<p style="text-align:justify">রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দ্বারা পশ্চিম কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট আজারবাইজানের চারটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।</p> <p style="text-align:justify">গতকাল বুধবার বড়দিনে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এটি কাজাখস্তানের আক্তাউয়ের কাছাকাছি স্থানে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬৭ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে অন্তত ৩৮ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন রুশ নাগরিক ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট (জে২-৮২৪৩) বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনিতে নির্ধারিত রুট থেকে কয়েক শ মাইল দূরে কাস্পিয়ান সাগরের বিপরীত তীরে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা বলেছে, বিমানটি জরুরি অবতরণ করার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল। সেটি হতে পারে পাখির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়।</p> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটি অবশ্য ব্যাখ্যা করছেন না, বিমানটি কেন সাগর পাড়ি দিয়েছে। তবে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি এমন একটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়েছিল যেখানে আগে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা সম্পর্কিত ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার এই দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে; ইউক্রেনের ড্রোন হামলা হয়েছে চেচনিয়ায়। </p> <p style="text-align:justify">এই পথ ধরেই যেতে হয় গ্রোজনি। চেচনিয়ার এই রাজধানী শহরটি ইউক্রেনের একটি অন্যতম লক্ষ্য। তাই সেখানে ভারী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। বিমানটির যাত্রাপথের কাছের রাশিয়ান বিমানবন্দরটি বুধবার সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।</p> <p style="text-align:justify">রাশিয়া, আজারবাইজান ও কাজাখস্তানের পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনাটি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।</p>