স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, পীরগাছী জামে মসজিদে গত শুক্রবার খুতবায় সিরাত নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার একপর্যায়ে যুগে যুগে নবী-রাসুল, পীর-মাশায়েখদের ওপর জুলুম নির্যাতনের বর্ণনায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ও মামুনুল হকের কথা বলেন ইমাম। এই সময় কিছু মুসল্লি ইমাম সাহেবকে খুতবারত অবস্থায় অপমান অপদস্ত করেন। এমনকি কাউকে না জানিয়ে এক প্রকার অপমানজনকভাবে ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন সারজিস আলম

 

মুসল্লিরা বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া দরকার ছিল। ইমাম সাহেবকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া যেত। আমরা আলেম-ওলামাদের সম্মান দিতে চাই। তারা খতিবকে সসম্মানে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা মো. ওসমান গনি বলেন, ‘রবিউল আওয়াল মাস ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রাসুল (সা.) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করছিলাম। গত জুমায় আলোচনার বিষয় ছিল রাসুল (সা.) এর সংগ্রামী জীবন নিয়ে। তার ধারাবাহিকতায় পবিত্র কোরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা পেশ করেছি। উদাহারণ হিসেবে বলেছিলাম, যারা কোরআনের কথা বলবে তাদের ওপরে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘হুজুর খুতবায় কোরআন-হাদিসের কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও মাওলানা মামুনুল হকের কথা বলায় মসজিদের আওয়ামী লীগপন্থি কিছু লোক হট্টগোল শুরু করেন। এটা সামনের জুমায় বসে সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু কিছু লোক হুজুরকে রাখবে না বলে আমি হুজুরকে বুঝিয়ে তার বেতন দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ তবে আওয়ামী লীগপন্থি লোকগুলোর নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি। 

নিহত শিশুদের স্বজনরা জানান, খেলার ফাঁকে কোনো এক সময় সবার অলক্ষ্যে শিশুদ্বয় পুকুরে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়।

র‌্যাব আরো জানায়, ধৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ঝগড়ার একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ঘুষি মারে ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান

ওয়াসিমের বড় ভাই বুনোপাড়ার মেহেদী হাসানের দাবি, তার ভাই ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ। মাঝেমধ্যে তিনি ভারতে ধুড় নিয়ে যাতায়াত করতো বলে শুনেছি। ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়।

দ্রুত লাশ উদ্ধারের দাবি জানিয়ে নিহতের বাবা রমজান আলী বলেন, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছি, লাশটি ওয়াসিমের।

আরো পড়ুন

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর ওপর হামলা

খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, লাশটি ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় উদ্ধার করা যায়নি।

তিনি বলেন, মৃতদেহটি বাংলাদেশি না ভারতীয় তা এখনো আমরা জানতে পারিনি। এ ছাড়া কোনো পরিবার তাদের সদস্য নিখোঁজ থাকার বিষয়েও জানায়নি। 

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরা জানান, 'ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে একটি লাশ ভাসছে, এটা শুনেছি। তবে লাশের পরিচয় মেলেনি।

আরো পড়ুন

ড. ইউনূসে লাভ কী, সারজিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত : দুদু

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, 'ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিবেন। কাজেই বিজিবি না জানানো পর্যন্ত আমরা কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।'

ভুক্তভোগীর মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি বাড়ির পাশে গোয়ালঘরে কাজ করছিলেন। সেই সময় তার মেয়ে ও শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ মেয়ে চিৎকার শুরু করলে তিনি দৌড়ে ঘরে এসে দেখেন অভিযুক্ত রেজোয়ান পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না, মানসিকভাবেও দুর্বল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।