<p>ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বাগদাদে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে দক্ষিণ লেবাননে সংঘাতের বিস্তৃতি ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।</p> <p>ইরাকের শীর্ষ কূটনীতিক ফুয়াদ হুসেইন ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যদি দক্ষিণ লেবাননে হামলা করা হয় তবে এটি সমগ্র অঞ্চলকে প্রভাবিত করবে। যুদ্ধের সম্প্রসারণ একটি বিপদ, শুধু লেবাননের জন্যই নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য।’</p> <p>এ ছাড়াও তিনি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেন। একইভাবে গাজা উপত্যকায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘গণহত্যা যত দ্রুত সম্ভব ও পূর্বশর্ত ছাড়াই’ বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের ‘ব্যর্থতার’ প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘আরো অন্যায় করতে এবং তাদের আগ্রাসনের সুযোগ প্রসারিত করতে পারে’। তবে ইরান কাউকে ‘স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষতি করতে দেবে না, এমনকি সামান্য হলেও’।</p> <p>গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের সূচনা হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করার পর থেকে লেবাননভিত্তিক সামরিক গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ হচ্ছে। হামাসের মিত্র লেবাননের শক্তিশালী ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্র হয়েছে। এতে ব্যাপক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।</p> <p>অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি সীমিত বলে তারা বিশ্বাস করেন।</p> <p>তেহরানের প্রধান মিত্র হিজবুল্লাহ বুধবার উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। সেই সঙ্গে এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে হত্যার পর তাদের আক্রমণ তীব্র করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলে লাগাতার দেড় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তারা দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>