই রোগের উদ্ভব হতে পারে—চীনের সরকার এমন কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে অধ্যাপক গাও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।</p> <p>ফিভার : দ্য হান্ট ফর কভিডস অরিজিন নামে বিবিসি রেডিও ৪ পডকাস্টে অধ্যাপক গাও একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, আপনি সব সময় যেকোনো বিষয়ে সন্দেহ করতে পারেন। এটি বিজ্ঞান। কিছুকে উড়িয়ে দেবেন না।’</p> <p>বিশ্বের একজন নেতৃস্থানীয় ভাইরোলজিস্ট এবং ইমিউনোলজিস্ট অধ্যাপক গাও গত বছর সিডিসি থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন চীনের ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।</p> <p>চীনা সরকার যে গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্বটিকে তাদের সরকারি বিবৃতিগুলোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে সে লক্ষণ পাওয়া গেছে। অধ্যাপক গাও বিবিসিকে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে (ডাব্লিউআইভি) এ বিষয়ে একধরনের আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তবে এতে তার নিজস্ব বিভাগ চায়না সিডিসি জড়িত ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।</p> <p>সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক গাওকে স্পষ্ট করে জিজ্ঞেস করা হয়, এর অর্থ কি সরকারের অন্য শাখা ডাব্লিউআইভিতে একটি আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান চালিয়েছে? তিনি উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ, সেই ল্যাবটিতে এসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা দুইবার অনুসন্ধান করেছিলেন।’</p> <p>উল্লেখ্য, ডাব্লিউআইভি চীনের শীর্ষ জাতীয় গবেষণাগারগুলোর একটি, যেটি করোনভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে কয়েক বছর অতিবাহিত করেছে বলে পরিচিত।</p> <p>এটি এই ধরনের প্রথম স্বীকৃতি যে চীনে এ বিষয়ে কোনো ধরনের সরকারি তদন্ত হয়েছিল। তবে অধ্যাপক গাও বলেছেন, তিনি অনুসন্ধানের ফলাফল দেখেননি। তিনি ‘শুনেছেন’ যে গবেষণাগারটিতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। সবার শেষে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের উপসংহার হলো, তারা সব প্রটোকল অনুসরণ করছে। তারা কোনো অন্যায় খুঁজে পায়নি।’</p>