<p>ফিলিপাইনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জন। গ্রীষ্মকালীন ঝড় ‘ট্রামি’র আঘাতের ফলে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ লুজানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। ঝড়ের কারণে বন্যা ও ভূমিধস হয়। ট্রামির তাণ্ডবে প্রথমে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়।</p> <p>ট্রামি শুক্রবার ভোরবেলা ফিলিপাইন থেকে পশ্চিমে সরে যায় দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে। এর পরেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং নতুন করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার একটি সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, বন্যার মুখে এক লাখ ৯৩ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে এবং ঝড়ের ফলে আলগা হয়ে যাওয়া আগ্নেয়গিরির পলিতে কিছু শহর ডুবে গেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ট্রামির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে নিহত কমপক্ষে ২৬" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729757785-e28f4209e7a4345d67929dfafa23d871.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ট্রামির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে নিহত কমপক্ষে ২৬</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/24/1438655" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিকেলে উপদ্বীপে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেখানে বন্যার কারণে অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে রাস্তাগুলো প্লাবিত হয়ে নদীর মতো হয়ে গেছে। ঝড়ের কারণে উত্তর ফিলিপাইনে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাতাঙ্গাস প্রদেশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঝড়বৃষ্টি থামছেই না। </p> <p>প্রায় ২০টি বড় ঝড় এবং টাইফুন প্রতিবছর ফিলিপাইন বা এর আশপাশের এলাকায় আঘাত হানে। এতে ঘরবাড়ি, বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়া বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ অঞ্চলের ঝড়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে উপকূলরেখার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে এবং আরো তীব্র হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। </p> <p>সূত্র : বিবিসি, এএফপি</p>