<p>ইসরায়েলের ঐতিহ্যমন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহুকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের উচিত ইতিমধ্যে গণহত্যার শিকার গাজা উপত্যকার ওপর একটি পারমাণবিক বোমা ফেলা। এর পরই নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্ত নেন।</p> <p>টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উগ্রপন্থী ওটজমা ইহুদিত পার্টির অতি ডানপন্থী এ মন্ত্রী রেডিও কোল বেরামায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটি একটি সম্ভাবনা।’</p> <p>এলিয়াহু পুরো গাজা পুনর্দখল করার জন্য ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের পক্ষেও রয়েছেন। তিনি বলেছেন, অঞ্চলটির ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি জনসংখ্যা ‘আয়ারল্যান্ড বা মরুভূমিতে যেতে পারে। গাজার দানবদের নিজেদেরই সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।’</p> <p>সাক্ষাৎকারের পর এলিয়াহুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগদান থেকে নিষেধ করা হয়েছে।</p> <p>রবিবার সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমিচাই এলিয়াহুর কথাগুলো বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। ইসরায়েল ও আইডিএফ জড়িত নয় (যুদ্ধে) এমন ব্যক্তিদের ক্ষতি রোধে আন্তর্জাতিক আইনের সর্বোচ্চ মান অনুযায়ী কাজ করছে এবং আমরা বিজয়ের জন্য এটি চালিয়ে যাব।’</p> <p>প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো বিষয় যে এ ধরনের লোকেরা ইসরায়েলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই।’</p> <p>বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড এলিয়াহুর পরামর্শকে ‘একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্ত্রীর একটি ভয়ংকর ও উন্মাদ মন্তব্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।</p> <p>ল্যাপিড বলেছেন, এলিয়াহু তার মন্তব্যের মাধ্যমে গাজায় জিম্মিদের পরিবারকে অসন্তুষ্ট করেছেন, ইসরায়েলি সমাজকে বিক্ষুব্ধ করেছেন এবং ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থানের ক্ষতি করেছেন।</p> <p>এলিয়াহু অবশ্য এর পর থেকে পারমাণবিক হত্যাকাণ্ডের জন্য তার আহ্বানে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি সব বিবেকবান মানুষের কাছে স্পষ্ট যে পরমাণু (বোমা) সম্পর্কে বিবৃতিটি রূপক।’</p> <p>তিনি আরো বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ও অসম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই প্রয়োজন, যা নাৎসি ও তাদের সমর্থকদের কাছে স্পষ্ট করবে যে সন্ত্রাসবাদের কোনো মূল্য নেই। এটিই একমাত্র ফর্মুলা, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাস মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পারে। একই সঙ্গে এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েল রাষ্ট্র জিম্মিদের নিরাপদে ও সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’</p> <p>সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর</p>