<p>জনমত জারিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান দল প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। এই জরিপে ২২ পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রায় পাঁচ মাস আগেও একটি জারিপে এমনটিই দেখা গেছে। </p> <p>গত ৫ থেকে ২১ জুনে করা অ্যাক্টিভোট জনমত জরিপে দেখা গেছে, দুই হাজার ২৯ জন সম্ভাব্য স্বতন্ত্র ভোটার অংশ নিয়েছিলেন। সেই জরিপে ট্রাম্প ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। যেখানে বাইডেন পেয়েছেন ৩৯ শতাংশ ভোট। </p> <p>বিভিন্ন জরিপ এখন পর্যন্ত দেখিয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনের মতো এবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কারণ বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় এই দুই প্রার্থীই শক্ত অবস্থানে আছেন। এছাড়া একটি নতুন জরিপেও দেখা গেছে, ভোটারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভোটে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন।</p> <p>এই জরিপের বিষয়ে ইমেলের মাধ্যমে ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নিউজউইক।</p> <p>মে মাসে একটি পৃথক সমীক্ষার পর এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। ওই জরিপেও ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছিলেন ভোটাররা। এনপিআর, পিবিএস, নিউজআওয়ার ও মারিস্টের পরিচালিত জাতীয় সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৪ শতাংশ স্বতন্ত্র ভোটার বলেছেন, ট্রাম্পকে সমর্থন করেন তারা। অন্যদিকে ৪২ শতাংশ বাইডেনকে চান।</p> <p>কিন্তু জুন মাসে ওই ভোটারদের একটি জরিপে দেখা যায়, বাইডেনকে ৫০ শতাংশ স্বতন্ত্র ভোটাররা চান। আর ট্রাম্পকে ৪৮ শতাংশ। বাকী দুই শতাংশ অনিশ্চিত।</p> <p>যদিও জাতীয় নির্বাচনে তারা গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারেন। তবে নির্বাচনের ফল সম্ভবত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ওপর নির্ভর করবে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয় পরাজয় ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের ওপর নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটসংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পেতে হয়। অর্থ্যাৎ জরিপের ভোটে জয়লাভ করে লাভ নেই।</p> <p>সূত্র : নিউজউইক</p>