হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল

  • ► ফুটপাতে জুতার ফেরিওয়ালা থেকে শতকোটির কারখানা ► নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় ► মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি-গাড়ি ► মানুষের সম্পদ, খাসজমি দখল
মো. জাহিদুল ইসলাম
মো. জাহিদুল ইসলাম
শেয়ার
হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল
আফজাল হোসেন

‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’, ‘বিনা ভোট’ ও ‘ডামি ভোটে’ কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আফজাল হোসেন। ক্ষমতার পরশ পাথর হাতে পেয়ে শুরু করেন সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তিনি বেছে নেন হুন্ডির কারবারসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, জমি দখল ইত্যাদি। দেশের বাইরে বিদেশেও বিপুল অর্থপাচার করেছেন তিনি।

সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ায় আছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও গাড়ি। আফজালের সম্পদের পাহাড়ে চাপা পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া কোটি মানুষের ঘাম।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক রাঘববোয়াল ধরা পড়লেও এখনো অধরা আফজাল। এবার তাঁকে নিয়ে একযোগে অনুসন্ধানে নামছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যাঁরা সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিবাজ ছিলেন, তাঁদের অনেকে এখনো আড়ালে। সেই তালিকাও বেশ দীর্ঘ। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের সবার বিরুদ্ধে করা হবে অনুসন্ধান।

আফজালের নামে-বেনামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফ্ল্যাট, শেয়ার, একাধিক গাড়ি ও ব্যাংক আমানতের তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে বাস্তবতা এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে ধরন অনুযায়ী এখতিয়ারভুক্ত সংস্থা পদক্ষেপ নেবে।

বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপকালে আফজালের বিষয়ে অনুসন্ধানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের আয়কর অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাবেক এই সংসদ সদস্যের প্রকৃত আয় ও সম্পদের সঙ্গে তাঁর কর নথিতে উল্লেখ করা আয় ও সম্পদের বিস্তর ফারাক রয়েছে। তিনি বিপুল সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

হুন্ডিতে টাকা পাচার করে বিদেশে সম্পদ

দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে তিনি গড়ে তোলেন হুন্ডির রমরমা ব্যবসা। জানা গেছে, প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে দেশে নিজের এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের পরিবারের কাছে খুব সহজে টাকা পাঠিয়ে দিত আফজালের হুন্ডি সিন্ডিকেট। এতে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিদেশি মুদ্রা দিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন আফজাল। তিনি কত টাকা এভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, আফজাল ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে আফজালের নামে সিঙ্গাপুরের অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি-গাড়ি ও মালয়েশিয়ায় একাধিক বাড়ি-গাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে। বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন গোয়েন্দারা।

ফুটপাতে ফেরি করা জুতা এখন অনেক দামি

আশির দশকে আফজালের পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক গুলিস্তানের ফুটপাতে ঝাঁকায় করে জুতা বিক্রি করতেন। তখন তাঁর সঙ্গে ফুটপাতে জুতা বিক্রিতে সহায়তা করতেন আফজাল। তবে কালের বিবর্তনে মানুষ ঠকিয়ে এখন ‘আফজাল সুজ’-এর মালিক তিনি। গুলিস্তানের ফুটপাত থেকে এখন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের জুতার দোকানের মালিক। এ ছাড়া দেশের অন্তত ৩০টি স্থানে রয়েছে তাঁর জুতার শো-রুম। সাভারের আশুলিয়ায় তাঁর আছে শতকোটি টাকার জুতার কারখানা। এ ছাড়া রাজধানীর বঙ্গবাজার ও বঙ্গবাজারের এনেক্স ভবন মার্কেট, গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার ও জাকের মার্কেটে আড়াই শতাধিক দোকানের মালিক তিনি।

দখলের রাজত্ব

নিজের নির্বাচনী এলাকায় মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের বদলে মানুষের ওপর অন্যায়-অনাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে তিনি করেছেন দখলের রাজস্ব। তার দৃষ্টিসীমার বাইরে ছিল না সরকারি খাসজমিও। বাজিতপুর উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জমি আত্মসাৎ করে ওই জমি দখলে নিয়ে মার্কেট নির্মাণ, বেঙ্গলা নদী দখল, নির্বাচনী এলাকার অনেক বাজারে নামকাওয়াস্তে ইজারা নির্ধারণ করে দখল, আত্মীয়-স্বজনদের ঠিকাদারির দায়িত্ব দিয়ে মানহীন কাজ, বিল-হাওর নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার, বেঙ্গলা চরবাদা, কইয়া খায়রা, মাইজচর, বাহেরবালী, হুমাইপুর, ঘোড়াউত্রা নদী জলমহাল থেকে অর্থ লুট, বাজিতপুরের নোয়াপাড়া গ্রামে ৭০ শতাংশ দখল করা জমিতে বাড়ি নির্মাণ, বসন্তপুর মৌজায় সিনামহলের সামনে সরকারি জমিতে পাঁচটি দোকান, দড়িঘাগটিয়া মৌজায় সিনামহলের প্রায় ১৫ শতাংশ জমি, বাজিতপুর বাজারে নাপিত মহলের পুকুর, বাজিতপুর পৌরসভার দড়িঘাগটিয়া মৌজায় প্রায় দুই একর জমি দখল এবং বসন্তপুর মৌজায় প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে তিনতলা মার্কেট, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের দক্ষিণ পাশে প্রায় দুই একর জমি, নান্দিনা আলিয়াবাদ মৌজায় ব্যাপারীপাড়ার প্রায় ২০ শতাংশ জমি, তাতলচর মৌজায় বাজিতপুর দিলালপুর রাস্তার পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০ শতাংশ জমি, গাজীরচর মৌজায় প্রায় আট একর জমি, শশেরদীঘি মৌজায় প্রায় ১০ একর ধানি জমি, বাজিতপুর মৌজায় মতুরাপুর গ্রামের পূব পাশে ২০ শতাংশ জমি, দীঘিরপাড় মৌজায় মসজিদের ফেরিঘাটের পাটুলীর উত্তর পাশে ২০ শতাংশ জায়গা দখলে নিয়ে দোকান নির্মাণ করেছেন তিনি।

দোকান বরাদ্দে নয়ছয়, চাঁদাবাজি

এমপি থাকা অবস্থায় আফজাল সিন্ডিকেট করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে দোকান বরাদ্দের নামে গত ১৫ বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন অন্তত কয়েক শ কোটি টাকা। তাঁর এই কাজে যোগসাজশ ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদেরও। অবৈধ দোকান মালিকদের বৈধতার নামে মেরে দিয়েছেন টাকা। পরে তা আর কখনোই বৈধতা পায়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চালাতেন প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। অনুমোদিত দোকানের সংখ্যা বাড়িয়ে নিজেদের লোকজনকে দোকান মালিক বানিয়েছেন। সেই ৫৯১ জন দোকান মালিক সিটি করপোরেশনে এক লাখ টাকা দিয়ে দোকান মালিকের স্বীকৃতি পেলেও পরে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকায় তা বিক্রি করা হয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ট্রেড সেন্টারে বৈধ দোকানের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৪৫টি। এর বাইরে আন্ডারগ্রাউন্ড, লিফটসহ মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে নকশাবহির্ভূত ৭০০ দোকান বানায় আফজাল সিন্ডিকেট। তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনকে হাত করে দোকানপ্রতি ৭ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এখানে কোটি টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে। তবে দোকানের মালিকরা টাকা দিলেও মালিকানার কোনো বৈধ কাগজপত্র পাননি।

বন্ড লাইসেন্স পেতে ঘুষ 

গুলিস্তান হকার্স মার্কেটের আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমুল হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ফেমাস সুজ লিমিটেড’ নামে আশুলিয়ার দোসাইদে জুতা উৎপাদন কারখানা রয়েছে আফজালের। যেখান থেকে ঢাকার গুলিস্তানসহ সারা দেশে জুতা সরবরাহ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে বন্ড সুবিধায় জুতা তৈরির কাঁচামাল আমদানি নিয়ে ভাবেননি তিনি। তখন দখল-চাঁদাবাজি করে তাঁর প্রচুর আয় হতো। কিন্তু এখন সেই আয়ে ধস নামায় বন্ড সুবিধা পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বন্ড লাইসেন্স পেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অসম বাণিজ্যিক ব্যবধান তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ আছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে ফেমাস সুজের নামে বন্ড লাইসেন্স নিতে চান আফজাল। তবে বন্ড লাইসেন্স পাওয়ায় প্রধান শর্ত শতভাগ রপ্তানি। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি দেশে জুতা সরবরাহ করে।

নির্বাচনী হলফনামায়ও কারিশমা

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, ২০১৮ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় তিনি নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছিল চার কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নির্বাচনী হলফনামায় একাধিক ফৌজদারি মামলার তথ্যও গোপন করেছিলেন তিনি।

নামে-বেনামে যত সম্পদ

৬/৪, সেগুনবাগিচায় হাসিনুর গ্রিন হাউসে দুটি ফ্ল্যাট, ৯৫, আগামসিহ লেনে পাঁচতলা ভবন, লালমাটিয়ায় ফায়ার ব্রিগেডের পেছনে স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট ও বংশালে সাততলাবিশিষ্ট দুটি বাড়ি। দক্ষিণ বনশ্রীতে সাততলা বাড়ি, উত্তরায় সাত কাঠার প্লট, কেরানীগঞ্জ ব্রিজের ঢালে ছয় কাঠা জমির ওপর তৈরি বাড়ি, আফতাবনগরের সি-ব্লকে, রাজউক ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের ১৩/এ রোডে, পূর্বাচলে পাঁচ কাঠার একটি করে প্লট, সিদ্দিকবাজারে ছয়তলার বাড়ি, দক্ষিণ বনশ্রীতে ছেলে সাঈদ হোসেনের নামে পাঁচতলা বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি।

সম্পদের নেশায় নির্বাচনী এলাকায়ও গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা এলাকায় ২০ শতাংশ জমি দখল করে সাততলা মার্কেট, বাজিতপুরে নিজের গ্রাম দিলালপুরে তিনতলার সুরম্য অট্টালিকা, বাজিতপুর পৌরসভা ডাকবাংলোর সামনে দুই মৌজায় ২৭৫ শতাংশ জমি, এলাকায় শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য দুই তলা পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি।

সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এমপি আফজাল হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই তিনি গাঢাকা দিয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো সরকার অতিদ্রুত কার্যকরের উদ্যোগ নেবে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফেলতে চাই। সে জন্য আমি চাইবো সংস্কার কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এমন সুপারিশগুলো তাড়াতাড়ি আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।

সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজকে অমূল্য উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ পড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দেন।

দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো একটি নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট ব্যবহারে বাধ্য বলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখা যায় না, কমিশনের পক্ষ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

কমিশন প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মন্তব্য

প্রাথমিক শিক্ষার মান না বাড়ায় উদ্বিগ্ন গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রাথমিক শিক্ষার মান না বাড়ায় উদ্বিগ্ন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন দৃশ্যমান। তবে সে অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়ছে না, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

শনিবার (২২ মার্চ) ময়মনসিংহের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণশিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক স্কুল ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব ছিল না।

এখন কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসা হয়েছে। মানুষ স্বাধীন- তারা কিন্ডারগার্টেন ও মাদরাসায় শিশুদের পড়াচ্ছে। আমরা প্রাথমিকে বিনা বেতনে পড়াচ্ছি, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক দিচ্ছি, উপবৃত্তি দিচ্ছি- তার পরও অভিভাবকরা তাদের শিশুদের পয়সা খরচ করে অন্যখানে কেন পড়াচ্ছেন?’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষার অবকাঠামো ভালো, শিক্ষকরা মানসম্পন্ন, পড়াশোনায় অগ্রসর, বেতন কাঠামো মোটামুটি ভালো, চাকরির নিশ্চয়তা আছে। অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে কম।

তার পরও অভিভাবকরা কেন তাদের শিশুদের অন্য বিদ্যালয়ে পড়াবেন? প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমস্যা কোথায়? কিভাবে উন্নয়ন করতে পারি-সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত আশা করছি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের সক্ষম করে তোলা। শিক্ষকরা শিশুদের মুখস্থ না করিয়ে তারা যেন মাতৃভাষায় বলতে, পড়তে, লিখতে ও গণিত করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

যদি শিশুরা পারে তাহলে বুঝবেন আপনি সর্বোচ্চ করে দিয়েছেন। এরপর সে নিজে নিজেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে লেখাপড়া করতে পারবে।’

ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের শিক্ষার মানোন্নয়নে টার্গেট ঠিক করবেন। শিশুদের টার্গেট সে যেন মাতৃভাষায় লিখতে, পড়তে, বলতে পারে, গণিত করতে পারে, কিছুটা ইংরেজি পারে। আমরা সহায়তা করব।

তিনি বলেন, মাতৃভাষায় দক্ষ হলে সহজেই ইংরেজিসহ বিদেশি ভাষা শিখতে পারবে। শিক্ষকের দায়িত্ব পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করা, তাহলে অনেক সমস্যা কেটে যাবে। সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারব।

বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর,  প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ অংশ নেন।

মন্তব্য

চাকরি স্থায়ীকরণে সাংবাদিকের বেতন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের সমান করার সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চাকরি স্থায়ীকরণে সাংবাদিকের বেতন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের সমান করার সুপারিশ
সংগৃহীত ছবি

চাকরি স্থায়ীকরণের শুরুতে সাংবাদিকদের বেতন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের সমান করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। প্রতিবেদনেই এই সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের সংখ্যাধিক্য ও দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত বেকারত্বের পটভূমিতে সাংবাদিকতা পেশায় বেতন-ভাতা ক্রমেই কমছে বা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে, যেখানে প্রাপ্য বিভিন্ন ভাতা বাদ পড়ছে এবং চাকরির স্থায়িত্ব অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। অথচ জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা ছাড়া সাংবাদিকতায় আপসকামিতা ও দুর্নীতির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যা বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। এ ধরনের অনিশ্চয়তা রাজনৈতিক ও স্বার্থবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তোষণবাদী হতে উৎসাহিত বা বাধ্য করে। 

এমন পরিস্থিতির অবসানে সব সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, বেতার ও অনলাইনমাধ্যমের সাংবাদিক ও অন্য সংবাদকর্মীদের জন্য যেসব পদক্ষেপ আবশ্যক—

>> কোনো গণমাধ্যম নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র ছাড়া এবং বিনা বেতনে কোনো সাংবাদিককে অস্থায়ী, স্থায়ী কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করতে পারবে না।

>> সাংবাদিকদের শিক্ষানবিশ চাকরির মেয়াদ এক বছরের অধিক হবে না। এ ক্ষেত্রে তাকে সম্মানজনক শিক্ষানবিশ ভাতা প্রধান করতে হবে।

>> সারা দেশের সাংবাদিকদের স্থায়ী চাকরির শুরুতে একটি অভিন্ন ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা প্রয়োজন, যা হবে সরকারি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মূল বেতনের সমান। ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় অত্যধিক বেশি হওয়ার দরুণ ঢাকায় নিয়োজিত সাংবাদিকরা মূল বেতনের সঙ্গে ‘ঢাকা ভাতা' (অ্যালাউন্স) প্রাপ্য হবেন।

তিন বছর সংবাদদাতা (রিটেইনার) হিসেবে কাজ করার পর ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা নিজস্ব প্রতিবেদক (স্টাফ করেসপনডেন্ট) হিসেবে পদোন্নতি লাভ করবেন। ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদার এই বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম প্রেস কমিশন রিপোর্টেও বলা আছে।

>> মূল বেতনের বাইরে সাংবাদিকরা বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা, ঝুঁকি ভাতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ফোন বিল, ইন্টারনেট বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অবসর ভাতা কিংবা গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য হবেন।

>> প্রতিবছরের শুরুতে পূর্ব বছরের গড় মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের বেতন বৃদ্ধি হবে। অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রেও অন্তত দুই বছর পরপর মূল্যস্ফীতি সামঞ্জস্য করে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

>> ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য আলাদা একটি নিয়োগ বিধি এবং একটি ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ বিনা পারিশ্রমিকে কাউকে কাজ করানো যাবে না।

>> কোনো গণমাধ্যমে সাংবাদিককে সার্কুলেশন তদারকি এবং বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।

>> কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশনস অব সার্ভিসেস অ্যাক্ট) ১৯৭৩ এবং শ্রম আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

>> গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আলোকচিত্রী বা ভিডিও সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।

>> গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সব সাংবাদিকের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তাসামগ্রী ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে। পেশাগত কারণে যেকোনো মামলা-মোকদ্দমা নিরসনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আইনি সহায়তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে হবে ।

>> গণমাধ্যমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (সাংবাদিক নন) বর্তমানে যে হারে বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হন, তা সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে (রেশিও অনুসারে) বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য

অনলাইন পোর্টাল নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ৭ সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অনলাইন পোর্টাল নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ৭ সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।  

শনিবার (২২ মার্চ) জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। 

প্রতিবেদনে ‘অনলাইন পোর্টাল’ বিষয়ে সাত দফা সুপারিশ করেছে কমিশন। এতে অনলাইন নীতিমালায় আইপিটিভি এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচার করার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

কমিশনের সাত দফা সুপারিশ গুলো হলো—

১. অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের নীতিমালা হালনাগাদ করা এবং এর আলোকে নিবন্ধন প্রদানের দায়িত্ব ও ক্ষমতা যেহেতু বিগত সরকারের প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের ওপর ন্যস্ত ছিল, সেহেতু তা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের ওপর অর্পণ করা সমীচীন।

২. গত দশকে যেসব অনলাইনে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, তা যেহেতু কোনো স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতির অধীনে হয়নি, বরং সরকারের স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে, সেহেতু সেগুলো পর্যালোচনা প্রয়োজন। এ পর্যালোচনার দায়িত্ব স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা সমীচীন।

৩. অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার যে তদন্ত ব্যবস্থা রয়েছে, তার অবসান প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে সংবাদপত্রের ডিক্লারেশনের জন্য বিদ্যমান পুলিশের তদন্তব্যবস্থাই যথেষ্ট গণ্য করা যায়।  

৪. অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধন পাওয়ার পর তার বার্ষিক নবায়ন পদ্ধতি বাতিল করা হোক।

৫. অনলাইন নীতিমালায় আইপিটিভি এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচার করা যাবে না—এমন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা উচিত।

৬. অনলাইন পোর্টালে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার আলোকে সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনলাইন পোর্টালের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের ফি সাধারণ ট্রেড লাইসেন্সের ফির কয়েক গুণ। এটি সংবাদমাধ্যমকে নিরুৎসাহিত করার নীতি। এর অবসান হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর সরকার ১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ