<p>যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিস। জনমত জরিপগুলো এবারের নির্বাচনে ঐতিহাসিক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের আগাম ভোট দেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি পেরিয়েছে। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্র গিয়ে আর প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।</p> <p>বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর বিজয়ীদেরকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়, যাকে ‘রূপান্তরকালীন সময়’ বলা হয়ে থাকে। ওই সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। এরপর নতুন বছরের শুরুতে বা  জানুয়ারিতে নতুন বা পুননির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান হয়।</p> <p>রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯৩৩ সালে হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২০তম সংশোধনীতে নির্ধারণ করে দেয়া হয় যে, প্রেসিডেন্টের ওই অভিষেক অনুষ্ঠান হবে ২০শে জানুয়ারি। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টে অভিষেক হয়। এ অনুষ্ঠানের পরই নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে যান তার চার বছরব্যাপী মেয়াদ শুরু করার জন্য।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এর কারণ হলো, অঙ্গরাজ্যগুলোর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়। এরপর ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু যখন কোন কোন অঙ্গরাজ্যে ভোটগণনা শুরু হয়, তখন আলাস্কা বা হাওয়াইয়ের মতো কোন কোন অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা চলতে থাকে। কোন কোন নির্বাচনে দ্রুত ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, আবার কখনো কখনো সময় লাগে।</p> <p>বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত কোন অঙ্গরাজ্যে যদি ভোট গণনা বা আইনি ঝামেলা তৈরি হয়, তাহলে বিজয়ী প্রার্থী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে আরো সময় লাগতে পারে।</p> <p>সাধারণ রীতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি, যখন বিভিন্ন রাজ্যের ইলেকটোররা বসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেবেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মার্কিন নির্বাচন: ইলেক্টোরাল ভোটে ‘টাই’ হলে কী হবে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/05/1730786514-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মার্কিন নির্বাচন: ইলেক্টোরাল ভোটে ‘টাই’ হলে কী হবে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/05/1442972" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর ভোটের ফল ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হবে এবং জানুয়ারির শুরুতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করবেন। মিশিগান যাওয়ার আগে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন তারা যদি কমালা হ্যারিসকে ভোট দেয় তাহলে তাদের জন্য আগামী চার বছর হবে দুর্ভোগ, ব্যর্থতা ও বিপর্যয়ের, যা দেশ কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারবে না।</p> <p>এদিকে কমালা হ্যারিসের প্রচার দলের সূত্র বলছে হ্যারিসের সমর্থকরা শেষ সমাবেশে যোগ দিতে এখন ফিলাডেলফিয়াতে সমবেত হচ্ছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শেষ সমাবেশ করতে এখন মিশিগানের গ্র্যান্ড র‍্যাপিডসের সমাবেশস্থলেই রয়েছেন। ট্রাম্প তার আগের দুটি নির্বাচনের শেষ সমাবেশও এখানেই করেছিলেন। তবে সেখানে ২০১৬ সালে তিনি জিতলেও পরের নির্বাচনে জয় চলে যায় জো বাইডেনের দিকে।</p> <p>সূত্র: বিবিসি</p> <p><br />  </p>