<p>ভারতের মহারাষ্ট্রে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে জোরালো প্রচারণায় নেমেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপি হয়ে প্রচারণা চালাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেসের পক্ষে প্রচারণা চালাতে রাহুল গান্ধী গত শনিবার মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। দুই নেতাই পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে যে বিজেপি এবং কংগ্রেস জাতপাতের অঙ্ক মেনে ভোটে লড়তে চাইছে, তার প্রমাণ দিয়ে রাহুল কোলাপুরে দলিত টেম্পোচালক আনন্দ সান্ধের বাড়িতে গিয়েছেন।</p> <p>সেখানে নিজেই সবজি কেটে রান্না করেছেন। আনন্দের স্ত্রী অঞ্জনার তৈরি রুটি খেয়েছেন। জনসভায় তিনি দাবি তুলেছেন, কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে কোটা ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেবে।</p> <p>অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন মোদি। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবার বরাবরই দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের মূল স্রোতের বাইরে রেখেছে। মহারাষ্ট্রে এলগার পরিষদের ঘটনায় মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদদের গ্রেপ্তারির পরে তাঁরা ‘শহুরে নকশাল’ বলে অভিযোগ উঠেছিল। মোদি সেই মহারাষ্ট্রে গিয়েই অভিযোগ তুলেছেন, ‘শহুরে নকশাল’-রাই কংগ্রেস চালাচ্ছে। সাধারণত হরিয়ানার সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের ভোট হয়।</p> <p>কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন একসঙ্গে ঘোষণা করলেও মহারাষ্ট্রের নির্বাচন ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, নভেম্বরেই মহারাষ্ট্রের ভোটের তারিখ ঘোষণা হবে। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার আসন রফা মোটামুটি পাকা। উল্টোদিকে বিজেপি, একনাথ শিন্দের শিবসেনা, অজিত পাওয়ারের এনসিপির ক্ষমতাসীন জোট। মহারাষ্ট্রে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই। বিজেপি তাই মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>